নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারা এই রোহিঙ্গা?

১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

রোহিঙ্গাদের ভাষা Rohingya যেই ভাষার সাথে চিটাগাং এর ভাষার অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায় শুধু তাই নয় বার্মার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা মুসলিম ধর্মের অনুসারী।কি ভাবে তাদের ধর্ম ও ভাষার সাথে আমাদের এতো মিল ? ইতিহাস এর সোনালী পাতা উল্টালে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা খুঁজে পাবো।১৯ শতকের দিকে বৃটিশ East India Company তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম থেকে আরকান পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে যার ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার বাঙালি তখন জীবিকার তাগিদে চিটাগাং থেকে আরকান যান। তখন আরকান ও চট্টগ্রাম একই প্রশাসনের আওতায় থাকায় তা একই রাজ্য হিসাবে বিবচনা করা হতো বস্তুত আরকান ও চট্টগ্রাম আর মাঝে যতায়েত এ কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হত না। বার্মার আরকান রাজ্যে ১৮৯১ সালেও মুসলমান জনসংখা ছিলো ৫৮,২৫৫ যা ১৯১১ সালে যেয়ে দাড়ায় ১,৭৮,৬৪৪ জনে।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধর পৱ থেকে বার্মার মুসলমান ও বদ্ধ দের মাঝে দেখা দেয় বিভিন্ন বিভাজন ও ধর্ম কে কেন্দ্র করে সহিংসতা। পরবর্তিতে মিলিটারী জান্তার ২৫ বছরের শাষন আমলে তা আরো বৃদ্ধী পায়।মুসলমান ও বুদ্ধদের এই যুদ্ধের মাঝে পরে অনেক মুসলমান গৃহ হারা হয়ে পরেন তারা অসহায় হয়ে বাংলাদেশ এর কক্সসবাজার এর রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো তে আশ্রয় নেন এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধী পাচ্ছে ২০১২ সালের দাঙ্গার পর বার্মার সরকার মুসলমান রোহিঙ্গা দের বার্মার নাগরিক হিসাবে গণ্য না করার ঘোষণা দেয়। বহিষ্কৃতদের ১৯৮২ সালের গৃহ হারা বাংলাদেশী হিসাবে গণ্য করা এবং তাদের বার্মার নাগরিক সনদ না দেবার ঘোষণা দেয় ধারণা করা হয় প্রায় ৩০০০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্তান করে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মাত্র ৩০০০০ রোহিঙ্গার আশ্রয় শিবিরে থাকার স্বীকৃতি দেওয়া ফলে ষুধু মাত্র তারাই United Nations ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে বাকি রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন সাগরের তীরবর্তী স্থানে ,বনের পাশে কিংবা বস্তি এলাকায়।

রোহিঙ্গারা বার্মার মিলিটারি জান্তার অত্যাচারে ঘর বাড়ি ছেরে আশ্রয় নিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা যেমন টেকনাফ কক্স বাজার এলাকায়। কতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্তান করছে তার সঠিক হিসাব নেই। বাচার তাগিদে এরা জড়িয়ে পরছে বিভিন্ন অপরাধের সাথে যেমন ইয়াবা চালান ,মানব পাচারে ,সীমান্তে দিয়ে আশা অবৈধ অস্ত্র আনতে এরা অতপ্রত ভাবে জরিত। আসলে রোহিঙ্গাদের সমস্যা কুটনৈতিক ভাবে দক্ষতার সাথে সামাল দিতে হবে।একটা বেপার লক্ষ্য করেছেন এদের পূর্ব পুরুষরা কিন্তু এক সময় চিটাগাং এর নাগরিক ছিলো এক সময় কিন্তু নিয়তি এমন যে এখন বাংলাদেশ বা বর্মা কেউ এদের স্তান দিতে চায় না

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

বিষক্ষয় বলেছেন: এই রকম ভাবলেতো চাকমারা ভারত আর আরাকানের সিটিজেন ছিলো

১৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: বিষক্ষয় ভাই তা ঠিক কিন্তু ইতিহাস তো অনেকেই জানে না। তাদের জন্য বলা। ......

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: মিয়ানমারের সব রোহিঙ্গা চট্রগ্রাম থেকে যায়নি। আরাকান বহু শতাব্দী ধরেই মুসলিম আধিক্য এলাকা। মুঘল আমলেও বহু মুসলিম সেখানে ছিলো। এরা প্রকৃতপক্ষে বার্মার আদি নাগরিক। কিন্তু কনভারটেড মুসলিম। বৃটিশ আমলে সেখানে চট্রগ্রাম থেকে অনেক মুসলিম গিয়েছে। কিন্তু সব রোহিঙ্গা চট্রগ্রাম থেকে গিয়েছে এটা ঠিক না।

১৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম আমি ও সেই এক কথাই বললাম তবে রোহিঙ্গা মুসলিম দের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে গিয়েছিলো ব্রিটিশ আমলে।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: মিয়ানমারের সব রোহিঙ্গা চট্রগ্রাম থেকে যায়নি। আরাকান বহু শতাব্দী ধরেই মুসলিম আধিক্য এলাকা। মুঘল আমলেও বহু মুসলিম সেখানে ছিলো। এরা প্রকৃতপক্ষে বার্মার আদি নাগরিক। কিন্তু কনভারটেড মুসলিম। বৃটিশ আমলে সেখানে চট্রগ্রাম থেকে অনেক মুসলিম গিয়েছে। কিন্তু সব রোহিঙ্গা চট্রগ্রাম থেকে গিয়েছে এটা ঠিক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.