নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম ঢাকা সফরে আসবেন সামনের মাসে।এই তো কিছু দিন আগে চায়না ভ্রমন করলেন। চায়না তে ভ্রমনের শেষ দিন প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষন দিচ্ছিলেন। এটা বলতেই হবে তার ভাষন দেওয়ার ক্ষমতা বা বচন ভঙ্গি খুব সুন্দর যা মানুষকে আকর্ষণ করে খুব সহজেই।চায়না তে উনি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে কথা বলছিলেন। হাসতে হাসতে ভাবলাম বাংলাদেশের নদীর নায্য পানিটা পর্যন্ত আটকায় রাখে যেই ভারত বা সুন্দর বনের পাশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করে তাদের কাছ থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা শুনলে কার না রাগ লাগে বলেন ?গ্রাউন্ড ওয়ার্ক হলেও চুরান্ত তিস্তা চুক্তি এবারও হবে বলে মনে হচ্ছে না।জানুয়ারি ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত বিএসএফ এবং সাধারণ ভারতীয়দের হাতে ৮৫৩ বাংলাদেশি হত্যা হয়েছে।সীমান্তে ফেলানী হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা এটা প্রমান করে ভারত নিজের স্বার্থে সব করতে পারে।
এবার আসুন ভারতের প্রধান মন্ত্রীর সফরে কি কি চাহিদা রয়েছে তা জেনে নেই চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ওই দেশটি আরও ১৫টি রুটে ট্রানজিট চেয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনে নৌ, সড়ক, রেল ও সমুদ্রপথে সংযোগও বাড়াতে চায় দিল্লি। এ জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত সহায়তা দিতেও প্রস্তুত রয়েছে।তার নিদর্শন স্বরূপ ভারতের তরফে বাংলাদেশকে নতুন করে কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার একটি ঘোষণা আসতে পারে।এটি ১০০ কোটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ভারত আগ্রহ দেখাবে এটা নিশ্চিত।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশ যার তিন দিকেই সুপার পওয়ার ভারতের অবস্তান তাদের কাছ থেকে দাবি আদায় করা কিন্তু বেশ কঠিন বেপার যে খানে বাংলাদেশের রাজনীতি তাদের ইশারায় চলে। তোফায়েলের মতো বর্ষীয়ান নেতারা দেশের জন্য কি আদায় করেন তার একটা পরক্ষা হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.