নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতিসমূহের ফেডারেশন বা এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন ২৩ মে শনিবার। এই নির্বাচন ব্যবসায়ীদের বা গণমাধ্যমের কাছে খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হয় না।আগে নির্বাচনের সময় পত্রিকা বা টেলিভিশনে হেড লাইন খবর হলেও এখন কিন্তু ধারের কাছেও প্রচার পায় না। সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানেন যে এই নির্বাচনে জিতে আসতে হলে রাজনৈতিক বেক্তি বর্গের পা ছুয়ে সালাম করতেই হবে নিজের যোগ্যতায় কোনোভাবে নির্বাচিত হয়ে আশা সম্ভব নয়।বাংলাদেশে দুষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে দুষ্ট রাজনৈতিকরা মিলে খুব সুন্দর ফাঁদ তৈরী করেছে। যারা শেয়ার বাজার লুটপাট করেছেন বা ঋণ খেলাপী তারাই আবার এফবিসিসিআইয়ের মঞ্চে উঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছেন।
এই নির্বাচন প্রহসনে রূপ নিয়েছে এখন নির্বাচনের আগেই সবাই জানেন কে হতে যাচ্ছেন সভাপতি। আগে থেকেই সব ঠিকঠাক করা। নির্বাচনটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সরাসরি নির্বাচন হয় না বলেই সরকারের আস্থাভাজনকে সভাপতি করা এখন অনেক সহজ। এফবিসিসিআইয়ের ৫২ জন পরিচালক থাকেন। তাঁদের মধ্য থেকেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন সভাপতি ও দুই সহসভাপতি। এই ৫২ জনের ২০ জনই সরকার মনোনীত সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে সরাসরি পরিচালক হন। বাকিদের নির্বাচনে জয়ী হতে হয়।কারসাজিটা হয় মনোনীত পরিচালক পদেই। সরকারের আস্থাভাজন ব্যবসায়ী প্রথমে মনোনীত সংগঠনের প্রতিনিধি করে সরাসরি পরিচালক পদে মনোনয়ন হন। সেখান থেকে পরে তিনি হন সভাপতি। অর্থাৎ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো ঝুঁকিতেই যেতে হচ্ছে না।
গুরুত্বপূর্ণ চেম্বার ও সমিতির প্রতিনিধিরা যাতে এফবিসিসিআইয়ে আসতে পারেন, এ জন্যই ১৮ জন মনোনীত পরিচালকের বিধান রাখা হয়েছিল। আর এখন সেই বিধানটি ব্যবহৃত হচ্ছে সরকার-সমর্থিত সভাপতি হওয়ার জন্য।বর্তমান সভাপতি কাজী আকরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের প্রতিনিধি হিসেবে সরাসরি পরিচালক হন। সেখান থেকে হয়েছেন সভাপতি।আবদুল মাতলুব আহমাদ এবার মনোনীত পরিচালক হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার থেকে। অথচ এর আগে তিনি পরিচালক হয়েছিলেন বিমা সমিতি থেকে। কিন্তু যাতে নির্বাচন করতে না হয়, এ জন্য রাজশাহী চেম্বারের প্রতিনিধি হয়েছেন।
এফবিসিসিআইকে এখন সরকারি দলের ব্যবসায়ী শাখা বলা হয়। সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকেই তা শুরু হয়ে যায়। দেখা গেছে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের পছন্দের ব্যক্তিই হন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।এফবিসিসিআইয়ের এখনকার সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। এর আগের সভাপতি এ কে আজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একবার মনোনয়নও চেয়েছিলেন। তারও আগের সভাপতি আনিসুল হক এখন আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচিত মেয়র। তবে এফবিসিসিআই সভাপতি হয়েছিলেন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমর্থনেই।এরও আগে এফবিসিসিআইয়ের দুবারের নির্বাচিত সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আওয়ামী লীগের হয়ে দুই দফায় কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি এখন সাংসদ। আরেক সভাপতি সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা।দুই দফায় সভাপতি ছিলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। তবে তখন তিনি পরিচিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে। এখন তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। আর গত বিএনপি সরকারের সময় সভাপতি ছিলেন মীর নাসির হোসেন। বলা হয়, তিনি সভাপতি হয়েছিলেন হাওয়া ভবনের সমর্থনেই
২| ২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: মিন্টু ,আনিসুল হোক বা আজাদ কে তো তাও ঠেলা দিয়া চালানো যায় আমি এমন এফবিসিসিআই ডিরেক্টর দের চিনি যারা নিজের নামও ঠিক মত লিখতে পারে না অশিক্ষিত গন্ড মুর্খ কিন্তু পয়সা আছে ওইটা দিয়া সম্মান কিনতাছে। রাজনৈতিক নেতাদের পা চাইটা ১ টা টিভি চেনেল ১ রেডিও চেনেল পাইলে তো তারা ধন্য অন্যদের চিন্তা করার সময় কোই ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
জনতার রায় বলেছেন: এফ বি সি সি আই আছে বলেই আনিসুল হক, মিন্টু আর আজাদের মত নির্লজ্জ দালালগুলোকে খুজে পাওয়া গেছে।