নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
পত্রিকা খুললেই দেখা যায় ১০,০০০ পিস বা ৫০,০০০ পিস ইয়াবা চালান ধরা খাইছে। এত ইয়াবা দিয়া দেশের মানুষ কি করবে পাউরুটি দিয়া খাবে নাকি ?অবশ্য এতো কিছুর পরও ইয়াবা গডফাদাররা সবার সামনেই ঘুরে বেরাচ্ছে সোবাই জানে সবাই চিনে কিন্তু কিছু বলার সাহস কারো নাই।এটা সত্য যে পুলিশ ,রেব ,বিজিবি ,কোস্টগার্ড অন্য যে কোনো সময়ের চে এখন ড্রাগ বা অবৈধ অস্ত্রের বেপারে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে উনারাই বা কতটুকু করবেন। এই গডফাদাররা তো কাউকেই পাত্তা দেয় না কোনো এক অজানা কারণে এরা বার বার ক্ষমতা ফিরে পায়। এই পরিমান ইয়াবা চালান প্রমান করে যে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্তিতিশীল করে তুলার চেষ্টা করছে।সমাজে যতো অপরাধ সংগঠিত হয় তার মূল হচ্ছে মাদক দ্রব্য।কোনো ভাবে যদি মাদক দ্রব্য আটকানো যায় তা হলে অনান্য অপরাধ খুব স্বাভাবিক ভাবেই কমে আসবে।সময় এসেছে যত ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে তাদের এনকাউন্টারে ফালায়া মারার। বেক্তিগত ভাবে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড আমি অপছন্দ কোরলেও এদের বেলা ভিন্নমত পোষণ করি।
ইয়াবা একটি মেথামফেটামাইন মিশ্রিত ড্রাগ । ইয়াবা শব্দটি এসেছে থাইল্যান্ড থেকে। ইয়াবাকে বাংলা অর্থ উত্তেজক ওষুধ বা পাগলা ওষুধ, যা সেবন করলে মানুষের অতি মাত্রায় উত্তেজক করে তুলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইযাবাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়, যেমন: ইন্ডিয়াতে বলে ভুলভুলাইয়া, ফিলিপাইনে ও ইন্দোনেশিয়ায় বলে শাবু,উওর থাইল্যান্ডে এর নাম চাকোস, সাউথ আফ্রিকায় বলে টিংকু, ব্রাজিলে বলে বালা ইত্যাদি। বাংলাদেশে কোন কোন এলাকায় ইয়াবাকে ”বাবা” ও বলে।
১৯১৯ সালে জাপানিরা ওষুধ হিসেবে ইয়াবা তৈরির পরিকল্পনা করে। মূলত জীবন বাঁচানোর লক্ষে তাদের এ আবিস্কার। এর পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট এডলফ হিটলার তার মেডিকেল চিফকে আদেশ দিলেন দীর্ঘ সময় ব্যাপি যুদ্ধক্ষেত্রের সেনাদের যাতে কান্তিô না আসে এবং উদ্দীপনায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বা বিমানের পাইলটের নিদ্রাহীনতা, মনকে উৎফুল, চাঙ্গা রাখার জন্য একটা কিছু আবিস্কার করতে। টানা ৫ মাস পর রসায়নবিদগণ চেষ্টা চালিয়ে তৈরি করলেন অ্যামফিটামিন। এর সঙ্গে একটি মিথাইল গ্রূপ যোগ করে বাড়তি সংশেষের জন্য তৈরি করা হল মিথাইল অ্যামফিটামিন। মিথাইল অ্যামফিটামিন ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রনে তৈরি হল ইয়াবা।
ইয়াবা তৈরী করা হয় ২৫-৩৫ মি: গ্রা: মেথামফেটামাইন ও ৪৫-৬৫ মি: গ্রা: ক্যাফেইন এর সংমিশ্রণে। কোনো কোনো সময় ১০-১৫% হেরোইন ও মিশিয়ে থাকে। ইয়াবা ট্যাবলেট আকারে ৬ মি:মি: ব্যাস একদিকে গোলাকার অপর দিকে চ্যাপটা আকর্ষনীয় রঙে তৈরী করা হয়। ইয়াবা সাধারনত উজ্জল লাল,গোলাপী, কমলা,ও সবুজ ইত্যাদি রঙের হয়ে তাকে। এটি স্বাদে হালকা মিষ্টি এবং বিভিন্ন ফ্লেভারে তৈরী করা হয়,যেমন:আংগুর, কমলা, ভেনিলা ইত্যাদি। ট্যাবলেট এর গায়ে সাধারনত খোদাই করে জ অথবা ডণ লেখা থাকে। মিয়ানমারে খুব সাধারণ ল্যাবরেটরিতেও মাত্র ২০ হংকং সেন্টের বিনিময়ে প্রতিটি ইয়াবা পিল তৈরি করা হতো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার বড়ি হিসাবে সেবন করা হয়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধাতব ফয়েলে পুড়িয়ে ধোঁয়া হিসাবেও এটিকে সেবন করা হয়ে থাকে।
ঢাকায় তিন ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়। প্রথম ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের বেশির ভাগ সবুজ বা গোলাপি রঙের হয়। এর ঘ্রাণ অনেকটা বিস্কুটের মত হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধরনেন ইয়াবা ট্যাবলেট এর দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু এটিও নেশাসৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তৃতীয়ধরনের ট্যাবলেটি আরও সস্তা এবং নেশায় আষক্তদের নিকট এটি ভেজাল বলে পরিচিত।ইয়াবা সেবনকারীদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা অনুসারে, চিতা নামের পিলটি সবচেয়ে নিম্নমানের ইয়াবা পিল হিসেবে গণ্য হয়। এর গায়ে ক্ষুদ্র চিহ্ন থাকে। অন্যদিকে গোলাপ জল নামের ইয়াবা পিলকে উচ্চ মান পিল হিসেবে গণ্য করা হয়। ইয়াবা পিলের গায়ে ইংরেজি ডাব্লিউ ওয়াই লেখা থাকে। ওয়াই লেখার ধরণ দীর্ঘ হলে এবং ইয়াবার রঙ পুরোপুরি গোলাপি হলে ধারণা করা হয় সেটি ইয়াবা হিসেবে ভাল মানের।
১৯৭০ এ থাইল্যন্ডে ইয়াবা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হত। বিড়ি, সিগারেটের মতোই বিভিন্ন দোকানে ইয়াবা পাওয়া যেত। ৯০-র দশকের শেষ দিকে থাইল্যান্ডের তরুণ-তরুণীদের মাঝে ইয়াবা সিগারেট বা চুইংগামের মতো সস্তা ছিল দূর-দুরান্তের বাস চালকেরা নিদ্রা দূর করার জন্য সবসময় সঙ্গে রাখতেন ইয়াবা। কিন্তু ৩-৪ বছরের মধ্যেই কাল হয়ে দাঁড়ায় এ ওষুধ। থাই সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাওয়ায় তা রোধ সম্ভব হয়নি। বরং গোপনে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।২০০০ সালে থাইল্যান্ডের সরকার মিয়ানমার সরকারকে সীমান্তে যৌথ টহলের জন্য ব্যাপক চাপ দেয়। মূলত থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ২৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা র চোরাচালান ব্যাপক চোরাচালান রোধের জন্য এই চাপ প্রয়োগ করা হয়। ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট থাকসিন সিনাওয়াত্রা ৩ হাজারের বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারের নির্দেশ দেন। বার্মার সীমান্তô ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুটিয়ে চলছিল এ ব্যবসা।
বাংলাদেশের টেকনাফ বর্ডার দিয়ে মাদক হিসেবে ইয়াবা প্রথম প্রবেশ করে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু ২০০১ এ বাংলাদেশের অভিজাত এলাকাগুলোতে ইয়াবা তরুণ-তরুণীদের মানিব্যাগে স্থান করে নেয়। বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবা আমদানি হয় সাবেক একজন সংসদ সদস্য (বর্তমানে বিদেশ) এর মাধ্যমে আনা হয়েছিল বিদেশ ভ্রমন কালে। তখন বন্ধু-বান্ধবদের দিয়ে সেবন করানো হতো বলে এর প্রসার ছিল সীমিত আকারে। সে সময় একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। ফলে হাতে গোনা কয়েকজন উচ্চবিত্তশালী এটি ব্যবহার করতেন। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ইয়াবা আমাদানী করে গুলশান নিকেতের জুয়েল। সে ধরা পড়েছিল ২০০২ সালে। সে ইয়াবা এনেছিল বিমান পথে থাইল্যান্ড থেকে । তখন বাজার মূল্য ছিল দুই হাজার টাকা। ইয়াবা সম্রাট আমিন হুদাও প্রথম থাইল্যান্ড থেকে বিমানপথে,পরে নিজেই রাসায়নিক উপাদান এনে গুনশানে রীতিমত ইয়াবার কারখানা খুলে বসেছিল। ভৈগোলিক কারনে মায়ানমার বাংলাদেশের পাশা পাশি(২০৮ কি:মি: স্থল, ৬৩কি:মি: জল বর্ডার এলাকা)হওয়ায় জল ও স্থল পথে সহজেই ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে বিগত বছর গুলোতে দেখা যায় মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের সাথে বাংলাদেশের সীমাšত এলাকার লোকজন মিলে ইয়াবা বাংলাদেশে পাচার করে আসছে। বিভিন্ন গনমাধ্যমের সহায়তায় জানা যায়,মায়ানমারের সেনাবাহিনীর কিছু লোক ইয়াবা উৎপাদন করে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাচার করে থাকে। সময়ের সঙ্গে অন্য সব কিছুর দাম বাড়লেও ইয়াবা এ হিসাবে ব্যতিক্রম। প্রতিনিয়তই এর দাম কমছে। ২০০২ সালে সীমিত আকারে টেকনাফ এলাকার নাফ নদের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ইয়াবা আনা শুরু হয়েছিল। ২০০৩ সাল থেকে ইয়াবা ডিলারদের জন্য ওই রুটটি হয়ে যায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, অতিসম্প্রতি টেকনাফ এলাকায় নজর দেওয়ায় ডিলাররা ব্যবহার করছেন অন্য আরো নতুন দুটি রুট। তা হলো বান্দরবানের গহিন অরণ্যের চাকঢালা সীমান্ত এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। ওই দুটি রুট দিয়ে কিছু ইয়াবা মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিন আসার পর তা কক্সবাজার হয়ে ঢাকায় আসছে। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্পট বা রুট টেকনাফের নাফ নদ। এ ছাড়াও সীমিত আকারে টেকনাফ নদে চলাচলকারী ট্রানজিট নৌকার মাধ্যমে এবং স্থলবন্দর দিয়ে কিছু ইয়াবার আমদানি চলে। আবার ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে ইয়াবার ডিলারও পরিবর্তন হয়েছে।তাছাড়া মিয়ানমারে স্থাপিত ২৭টি ইয়াবা কারখানা বন্ধ করার জন্য পতাকা বৈঠকে বিজিবি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেও তারা ইয়াবা বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা দিলেও তা করেনি। এমনকি বাংলাদেশে আসা ইয়াবা বিক্রির কোটি কোটি টাকা মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।
প্রথমদিকে ইয়াবা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করলে মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরন, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি,ক্ষুধামন্দা এবং মস্তিস্ক বিকৃতি দেখা যেতে পারে। ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, কিডনি সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা।
ইয়াবা একটি অত্যন্ত ঊত্তেজক এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি মারাত্বক ক্ষতিকারক ড্রাগস। ইয়াবা সেবনের সঙ্গে সঙ্গে মানব দেহের অতি মাত্রায় উত্তেজিত হওয়ার কারনে শারীরিক শক্তি বর্ধিত হয়েছে বলে অনুভুত হয় এবং দীর্ঘ সময় ঘুম হয় না। ইয়াবা ব্যাবহারে প্রচন্ড খুধামন্দা দেখা দেয় এবং মানষিক ভারসাম্য লোপ পেতে থাকে। এ ভাবে কয়েক ঘন্টা নেশাগ্রস্থ থাকার পর ধীরে ধীরে নেশা কেটে যেতে থাকে এবং শরীর মন ভেঙ্গে যায়,দুর্বলতা অনুভুত হয় এবং দীর্ঘ সময় ঘুমাতে ইচ্ছা করে, তবে দ্রূত পুনরায় ইয়াবা ডোজ নিতে ইচ্ছা জাগে এমন কি আসক্ত ব্যক্তি আগের চেয়ে বেশী ডোজ নিতে চায়। এ ভাবেই ধীরে ধীরে ব্যাবহারকারী ইয়াবার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ইয়াবা ব্যাবহারকারী ধীরে ধীরে মানবতা ও ধৈয্যশীলতা হারিয়ে ফেলে। ইয়াবা সেবনে প্রচন্ড ভাবে দীর্ঘ মেয়াদী শারিরীক ও মানষিক ক্ষতি সাধিত হয়। অতিরিক্ত ইয়াবা ব্যাবহারে শরিরের মাংশপেশী প্রবল ভাবে কামড়াতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে ইয়াবা ব্যাবহারে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, ক্রোধ, অনিদ্রা, হতবুদ্ব্ধিসঢ়;, শরীর কাঁপা, দৈহিক আকেখপ,উদ্বেগতা বৃদ্বি, আক্রমনাত্বক স্বভাব, চুল ওঠা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়, এবং ইনজেকশনের সাহায্যে একাধিক ব্যাক্তি ব্যাবহারে এইচ আই ভি এইডস্ধসঢ়;, হ্যাপাটাইটিস বি ও সি ইত্যাদি রোগে আক্রাšত হয়। দীর্ঘ সময় ইয়াবা সেবনের ফলে শ্বসনতন্ত্র ও হ্রৃদ যšত্র বন্ধ হতে পারে, এমনকি কিডনী ফেইলর সহ অনেক জটিল রোগে আক্রাšত হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হতে পারে। আসক্ত ব্যাক্তিরা বেচে থাকলেও শারিরীক ও মানষিক ভাবে বিপর্য¯ত হয়ে মানষিক রোগে ভুগতে থাকে। আসক্ত হওয়ার পর যেহেতু শরিরের চাহিদা মেটাতে নিয়মিত ইয়াবার ডোজ নেয়া অবধারিত হয়ে পরে সেহেতু ইয়াবা ক্রয় করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন সত্তেও একটি সময় সেবনকারী কে অর্থ স্ধংসঢ়;কটে পরতে হয়,ফলে সেই অর্থ যোগার করতে ছিনতাই, চোরী, ডাকাতি, অপহরন, ও খুনের মত অপরাধমুলক অসামাজিক কর্ম কান্ডে জরিয়ে পরে। এমনি ভাবে একটা সময় দেখা যায় যে ইয়াবা সেবনকারিরা বড় কোন অপরাধ চক্রের সাথে জরিত হয়ে নিজেই মাদক পাচার ও বিক্রয়ের সাথে যুক্ত হয়ে পরে। এ ভাবে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যেখান থেকে সাধারন জীবনে ফিরে আসা আর স¤ভব হয় না।এই সব আসক্ত ব্যাক্তি ইয়াবার পার্শ প্রতিক্রিয়ার কারনে খিট খিটে মেজাজের ঝগড়াটে হয়ে যায় এবং হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। তাই বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যের সাথে রঢ় আচরন করে থাকে ফলে পারিবারিক সম্পর্কেও অবনতি ঘটে। পরিবারের সাথে সাথে আত্বীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরাও মাদকাশক্ত ব্যাক্তিদের ভাল চোখে দেখে না,ফলে আপনজনদের থেকে দুরত্ব র্সৃষ্টি হতে থাকে এবং আরো দ্রুত মাদকাশক্ত ব্যাক্তির মানষিক ও শারিরীক অবনতি ঘটে, এ ভাবে একটি সময় সামাজিক ভাবে ঘৃণ্য এবং অবহেলিত অবস্থানে চলে যায়। এমতাবস্থায় ঐ ব্যাক্তির একদিকে যেমন ইয়াবার পার্শপ্রতিক্রিয়া তাকে দিন দিন খুড়ে খুড়ে খেয়ে নি:শেষ করে দেয় অপর দিকে পরিবার আত্বীয়-স্বজন ও সামাজিক বন্ধন থেকে নিজের দুরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারনে বেচে থাকার কোন ভরসাই খুজে পায় না, ফলে অনেকে আত্মহত্যাকে মুক্তির পথ হিসেবে বেছে নেয়।
যাদের আরো জানার আগ্রহ আছে তারা এই লিংক গুলো দেখতে পারেন
https://www.youtube.com/watch?v=Un_y8i-FEh8
https://www.youtube.com/watch?v=kptFtTzw96Y
https://www.youtube.com/watch?v=3VVACIUhnFY