নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহিত ড্রাইভারদের চেয়ে অবিবাহিত ড্রাইভারেরা দুর্ঘটনা বেশি ঘটায়।

১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

পত্রিকা খুললেই প্রতি দিন সড়ক দুর্ঘটনা তে কতো মানুষ নিহত বা আহত হয় তার খবর পাওয়া যায়। এটা আসলেই খুব দুঃখজনক আমি যখন লিখছি তখনো টিভি স্ক্রোল ১৪ জন নিহত হবার খবর দেখতে পাচ্ছিলাম আসলে এই ধরনের দুর্ঘটনার খবর গুলো মনে হয় আমাদের গা সোয়া হয়ে গেছে এখন আর আমরা এই ধরনের দুর্ঘটনার কথা শুনলে চমকে উঠি না।মানসিক ভাবেও আমরা মেনে নিয়েছি যে এই ধরনের দুর্ঘটনা তো ঘটতেই থাকবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু গুলো এখন আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। যখন কোনো মিডিয়া বেক্তিত্ব বা রাজনৈতিক নেতা সড়ক দুর্ঘটনাতে নিহত হোন তখন আমাদের ঘুম ভাঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা তখন চলে আশে পত্রিকার শিরোনামে ,টিভি খুললেই টক শো গুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক গরম গরম তর্ক বিতর্ক হয়। কয়েক দিন পার হলেই আমরা আবার সব কিছু ভুলে যাই।সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা যদি আশা করি সব ভুমিকা সরকার নিবে তা হইলে আমরাই বোকার স্বর্গ রাজ্যে বাস করি।অকালে প্রাণ ঝরে পরা আমরা কোনো ভাবেই ঠেকাতে পারবো না। তৃতীয় বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে খুব একটা বেশি কিছু আশা করাটা নেহাৎ বোকামি। কয়েকটি সংস্তা বেক্তিগত উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ শুরু করলেও তারা কোনো সুনিদিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। প্রেস ক্লাব এর সামনে প্লেকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে থেকে বা প্রাইভেট টিভি চেনেল কে সাক্ষাত কার দিয়া তো আর কাজ হবে না। কাজ করতে হইলে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আগাইতে হবে।প্রথমেই যেই বিষয় টা লক্ষ্যনীয় তা হচ্ছে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার পর পরই ড্রাইভার কে ধইরা কতো বছরের শাস্তি দিবো তা নিয়া বেস্ত হোয়া যাই কিন্তু দুর্ঘটনার আসল কারণ কি ছিলো তা কিন্তু অজানা রয়ে যায়।একই ভাবে সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি রোধে আরেকটি কাজ খুব সহজেই করা সম্ভব হোলেও তা এখনো করা হয় নি তা হচ্ছে সঠিক তথ্য সংগ্রহ বা পরিসংখ্যান। এই বছর কোন রাস্তায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে ?কোন পয়েন্ট গুলো দুর্ঘটনা প্রবল?দুর্ঘটনায় কয় জন নিহত বা কয় জন আহত ?দুর্ঘটনার পিছনে কি কারণ ছিলো ?কি ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে ?দুঘটনার সময় কি ছিলো ?প্রতিহত করার জন্য কোনো বেবস্তা কি নেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে ?এই তথ্য বা পরিসংখ্যান এর উপর নির্ভর করে নেয়া যাবে পরবর্তী পদক্ষেপ। খুব সহজেই এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করা সম্ভব কয়কটি জাতীয় পত্রিকা ,টিভি চেনেলের সংবাদ ,স্তানীয় সাংবাদিক ও স্তানীয় থানা থেকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে হবে। তথ্য গুলো ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। সংরক্ষণ ও গবেষনার জন্য তা ওয়েব সাইট এ রাখা হইলে সবাই এই তথ্য বিভিন্ন বিশ্লেষণের কাজে লাগাইতে পারবে।ক্ষুদ্র পর্যায়ে কিছু কিছু গবেষণা যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয় যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান গবেষণা থেকে বলেছেন বিবাহিত ড্রাইভারদের চেয়ে অবিবাহিত ড্রাইভারেরা দুর্ঘটনা বেশি ঘটায়। এখানে পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত।আমরা সবাই যদি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আশি নিশ্চই সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে যেই প্রাণগুলো ঝরে পরছে তার সংখ্যা অনেক অংশে কমে আশবে। আমি বেক্তি উদ্যোগে সীমিত পরিসরে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান ও তথ্য সংরক্ষণ এর জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরিতে কাজে হাত দিবো পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো আসবে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখি একলা কতো দূর আগানো যায়। সবাই দোআ করবেন আর একলা চলার পথে থাকতে চাইলে আওয়াজ দিবেন। যাদের আগ্রহ আছে পরবর্তী সময় কি হয় জানার তারা অনুসরণ করুন।










মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.