নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
ব্রাজিল থেকে আনা গম দেখতে খারাপ হলেও খাওয়ার অনুপযোগী নয় বলেছেন খাদ্য মন্ত্রী ঠিক কথাই বলেছেন এতো ভেজাল যখন খাচ্ছি নিশ্চই ওই গম ও আমরা হজম করতে পারবো দেখতে একটু খারাপ হলেই বা কি?প্রতি বার রমজান আসলেই সরাকরের ভেজাল বিরোধী অভিযান বেশ জোর দিয়ে চালানো হয়।জরিমানা করা হয় ধান্দাবাজ ব্যবসায়ীদের কিন্তু খোদ সরকারী সংস্তা গুলো যদি আমাদের ভেজাল অনুপযোগী খাবার খাওয়ায় তে হোলে এর দায় ভার কে নিবে ?ভ্রাম্যমান আদালত আর মিডিয়ার কল্যাণে জানা যায় কি পরিমান ভেজাল ও নিম্ন মানের খাবার আমাদের খাওয়ানো হয়। কি খাবেন বলেন ? যাই খাবেন তার মধ্যেই ভেজল। ফলের মধ্যে ফরমালিন ,ফার্মের মুরগি কে খাওয়ানো হয় উচ্ছিষ্ঠ টেনারী বর্জ , আসল ডিম এর পরিবর্তে আসছে নকল চায়না ডিম ,মিষ্টির সাথে মিশানো হচ্ছে কাপড় এর রং ,দুধ এর সাথে টিসু পেপার আর ডিটারজেন্ট ,খেজুর এর গুড়ের সাথে ফিটকিরি ,ঘনো চিনির সাথে গাছে দেবার সার,আমের জুস এ আম এর বদোলে পেপে আরো কতো ভেজাল যে আমরা খাচ্ছি বলে শেষ করা যাবে না ইদানিং তো শুনছি নেশা করার ইয়াবা টেবলেট ও নাকি ভেজাল হচ্ছে। জন্ম নিয়ত্রন করার টেবলেট এর উপর নাকি গোলাপী রং করে ইয়াবা বলে চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে ২০ বছর আগেও কেন্সার এর তেমন একটা রোগী চোখে পরতো না আর এখন কেন্সার রোগী দিয়ে কানায় কনায় পূর্ণ থাকে হাসপাতাল গুলো। অসুস্ত হয়েও শান্তি পাবেন না কারণ মিডফোর্ডের যেই ঔষুধ খাবেন তাও তো ভেজাল।
এতো ভেজালের মাঝে সরকারি সংস্তা গুলোও যদি খাবার অনুপযোগী খেজুর ও গম নিয়ে হাজির হয় তে হোলে কে আমাদের রক্ষা করবে বলেন। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চলতি মাসের শুরুতেই রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলাবাজারে পাঁচটি পণ্য বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল ।রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছোলা, চিনি, সয়াবিন এবং ডাল বিক্রি শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত খেজুর বিক্রি শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি কারণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যে খেজুর সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার চেয়ে নিম্নমানের খেজুর সরবরাহ করায় এ বিড়ম্বনাতে পরতে হয়েছে টিসিবিকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সরকারিভাবে খেজুর বিক্রি শুরু না হওয়ায় অধিক দামে খেজুর বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।অন্যদিকে খাবার অনুপযোগী গম নিয়ে চলছে আরেক নাটক ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ২ লাখ টন গমের মান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, এই গম দেখতে লাল, দানাগুলো ছোট। গমগুলো দেখতেই খারাপ লাগছে তবে এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী নয়। জাতীয় সংসদে একজন্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী তার আসনে বসেই এসময় খাদ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন তাহলে টিআর-জিআরের কী হবে, তিনি বলেন ‘আমরা তো জোর করে কাউকে এই গম দিচ্ছি না। এক দিকে নিম্ন মানের গম আমদানি করে খাবার অনুপযোগী নয় বলে চালানো অন্য দিকে গম ক্রয় করার জন্য চলছে নানা রকম দুর্নীতি।সরকারি গুদামে বর্তমানে ৩ লাখ ১৫ হাজার টন গম রয়েছে তারপরও আরও এক লাখ টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও আবার বাজারদরের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেশিতে।সাধারণত এ পার্থক্য হয় দুই থেকে তিন টাকা।রাশিয়া থেকে আনা গম পরিবহন খরচসহ দেশের বাজারে পড়ে ১৯ টাকা কেজি। কিন্তু সরকার কৃষকের নাম করে ওই গম ২৮ টাকা কেজি দরে কিনছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নতুন করে এক লাখ টন গম কেনায় সরকারের বাড়তি ১০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফার কারণেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত হয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।সরকারি গুদামে গম সংগ্রহ বাড়াতে সরকারদলীয় ৮০ জন নেতা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে চাহিদাপত্র বা ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন মন্ত্রী, ৬০ জন সাংসদ এবং অন্যরা সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংসদের মনোনীত ব্যক্তিরা গম সরবরাহ করছেন বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সাংসদেরা নিজেই গম সরবরাহ করেছেন।