নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
বাংলাদেশের মানুষ এক দিকে বোকা অন্য দিকে লোভী এই সূত্র কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই প্রতারক চক্র মানুষ ঠকায়। প্রায় সময় আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই মর্মে চটকদারী বিজ্ঞাপন গুলো পরতাম আর মনে মনে হাসতাম ভাবতাম এতো সহজ ভালো পাত্র পাত্রী পাওয়া। বিজ্ঞাপন গুলোর ভাষা খুব লোভনীয় যে কোনো সহজ সরল মানুষ লোভে পরে যাবে।যার কোনো যোগ্যতা নাই সেও ভাববে একটা সুযোগ নেয়া যায় আর যদি ভুলেও ফাদে পা দিছে তা হইলে সহায় সম্বল সব গেছে কিছু নমুনা বিজ্ঞাপন দেই
* কানাডায় সিটিজেনশীপ অপরূপা সুন্দরী ডিভোর্সী বন্ধা(৩৪-৫ ফুট ৩ ইঞ্চি ) পাত্রীর জন্য দায়িত্ববান পত্র প্রয়োজন পাত্রীর একাধিক ব্যবসা ও কানাডায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে।
* ছুটিতে ঢাকায় কানাডা (৩৭+৫ফুট ৩ ইঞ্চি )আমেরিকা (৩২+৫ফুট ৩ ইঞ্চি ) সিটিজেন ডিভোর্স পাত্রীর জন্য গ্রামের ৪০ থেকে ৫০ বছরের পত্র চাই
প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ম্যারেজ মিডিয়ার ভূয়া অফিস সাজায়। পরবর্তী সময়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা প্রবাসী ভূয়া সুন্দরী মহিলাদের পাত্রী সাজিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়া চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়ার নামে বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই মর্মে চটকদারী বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। উক্ত বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের সাথে বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তারা তাদের চক্রের বিভিন্ন সুন্দরী মহিলাদের ছবি, জাল পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশনের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর কোন রেস্টুরেন্টে আগ্রহী প্রার্থীদের উক্ত মহিলাদের সাথে দেখা করানোর মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে মোটা অংকের টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ভূয়া নিকাহনামার মাধ্যমে বিবাহ করিয়ে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে।তারপর উক্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র অফিস খুলে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে।এই উপায়ে প্রায় ৭-৮ বছর যাবৎ প্রতারনা করে আসছে এরা ।
২৩/০৬/২০১৫ তারিখ মঙ্গলবার রাত ৯.৩০ টায় বনানী থানার কাকলি এলাকা হতে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ।এ সময় তাদের হেফাজত হতে একটি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যক্তির বায়োডাটা, ছবি, নিকাহনামার কপিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওরফে করিম, মোঃ আমিনুল হক, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রাসেল, মোঃ মনির হোসেন, মোছাঃ নওরিন জাহান, মোছাঃ শামীমা আক্তার ওরফে হামিমা ও মোছাঃ কাকলি আক্তার ওরফে পারভীন।