নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ইয়াবার সবচেয়ে বড় বাজার

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১০

আজ বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস। ১৯৮৭ সাল এর ২৬ জুন থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।প্রতি বছর আমরা বেশ ঘটা করে মাদক বিরোধী দিবস পালন করলেও বাস্তবে অবস্তা বরই করুন।বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ইয়াবার সবচেয়ে বড় বাজার।এখন প্রতিদিন ১০ লাখের কাছাকাছি ইয়াবা হাতবদল হচ্ছে। পানির মতো ইয়াবা আসার কারনে ইয়াবা এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর মাদক।এই ভয়ংকর মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে দ্রুত বাংলাদেশে ইয়াবা আসা এবং এর ফলে ব্যবহার বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী পাঁচ বছরে ইয়াবার ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যাবে। কয়েক দিন আগে ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিজস্ব ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রায় সাত লাখ ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এক সহকারী উপপরিদর্শক।

দেশে গত পাঁচ বছরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বড়ির পাচার ও ব্যবহার বেড়েছে ৭০১ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ গুণ। একই সময়ে দেশে ইয়াবা আটকের পরিমাণ বেড়েছে ৫ হাজার শতাংশ, অর্থাৎ ৫০ গুণ।২০১০ সালে বছরজুড়ে দেশে ইয়াবা বড়ি কেনাবেচা হতো চার কোটির মতো। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে তা ২৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এই সময়ে ব্যবহার বেড়েছে ৭০১ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে ২০০৯ সালে ইয়াবা আটকের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৯ হাজারটি। আর ২০১৪ সালে ইয়াবা আটকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ১২ হাজারটি। পাঁচ বছর আগের চেয়ে যা প্রায় ৪ হাজার ৯২৪ শতাংশ বেশি।প্রতিবছর যে পরিমাণ ইয়াবা আটক হচ্ছে, তার চেয়ে ৪২ গুণেরও বেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক ইয়াবার পরিমাণ ৬৫ লাখের কিছু বেশি। অথচ এই সময়ে কমপক্ষে ২৬ কোটি ইয়াবা দেশে কেনাবেচা হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিটি ইয়াবা টেকনাফে বাংলাদেশের চোরাকারবারির কাছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অবশ্য এটা নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এই ইয়াবা কয়েক দফায় হাতবদল হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ইয়াবা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঢাকায়। এরপর চট্টগ্রাম। এ ছাড়া দেশের বড় শহরগুলোতেও এর চাহিদা রয়েছে। ঢাকায় প্রতিটি ইয়াবা বড়ি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেলে বা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হলে প্রতিটি ইয়াবার দাম হয় ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।বাংলাদেশে ইয়াবার বাজার ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার। অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে হত্যাও করা হয়।

বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ ইয়াবা বড়িই আসে মিয়ানমার থেকে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীসংলগ্ন স্থানে গড়ে ওঠা সাতটি কারখানায় উৎপাদিত ইয়াবা চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। এসব কারখানায় প্রতিদিন দুই লাখ ইয়াবা বড়ি বাংলাদেশে পাচারের জন্য তৈরি করা হয়। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে গড়ে ওঠা ইয়াবা তৈরির আরও শতাধিক কারখানা রয়েছে। এগুলো থেকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। বড় চালানগুলো মূলত এসব কারখানা থেকে সমুদ্রপথে আসে। এর বাইরে ভারতের কয়েকটি সীমান্ত দিয়েও ইয়াবা আসে। থাইল্যান্ড থেকেও কেউ কেউ ইয়াবা কিনে এনে থাকেন। তবে এর পরিমাণ অনেক কম।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গড়ে ওঠা ইয়াবা তৈরির ৩৭টি কারখানা ও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমারের ৪৭ জন নাগরিকের ব্যাপারে সুস্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয় মিয়ানমার সরকারের কাছে।

মিয়ানমারের ২৭ কারখানায় উত্পাদিত ইয়াবা চোরাচালান কোনো অবস্থাতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। বরং ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারে স্থাপিত ২৭টি ইয়াবা কারখানা বন্ধ করার জন্য পতাকা বৈঠকে বিজিবি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেও তারা ইয়াবা বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা দিলেও তা করেনি.

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাদক সেবন করলে মস্তিষ্কে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়, তবে সেটা স্থায়ী হয় না। এরপর আসে মানসিক অবসাদ। ঘুম হয় না। আচরণে ও চিন্তায় বৈকল্য দেখা দেয়। ন্যায়-অন্যায়বোধ লোপ পায়। মানুষ অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। অনেকে যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ইয়াবা সেবন করে থাকে। তবে এটার কোন ভিত্তি নেই বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এন হুদা বলেন, ইয়াবা সেবনে প্রথম একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে সেটা সাময়িক। পরে এসব সেবনকারী চিরতরে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। প্রতিদিন ২০/৩০ জন এমন রোগী তার কাছে আসে বলেও জানান তিনি।

আমরা যদি মাদকের থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারি তে হোলে সামনে ভয়াবহ খারাপ দিন অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য মাদকের বিস্তারের ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অপরাধ অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে। ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি হবে। মাদকের হাত থেকে বাচতে হোলে এই মুহুর্তে অনেক শক্ত আইন প্রয়োজন।সাথে সাথে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ক্রীড়া বেক্তিত্ব ,সাংস্কৃতিক বেক্তিত্ব এমনকি স্তানীয় মসজিদের হুজুররা বিশাল ভুমিকা পালন করতে পারেন তা হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন তৈরী করা মানুষ কে সাবধান করা। আমার বিশ্বাস দেশ বেপি সব হুজুররা যদি প্রতিটি মসজিদে শুক্র বারের জুম্মার নামাজের ওয়াজের সময় মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে তা হোলেও মানুষ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আহারে ইয়াবা, তোর খোজ আজো পাইলামনারে সজনী! :(

এতো লাখ লাখ ধরা পরতেছে, আমারে এক পিস দিয়েন পাইলে, টেস্ট কইরা দেখতাম ক্যামন লাগে।


কিন্তু যেই বস্তু সেবনে ঘুম হয়না ওইটা আবার কিসের নেশা? ঘুমের চেয়ে বড় কোন নেশা জীবনে কিছুই নাই।

ইয়াবার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হইলো এইটা মস্তিস্ক উদ্দীপ্ত রাখতে ইরিভার্সিবল ক্ষতি করে, অন্য যে কোন মাদকের চেয়ে অনেক অনেক বেশি ক্ষতি। গাজা কিংবা ফেন্সিডিলের চেয়ে অনেক বেশি, যদিও হেরোইনের মতো উচ্চ মর্যাদা পাইতে পারবেনা।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম এক দম ঠিক কথা বলছেন ইয়াবা ক্ষতির দিক দিয়ে অন্য যে কোনো মাদক দ্রব্য থেকে খারাপ আর যারা ইয়াবা আসক্ত ছিলো তাদের বেশির ভাগের মাথার তার ছিরা যায় আবোল তাবোল কথা বলে।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলাদেশ ইয়াবার বড় বাজার

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,লক্ষ্য করে দেখবেন এখন যেই ইয়াবার চালান গুলো ধরা খায় সব গুলাতে ৫০০০০ পিস এর অধিক ইয়াবা থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.