নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
টিভি নাটকের নামে অত্যাচার ২০ মিনিটের নাটকের বিজ্ঞাপন বিরতি ৪০ মিনিট। বিজ্ঞাপনের ঠেলায় বিরক্ত হয়ে এক সময় নিজের চুল টাইনা নিজেরই ছিরতে ইচ্ছা হবে আর তা না হইলে টিভি আসার মাইরা ভাঙ্গতে ইচ্ছা করবে এর মাঝে আবার গতো কয়েক বছর ধরে প্রাইভেট টিভি চেনেল গুলা নতুন ধান্দা শুরু করছে মেগা সিরিয়াল আজব বেপার হচ্ছে এমন মেগা সিরিয়াল ও আছে যে গুলোর ১০০০ পর্ব পার হওয়া গেসে।এরকম ভাবে চলতে থাকলে একটা সময় দেখা যাবে নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যারা অভিনয় করছেন নাটক চলা অবস্তায় তাদের বিয়ে হবে বাচ্চা হবে বুড়া হবে তারপর মারাও যাবেন কিন্তু নাটক শেষ হবে না।এরকম ভারতের মেগা সিরিয়ালের অনুকরনে তৈরী নাটক গুলো সাথে আমি আমাদের চিন্তা ভাবনা বা আমাদের সংস্কৃতির কোনো মিল খুজে পাই না। ভরপুর কুটনামী দিয়া ভরা এই সব বস্তা পচা নাটক গুলো আগে অনেকে আগ্রহ নিয়া দেখলেও এখন আর কেউ দেখতে চায় না এই সব মানহীন নাটক দেখার জন্য কার এতো সময় আছে বলেন আমার তো মনে হয় এদের কনো স্ক্রিপ্ট ও থাকে না যারা অভিনেতা অভিনেত্রী তারা যার যা ইচ্ছা তাই অভিনয় করেন।অনেক দিন থেকেই বিরক্ত হয়ে অন্য কোনো বিনোদন মাধ্যম খুজছিলাম হঠাত মনে হলো মঞ্চ নাটক দেখবো যা ভাবা তাই করা রওনা হোলাম মঞ্চ নাটক দেখার উদ্দেশ্যে আগে এক সময় বেইলি রোডে মহিলা থিয়েটারের হলে মঞ্চ নাটক দেখলেও এখন সংস্কার কাজ চলার কারণে তা বন্ধ রয়েছে ফলে সেগুন বাগিচায় অবস্তিত শিল্পকলা একাডেমির ২ টি হল ছারা নিয়মিত ভিত্তিতে আর কথাও মঞ্চ নাটক হয় বলে আমার জানা নাই।শিল্পকলা একাডেমির ২ টি হলেই প্রতি দিন ৭ টার দিকে নাটক শুরু হয় । টিকেট মুল্য স্থান ভেদে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।হলের পাশেই দেখবেন টিকেট কউনটার অথবা যারা দুরে থাকেন তারা প্রথম আলো পত্রিকার বিজ্ঞাপনের পাতায় নাটকের বিজ্ঞাপন দেখবেন সেখানে নিচে দিয়ে যে ফোন নাম্বার গুলো আছে তাতে ফোন দিয়ে টিকেটের বুকিং দবেন। শিল্পকলার হল গুলোর পরিবেশ আমার কাছে খুব ভালো মনে হয়েছে পরিবার নিয়ে অনায়েসে ঘুরার মতো জায়গা এটি।সমনে রয়েছে বসে গল্প করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা পাশেই গাছের গুরি দিয়ে তৈরী হয়েছে সুন্দর একটি খাবার দোকান যদিও তেলে ভাজা খাবার ছারা আর কিছু সে খানে পাওয়া যায় না।পিছে রয়েছে খুব সুন্দর ঝর্ণা আর বিশাল মাঠ সেখানে ঘাসের মাঝে শুয়ে আকাশ দেখার মজাই আলাদা।মাঝে মাঝে দেশী বিদেশী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব হয় সেগুলোও কিন্তু বেশ জমজমাট থাকে। ভাগ্য ভালো আমি যেদিন গেলাম সে দিন নাগরিক নাট্ট সম্প্রদায়ের নাটক দেওয়ান গাজীর কিসসা দেখার সুযোগ পেলাম। হল রুমে দর্শক ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ চার বা পাচ হাত দুরের মঞ্চে নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে আর আপনি তা সরাসরি দেখছেন এই অনুভুতি আসলেই অসাধারণ বলে বুঝানোর মতো নয়।সামনা সামনি আলী যাকের ,আবুল হায়াত ,সারা যাকের ,ফারুক আহমেদ ,আতাউর রহমান ,শামিমা নাজনীন,জিয়াউল হাসান কিসলুর মতো গুনি অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় দেখার অভিজ্ঞতা আসলেই আমার সোভাগ্য। আসাদুজ্জামান নূর এর নির্দেশনাতে এতো বছর পর নাটকটি মঞ্চায়ন হলো ১৯৭৭ সালের এই নাটক ১২ বছর পর আবার মঞ্চে ফেরত এলো। কি সুন্দর স্পষ্ট সাবলীল অভিনয় আসলেই অসাধারণ। নাটকের অভিনয়, ভঙ্গিমা ,মঞ্চ পরিকল্পনা ,সংগীত ,আলো কোনো কিছুতেই পরিবর্তন আনা হয় নাই।আসলেই মঞ্চ নাটকের সাথে টিভি নাটকের এর তুলনা হয় না সময় পেলে পরিবার নিয়ে এক বার ঘুরে আসুন আসলেই দারুন অভিজ্ঞতা।