নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল বা গোলাপী পেন্ট মাগনা দিলেও পরবো না

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩২


ইদানিং রাস্তায় বের হলে গুরা গারা পোলাপাইন গুলারে দেখি লাল নীল সবুজ গোলাপী নানা রকম রং এর পেন্ট পইরা ঘুরে। এরকম গোলাপী বা লাল রং এর পেন্ট আমারে মাগনা দিলেও আমি পরুম না।এরকম রং বে রং এর পেন্ট পইরা বাইর হইলে হয়তো আমি নিজেই লজ্জায় মারা যামু। বয়সের কারণে হয়তো আমার মনে আর রং নাই আর তা না হইলে নতুন যুগের হালের ফ্যাশন এর সাথে আমি আর তাল মিলাতে পারতাছি না।চেষ্টা যে করিনি তা কিন্তু নয় এই তো কয়েক বছর আগে কে যেনো একবার আমাকে একটা লাল শার্ট উপহার দিলো অনেক বছর শার্ট টা পরে ছিলো আলমারিতে এক দিন বৃষ্টিতে সব কাপড় ভিজে যাওয়াতে অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই শার্ট পরে বের হয়ে ছিলাম বের হওয়ার সময় দেখতাছিলাম দারোয়ান মুখে হাত দিয়া মুচকি মুচকি হাসতাছে আমি দেইখাও না দেখার ভান করলাম এবং একদম পাত্তা না দিয়ে ভাবলাম গায়ে যখন দিয়া দিছি তখন আর এতো ভাবার কি আছে ?বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিলাম রাইফেলস স্কয়ারের উদ্দেশে যাত্রা করলাম হঠাত রমনা পার্কের সামনে রাস্তায় আসতেই রিকশা ওয়ালা আমাকে আসে পাশের সব স্থাপনা চিনাতে লাগলো বললো এটা রমনা পার্ক আর উল্টা পাশে যা দেখতাছেন ঐ টা হচ্ছে শিশু পার্ক আরেকটু সামনে যায়া বলে এটা যাদুঘর আমি তো ওর কথা শুইনা মুখ হা কইরা অবাক হওয়া ভাবতাছি কাহিনী কি কথা নাই বাত্রা নাই ও আমারে হঠাত কইরা ঢাকা শহর চিনানো শুরু করলো কে ? আমি হা কইরা আসি দেইখা ওই বেটা রিকশা ওয়ালা আমারে কইলো নতুন আইছেন তো ঢাকা শহরে আসতে আসতে সব চিনা যাইবেন আমার বুঝতে আর সময় লাগলো না কইলাম ভাই থাক আমি যে কাজে বাইর হইসি ওইটা আর আজকে হইবো না আপনি ঘুরান যেখান থেকা আইছি ঐ খানে ফেরত যান।এর পরে জীবনে আর কোনো দিন লাল শার্ট পরি নাই। ৯৭ সাল বা ৯৮ সালের আরেকটি ঘটনা বলি তখন কয়েক দিন পর পর জিন্স পেন্ট এর স্টাইল বদলাতো সে সময় চিকন চিকন পাইপের মতো স্কিন টাইট জিন্স পেন্ট বাজারে এলো যা খুব অল্প সময়ে হয়ে উঠলো হালের ফ্যাশন। শখ করে কিনে এনে পরলাম প্রথম দিকে কষ্ট হতো না যে তা নয় মনে হতো কে যানি পা ধইরা টাইনা রাখছে কিন্তু কয়েক দিন পর অভ্যাস হয়ে গেলো তারও কয়েক বছর পর আসলো ছিরা রং চটা জিন্স পেন্ট এর স্টাইল। সবার মতো আমিও শখ করে পয়সা দিয়ে একটা ছিরা জিন্স কিনে আনলাম বাসায় পেন্ট রেখে বের হলাম কাজে রাতে ঘরে ফিরলাম মা এসে হাজির ঘরে ঢুকেই বললো তোর পেন্ট এ তো তিন জায়গায় ছিরা ছিলো আমি সেলাই করে দিছি কি আর করার অনেক কষ্টে একটা নকল হাসি দিয়ে মাকে বললাম ধন্যবাদ কিন্তু ভিতরে ভিতরে বুকটা জইলা ছারখার। একেক জন এর ফ্যাশন বা স্টাইল এর ধরন একেক রকম হবে সেটাই স্বাভাবিক সবার পছন্দ তো আর এক নয় তবে কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন যেমন নতুন প্রজন্মের অনেককেই দেখি গোলাপী গেঞ্জি পরে দিব্বি ঘুরছে তারা হয়তো জানে না পৃথিবীর অনান্য দেশে যেসব পুরুষ গোলাপী গেঞ্জি পরে তাদের ধরে নেয়া হয় সমকামী।আবার এমন কিছু মানুষ আছে যাদের সারা বছর কালো কাপড় পরতে দেখা যায় এমনকি গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রোদেও এরা কালো শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায় এদের দেখলে আমার নিজেরই গরম লাগে।আমি নিজেও খুব একটা ফ্যাশন বুঝি তা কিন্তু নয় তবে দেখে শিখার ইচ্ছা ছিলো সব সময়। ছোট বেলা কাপড় কিনার জন্য বাপের কাছে পয়সা চাইতাম উনি বলতো ছেলেদের গুনে পরিচয় কাপড়ে নয় পয়সা দিতে চাইতো না কিন্তু এখনকার দিনে এই কথা একেবারে খাটে না এখন গুনের পাশা পাশি ফ্যাশন সচেতন থাকাটাও প্রয়োজন এখন কার দিনে ভালো কাপড় উপর নির্ভর করে মানুষ আপনাকে মুল্যায়ন করে। বিশ্বাস না হলে এক দিন খারাপ কাপড় পরে ব্যাংক এর লোন ডিভিশন এ যান আর আরেক দিন ভালো কাপড় পরে যান দেখবেন দুই দিন দুই ভাবে মুল্যায়ন করবে আপনাকে।শুধু দামি কাপড় পরলেই ফ্যাশন সচেতন হবেন তা ভাববেন না সব চে প্রথমে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখবেন তা হচ্ছে নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন প্রতি দিন গোছল করুন খেয়াল রাখবেন কাপড় থেকে যেনো ঘামের গন্ধ বা অন্য কনো দুর্গন্ধ না বের হয় শুধু কাপড় নয় অনেকের মুজা থেকেও দুর্গন্ধ বের হয় প্রতি দিন কাপড় ও মুজা ধুতে দিন যাদের জুতা থেকে গন্ধ আসে চেষ্টা করুন জুতা রোদে শুকানোর তাতেও যদি গন্ধ না দূর হয় তে হলে সুপার স্টোর থেকে জুতার গন্ধ দূর করার স্প্রে পাওয়া যায় তা কিনে দেখতে পারেন। সকাল বেলা কাজে যাবার আগে অবশ্যই বডি স্প্রে ও সুগন্ধি ব্যবহার করুন।মনে রাখবেন যেই সুগন্ধির গন্ধ যতো প্রকট তা ততো কম মূল্যের হয় সুগন্ধি কিনার সময় লক্ষ্য রাখুন তা যেনো হালকা গন্ধের হয় এবং বেশি সময় থাকে। তিনটি জিনিষ দেখে পুরুষের বেক্তিত্ব বুঝা যায় কলম ,ঘড়ি ,মানি ব্যাগ।ঘর থেকে যখন কাজে বের হবেন চেষ্টা করুন এই তিনটি জিনিস সব সময় সাথে রাখার। যখন কোনো দোকানে ঢুকবেন দেখবেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা আপনার পায়ের জুতার দিকে তাকিয়ে থাকে।অনেকেই আপনার জুতা বা সেন্ডেল এর মুল্য অনুসারে আপনাকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবে তাই ভালো জুতা বা সেন্ডেল পড়ুন এমন জুতা পরবেন যা পরে দৌরা দৌড়ি করতে পারবেন। ফ্যাশন এর সংগা একেক জন এর কাছে একেক রকম কেউ কেউ বলে এমন ভাবে কাপড় পরতে হবে যেনো ১০০ জন লোকের মাঝ থেকে আপনাকে খুব সহজেই আলাদা করা যায় তবে আমি বিষয়টা একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখি আমার কাছে মনে হয় সবার মাঝে মিশে যেতে হবে তবে কেউ যদি আপনার দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে সে যেনো বিষয়টা অনুধাবন করে যে আপনি একটু ভিন্ন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.