নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সি এন জি মিটার না কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট এর যন্ত্র

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১


ধানমন্ডি তে হাসপাতালে যাব দেখে একটা সি এন জি নিলাম কতো টাকায় যাবেন জিজ্ঞাস করলাম বলে মিটার থেকা ২০ টাকা বেশি দিয়েন তে হইলেই হবে শুইনা বোকা হওয়া গেলাম মনে মনে ভাবলাম বেটা বলে কি ?আজকে সুর্য কোন দিক উঠছে ?পরে মনে হলো সি এন জি মিটারে তো পরিবর্তন আনা হয়েছে তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে পক্ষে বিপক্ষে তো ভালোই কথা হচ্ছে যাক সমস্যা নাই মিটারেই তো যাবে এতো ভাবার কি আছে উঠে বসলাম বিষয় টা তখন বুঝলাম যখন সিগনালে আটকালাম এবং লক্ষ্য করলাম প্রতি মিনিটে ২ টাকা উঠছে কিছু সময়ের জন্য মনে হলো মিটারের নাম্বার এর লাগাম হয়তো কেউ আফ্রিকান সাফারীর চিতা বাঘ বা ঘোরার গাড়ির সাথে বাইন্ধা দিছে খালি দেখলাম বারতেই আছে বারতেই আছে মনে হইতাছিলো এটা সি এন জি মিটার না কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট এর হার্ট বিট মাপার যন্ত্র। প্রতি বার মিটারে টাকার অংক বারে সাথে সাথে বুকের হার্ট বিট ও বারে।এক বার তো ভাবলাম সি এন জি থেকা নাইমা দৌর দেই। যেখানে সি এন জি ভাড়া কন্টাক্ট এ ছিলো ১৫০ টাকা সেখানে দেয়া লাগলো ২২০ টাকা। টাকাটা হাতে পায়া বেটা সি এন জি ওয়ালা ৩২ টা দাত বাইর কইরা একটা সেই রকম হাসি দিলো মনে হইলো আস্তা মেজিক টুথ পাউডার দিয়া আজকে দাত মাইজা বাইর হইসে।অবস্তা এমন হয়েছে যে যাত্রীরা এখন মিটারে না যাইতে চাইলে সি এন জি ওয়ালা উল্টা পুলিশ ডাইকা নিয়া আসে। এক দিক দিয়া ভালো যে মানুষ এর মিটারে যাওয়ার অভ্যাস হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন ঢাকার ট্রাফিক সিগনাল গুলোতে যে ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসতে হয় তাতে করে এই ব্যবস্থা কতো দিন স্থায়ী হয় তা নিয়ে একটু সন্দেহ হয়।৩০ মিনিট রাস্তায় ট্রাফিক সিগনালে আটকানো মানে ৬০ টাকার জরিমানা কাজেই বুঝতেই পারছেন।ধরেন কোনো ভি আই পি আসছে দেখে বাধ্য হয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছেন ঘন্টা খানেক আর অন্য দিকে মিটারে মিনিটে ২ টাকা বারছে তখন মেজাজ কতটুকু খরাপ হবে তা একটু ভাবুন।আসলে ঢাকার গোটা পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরছে সি এন জি তে না যেয়ে আপনি বাসে যাবেন সেটাও সম্ভব না কারণ সব রাস্তায় তো বাস নেই আবার আবার যাও বা কয়েকটা লোকাল বাস আছে তাতে কোনো মাঝ বয়সের লোক বা এক জন মহিলার পক্ষে যাতায়েত করা আসলেই খুব কষ্টের।ঐ সব লোকাল বসে উঠতে হইলে প্রথমে একটা টাইগার বা স্পিড এনার্জি ড্রিংক খায়া সুপার ম্যান এর মতো বাসের পিছে পিছে দৌড় দিতে হয় তারপর চলন্ত অবস্তায় দরজায় ঝুলে থাকা পাচ থেকে ছয় জন লোককে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকে যেতে হবে ভিতরে ঢুকার পরও কোনো শান্তি পাবেন না কারন ভিতরে তিল ধরণের ঠাই থাকে না।বাসের হেলপার পারলে এক জনকে আরেক জনের কলে বসতে বলে বাসের ভিতরে গরমে ঘামতে থাকবেন তার মাঝে আবার ডানে বামে লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেকে জানলা দিয়ে মাথা বের করে বমি করছে সেই বমির গন্ধের সাথে যোগ হবে আসে পাশের মানুষ এর কাছ থেকে আশা পচা মাছের বা পচা ডিমের গন্ধ সেটাও সয্য করতে হবে।এভাবে যুদ্ধ করে আর যাই হোক দৈনন্দিন অফিস যাওয়া আসলেই খুব কঠিন একট বিষয়।আবার রিকশা ভাড়াও যেভাবে বারছে তাতে সন্দেহ হয় পাচ বছর পর আর ঢাকা শহরে কনো রিকশা থাকবে কিনা পকেটে ৫০০ টাকা নিয়ে বের হলে ৩০০ টাকা রিকশা ওয়ালা কে দিয়ে আসতে হয়।পরিবহনের পিছনে যে খরচ হয় তা এখন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর জন্য আসলেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের জন্য সব থেকে ভালো বুদ্ধি মেয়ে দের জন্য স্কুটি আর ছেলেদের জন্য সাইকেল।আবার যদি বয়স টা কমে যেতো তে হোলে হয়তো একটা সাইকেল কিনতাম আর প্রতি দিন রওনা হোতাম নতুন কনো ট্রিপে।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

সজিব হাওলাদার বলেছেন: মেয়েদের জন্য স্কুটি আর ছেলেদের জন্য সাইকেল-এটাই ভাল।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম সাইকেল চালনোর ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আবার পয়সাও বাচবে

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

সুমন কর বলেছেন: যেখানে সি এন জি ভাড়া কন্টাক্ট এ ছিলো ১৫০ টাকা সেখানে দেয়া লাগলো ২২০ টাকা। টাকাটা হাতে পায়া বেটা সি এন জি ওয়ালা ৩২ টা দাত বাইর কইরা একটা সেই রকম হাসি দিলো মনে হইলো আস্তা মেজিক টুথ পাউডার দিয়া আজকে দাত মাইজা বাইর হইসে। --- কি আর কমু :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.