নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৃহকর্মী সুরক্ষার নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলো

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬


গৃহকর্মী ও শিশু নির্যাতনের খবর গুলো ঘুরে ফিরে বার বার গণমাধ্যম এর শিরোনাম হয়েছে এই বছর।সিলেটের রাজন ,খুলনার রাকিব ,নারায়নগঞ্জ এর নাজিম এর মতো একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা গুলো সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।ভয়ের বিষয় শুধু নিম্ন শ্রেণী নয় এই সব নির্যাতনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ।যেমন কয়েক দিন আগেই ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী এগারো বছরের গৃহকর্মীকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর শিরোনাম হয়েছেন।গৃহকর্মীটিকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার একটি পা ভাঙ্গা একটি চোখ প্রায় নষ্টের দিকে শরীরের সব স্থানে আঘাতের চিন্য পরিষ্কার।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটি ফলাও করে প্রচার করেছে যা দেখে সারা বিশ্বের মানুষ ছি ছি করেছে।বাংলাদেশে শুধু সেলেব্রেটি নয় যারা নীতিমালা তৈরী করেন তাদের বিরুদ্ধেও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আসছে যেমন কয়েক দিন আগেই গাইবান্ধা -১ এর সংসদ সদস্যর বিরুদ্ধে ৯ বছরের শিশুর পায়ে গুলি করার অভিযোগ আসে।এরকম একটা কঠিন সময়ে মন্ত্রীসভা গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা অনুমোদন দিলো।নতুন নীতিমালা অনুযায়ী গৃহকর্মীর বয়স হবে ন্যূনতম ১৪ বছর। ১৪ থেকে ১৮ বছরের শ্রমিকেরা হালকা কাজ করতে পারবে। আর ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা হালকা ও ভারী কাজ করতে পারবেন।মালিক ও গৃহশ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শ্রমঘণ্টা নির্ধারণ করা হবে। গৃহশ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি হবে ১৬ সপ্তাহ। আর অন্যান্য ছুটি আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হবে। কোনো গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে এর বিচার হবে প্রচলিত আইনে।শুধু নীতিমালা তৈরী করলেই হবে না প্রয়োজন হবে আইনের শক্ত প্রয়োগ নিশ্চিত করা।এখনো ঢাকার অনেক বাসাতেই ১৪ বছরের ছোট সুশুদের দিয়ে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করাতে দেখা যায়।ভাবনার বিষয় যারা সমাযে প্রতিষ্টিত যাদের মুখে সুন্দর সুন্দর নীতি কথা তাদের অনেকেই বুঝেও না বুঝার ভান করে নিজের ঘরেই ১৪ বছরের নিচের শিশুদের দিয়ে ঘরের সব কাজ করাচ্ছেন। ভেবে দেখুন যেই বয়সে ওদের স্কুলে যাবার কথা সেই বয়সে তাদের দাস এর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। যেই বয়সে ওদের মাঠে যেয়ে খেলার কথা সেই বয়সে তাদের ঘরে আটকে রেখে কঠিন কাজের ভার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেই বয়সে আমাদের ছোট সন্তান একটি রাতও আমাদের ছারা থাকেতে পারে না সেই বয়সের আরেকটা শুশুকে দিনের পর দিন মাসের পর মাস পরিবার থেকে দুরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। সময় হয়েছে পরিবর্তন আনার শিশু শ্রমকে না বলার। এখনো যেসব বাড়িতে ১৪ বছরের ছোট শিশুদের দিয়ে ঘরের কঠিন কাজ করানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.