নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর অভিযোগে ভারতীয় নৌবাহিনীর আটজন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে কাতার

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬


কাতারের একটি আদালত ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে ।এই ঘোষণার পর নয়াদিল্লি রীতিমতো "চমকে গিয়েছে“।বিষয়টা অতি গোপনীয় এই দোহাই দিয়ে কাতার কর্তৃপক্ষ এবং ভারত সরকার এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি ।ফলে সাধারণ মানুষের কাছে অভিযোগের সঠিক প্রকৃতি এখনো "পুরোপুরি পরিষ্কার নয়"।গত বছর ৩০ আগস্ট কাতারের গুপ্তচর সংস্থা ( কাতার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যুরো ) দোহা থেকে আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।এদের মাঝে সাত জন অবসর নেওয়ার পূর্বে ভারতীয় নৌবাহিনীর কেপ্টেন ও কমান্ডার পদে কর্মরত ছিলেন আর এক জন নাবিক ছিলেন। যুদ্ধজাহাজের প্রশিক্ষক ও কমান্ডেড হিসাবে এদের বিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ।

অবসর নেওয়ার পর প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিরক্ষা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানির সিনিয়র কর্মচারী হিসাবে কাজে যোগদান করেন।এই প্রতিষ্ঠানের মালিক একজন ওমানি নাগরিক, যিনি অবসরে যাওয়ার আগে রয়্যাল ওমানি এয়ার ফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন ।এই প্রতিষ্ঠানে আরো ৭৫ জন কর্মচারী রয়েছে যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরে যাওয়া অভিজ্ঞ কর্মচারী । এই প্রতিষ্ঠান মূলত কাতারি এমিরি নেভাল ফোর্স (QENF) এর কাছে ইতালীয় U212 স্টিলথ সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার কাজ তত্ত্বাবধান করে । কাতারি এমিরি নেভাল ফোর্স (QENF) জার্মান ও ইতালি প্রযুক্তির সমন্বয় করে U212 স্টিলথ সাবমেরিনের একটি ছোট বৈচিত্র্য তৈরী করতে চায় ।সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই সাবমেরিন রাডারে সনাক্ত হবে না। কাতারের জন্য এটি একটি উচ্চাভিলাষী সাবমেরিন প্রকল্প।

প্রাক্তন ভারতীয় নৌ কর্মকর্তারা ইসরাইলের এর সাথে কাতারের সাবমেরিন প্রকল্পের বিভিন্ন স্পর্শকাতর গোপন তথ্য আদান প্রদান করছে। এটি নিশ্চিত হওয়ার পর কাতার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যুরো তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে।আট জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ।গ্রেফতরের খবর শুনে প্রতিষ্ঠানের মালিক দোহায় যান, তখন তাকে ও তার প্রতিষ্ঠানের আরেক জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত কাতারি ব্রিগেডিয়ারকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক দুই মাস আটক থাকার পর জামিন পান। চলতি বছরের মে মাসে কাতার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে এবং প্রতিষ্ঠানে কাজ করা অন্যান্য ভারতীয় প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয় । তদন্তের স্বার্থে কাতার কর্তৃপক্ষ আট জন ভারতীয় প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি গোপন রাখে। গ্রেফতারের কয়েক সপ্তাহ পর কাতার কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দূতাবাসকে বিষয়টি জানায় । ১ অক্টোবর-এ, কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং মিশনের উপপ্রধান প্রাক্তন নৌ অফিসারদের সাথে প্রথম বারের মত সাক্ষাৎ করার অনুমতি পান । ভারত সরকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাতার সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন স্তরে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।যেমন নভেম্বরে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট দোহা সফরে যান সেখানে তিনি প্রাক্তন নৌ অফিসারদের বিষয়টি নিয়ে কাতর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেন কিন্তু কাতার বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় কাতার আদালত রায় ঘোষণা করে। সেখানে আট জন ভারতীয় প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তাদের ফাঁসির দন্ড দেওয়া হয় । কাতার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী নয়। অন্যদিকে ভারত সরকার বলেছে আংশিক রায় প্রকাশ হয়েছে এখনো সম্পূর্ণ রায় প্রকাশ হয় নি তাই তারা মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে। আদালতের রায়ে একই অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ওমানি মালিক ও কাতারি ব্রিগেডিয়ার সম্মন্ধে কিছু বলা হয় নাই।ইতিমধ্যে প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীদের পরিবার কাতারের আমিরের কাছে করুণার আবেদন করেছে বলে শুনা যায় ।ভারত সরকার শুরুতে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল কারণ ভারত ও কাতারের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত বন্দীদের এমন জায়গায় সাজা পরিবেশন করতে বলা হয়েছে যেখানে তাদের পরিবার পরিদর্শন করতে পারে এমন একটা শর্ত রয়েছে।এতে কারাদণ্ডের শাস্তি হলেও প্রাক্তন ভারতীয় নৌ কর্মকর্তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু ভারতীয় অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়াতে ভারত সরকার এখন বেকায়দায় পরে গেছে ।

ভারত ও কাতার সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট ২০০৮ সাল। এই বছরেই প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধান মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে কাতার ভ্রমণ করেন। মনমোহন সিং এর হাত ধরে ভারত ও কাতারের মাঝে সম্পর্কের সূচনা হলেও পরবর্তী সময়ে মোদী প্রশাসন সেই ধারা বজায় রাখে। ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর, কাতারের আমির, শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ভারত সফর করেন।আবার ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদীর একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র সফরে তালিকায় কাতার সংযুক্ত করেন ।এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে একাধিক বার রাষ্ট্রীয় সিফরে কাতার যান। উপর উপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো দেখালেও কিছু বিষয় সন্দেহ সৃষ্টি করে যেমন বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা জুন মাসে একটি টিভি টকশোতে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে মন্তব্যে করেন।এ নিয়ে মুসলিম দেশ গুলোর মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।সেই সময় কাতারই প্রথম দেশ যারা রাষ্ট্রীয় ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে এবং ভারতকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে। এমনকি কাতার এর সুপার স্টোর গুলো সেই সময় ভারতীয় পণ্য বর্জন শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে মোদী প্রশাসন দ্রুত নুপুর শর্মাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চায়। অন্য দিকে মোদী প্রশাসনের দুই চোখের শত্রু জাকির নায়েক বিজেপির ধাওয়া খেয়ে শেষ পর্যন্ত কাতারে আশ্রয় নেয়। শুধু জাকির নায়েক নয় মোদী প্রশাসন বিরোধী অনেকেই কাতরে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে ভারত কাতারের উপর ক্ষুব্দ। সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য সহযোগী আরব দেশগুলি থেকে কাতার একটু ভিন্ন। কাতার আন্তর্জাতিক ভাবে একটি ইসলামিক অভয়ারণ্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে যেখানে তালেবান মোল্লা থেকে শুরু করে হামাস নেতা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে।

ভারতের সামরিক ব্যয় ৬৬ বিলিয়ন ডলার যা কাতারের তুলনায় ১০ গুণ বেশি এবং সক্রিয় প্রতিরক্ষা কর্মীর সংখ্যা কাতারের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন মোদী প্রশাসন জাস্টিন ট্রুডোকে পাত্তা না দিলেও কাতারের বিষয়ে নমনীয়। আট প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তাকে ফাঁসির দন্ড দিয়ে কাতার নিজের অবস্থান আরো শক্ত করেছে।মোদী প্রশাসন কাতারের সাথে আলোচনায় কতটা সুবিধা পাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে এক দিকে ভারত কাতারের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করছে অন্যদিকে ভারতীয়রা কাতারের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায় প্রায় ৮ লক্ষ ভারতীয় কাতরে বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ফলে কাতারের উপর চাপ তৈরী করে কিছু আদায় করা ভারত সরকারের জন্য কঠিন।

কাতারের আদালত এমন একটা সময়ে এই রায় ঘোষণা করলো যখন ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধে ভারত কোন পক্ষ সমর্থন দিচ্ছে তা নিয়ে সবাই বিভ্রান্ত। এক দিকে মোদী সরকার হামাসের হামলার দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করছে আবার অন্য দিকে গাজার বেসামরিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য মানবিক সহায়তাও প্রেরণ করছে। পরে অবশ্য ভারত সরকার জানিয়েছে দ্বি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে তাদের পুরানো অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। অনেকের ধারণা ইসরাইল ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভারত স্পষ্ট অবস্থান না নেওয়াতে কাতার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিদেশী মাটিতে গোয়েন্দা সমর্থিত হামলার অভিযোগ ভারত এর জন্য নতুন কিছু নয়। কিছু দিন আগেই কানাডায় এক শিখ ধর্মীয় নেতাকে উপাসনালয়ের পার্কিং এ অসংখ্য গুলি করে হত্যা করা হয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দাবী করেন এই হত্যাকাণ্ডে সাথে ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত।এমনকি ডি ৮ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো নিজে নরেন্দ্র মোদির কাছে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সাহায্য চান। মোদী সরকার কোনো সহযোগিতা তো করেই নি উল্টা লিস্ট ধরে কানাডার কূটনৈতিকদের বহিষ্কার করে ।গোয়েন্দাদের সংশ্লিষ্টতা প্রমানে ভারত সরকার উল্টা কানাডার দিকে চেলেঞ্জ ছুড়ে দেয়। খুব স্বাভাবিক গোয়েন্দারা অপারেশনের সময় কোনো প্রমান রেখে যায় না। ফলে জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে বিষয়টা প্রমান করা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। তবে পাঁচটি দেশ ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ) এর রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি মিলিত সংগঠন রয়েছে যা ফাইভ আইস নামে পরিচিত তারা জাস্টিন ট্রুডোকে সমর্থন দেয়। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মাঝে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানীতে ঠেকেছে। কাতার কর্তৃপক্ষ ভারত ও কানাডার এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েছে।ভারতের প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি কাতার কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়ার পিছনে এটি আরেকটি অন্যতম কারণ।


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: নিশ্চয় প্রমাণ আছে, না হলে কাতার এমনটা করতান, ভারতের সাথে কাতারের কোন শত্রুতা নেই, প্রচুর ভারতিয় কাতারে জব করে, প্রমাণ আছে বলেই শাস্থিটা দিয়েছে

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ১০০ % নিশ্চিত কাতারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রমান আছে।না হইলে ভারত এতো চুপ থাকে না। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার পয়সা খাইছে।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

বাউন্ডেলে বলেছেন: বাংলাদেশেও কিছু মোসাদের ইনফরমার আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: খালি মোসাদ এর ইনফরমার আপনার চোখে পড়লো ,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কোনো ইনফরমার আপনার চোখে পরে না ?

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভারতের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব পরিস্কার ভাবে বেরিয়ে এলো ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: মুসলিম দেশের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী হবে এটা ইসরাইল বা ইন্ডিয়া দুই দেশের এক দেশও চায় না।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কাতারের আইন যা সঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম রায়টা জানা ছিলো না, ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আরব দেশে রাজা যা বলে তাই আইন। রাজা চাইলে নিঃশর্ত ক্ষমাও ঘোষণা করতে পারে।কাতার এদের ব্যবহার কইরা মোদী প্রশাসন কে টাইট এর উপর রাখবে । কথা না শুনলে ফাঁসি

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরব দেশে রাজা যা বলে তাই আইন। রাজা চাইলে নিঃশর্ত ক্ষমাও ঘোষণা করতে পারে।

সত্য, তদুপরি মনে রাখা প্রয়োজন বেশীরভাগ দেশেই গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ঠিক বলছেন গুপ্তচরবৃত্তির মতো অপরাধের শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত। সত্যি ফাঁসি দিয়া দিলে ভারতের জন্য বিষয়টা খুব লজ্জার হবে। এমনেই ভারত নিজের দেশ বাদ দিয়া অন্য দেশে খবরদারী করে তখন তো সবাই হাসবে আর বলবে নিজের অফিসারও বাচাইতে পারেন না আবার এইখানে মাতব্বরী করতে আসছেন। যদিও আমার মনে হয় কাতার এগুলারে ফাঁসি না দিয়া ভারতের সাথে দরকষাকষির জন্য হাতে রাখবে।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: কাতার আইন মানে খুব কড়াকড়ি ভাবে।
বাংলাদেশের অসত লোকেরা দুবাইতে গাড়ি বাড়ি করে। কিন্তু কাতারে করে না। কাতার সরকার কালো টাকা তাদের দেশে নেয় না। অলরেডি বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কাতারে সাজা ভূগছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: এটা ঠিক রাজীব ভাই বাংলাদেশ থেকা দুবাই আর সিঙ্গাপুরে যেই পরিমান টাকা ঢুকছে সেই তুলনায় কাতারে কিছুই ঢুকে নাই। বিষয়টা স্পর্শকাতর অন্য দিকে ভারত কে অস্বীকার করার উপায় নাই কারণ জনসংখার দিক থেকে বিবেচনা করলে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নরেন্দ্র মোদির অতীত বলে তিনি একজন সন্ত্রাসী,
নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমেরিকার সন্ত্রাসী তালিকায় ছিল
এবং নিষিদ্ধ ছিলো ।

................................................................................................
তার কাছ থেকে যেমন মানবতা আশা করা যায়না
তেমনি ইসরায়েল এর কাছ থেকে মানবিক কিছু আশা করা যায়না ।
উভয় দেশের সন্ত্রাসী গোয়েন্দা বাহিনী আছে যারা বিদেশের মাটিতে
হামলা করে অপসন্দের লোকজন হত্যা করে ।
................................................................................................
বলা চলে চোরে চোরে মাসতুত ভাই ।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভালোই বলছেন আরব দেশ স্টিলথ সাবমেরিন বানাবে এটা ইসরাইল আর ইন্ডিয়া মাইনা নিবে না সেটাই স্বাভাবিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.