নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে তাদের মন খারাপ , সংস্কারে তাদের এলার্জি আছে ,পরিবর্তনের কথা শুনলেই সংবিধান এর দোহাই দেয় ,ছাত্র জনতার উপর তারা ভীষণ বিরক্ত। বয়স্ক গাভী যখন দুধ দেওয়ার ক্ষমতা হারায় তখন খামারিরা সেই গাভী মাংস ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।আমাদেরকেও এখন এই বুড়ো গরু গুলোকে সাইড করে দিতে হবে তা না হলে রাষ্ট্র সংস্কার কাজে এরা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

“একই অঙ্গে কত রূপ “ সেটা জাতীয় পার্টিকে না দেখলে বুঝা যাবে না । সকাল বেলা দলের নেতৃত্ব দেয় রওশন এরশাদ আবার বিকালে নেতৃত্ব দেয় জি এম কাদের। দেবর ভাবীর এই নাটক যে সাজানো সেটা দেশের মানুষ খুব ভালো করে জানে ।নির্বাচনের আগে জি এম কাদের কে ভারত ডেকে পাঠালো সফর থেকে ফেরার পর এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাস করলো কি আলাপ হয়েছে উনি উত্তরে বললেন কি আলাপ হয়েছে সেটা বলা যাবে না ভারতের নিষেধ আছে।এখন জাতীয় পার্টি বলে তারা নাকি বাধ্য হয়ে ডামি নির্বাচিনে অংশ নিয়েছে। নিশ্চই সবার স্পষ্ট মনে আছে নির্বাচনের আগে আসন নিয়ে দেন দরবার করার জন্য সংসদ ভবনের পাশে এমপি হোস্টেলে আমির হোসেন আমু ও হানিফের সাথে চুন্নু পর পর তিন দিন দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং করে।

ডামি নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগ এর সাথে মহাজোট করার ঘোষণা না দিলেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির নির্ধারিত আসন গুলো থেকে তাদের প্রার্থী উঠিয়ে নেয়। বাজারে এমন কথাও শুনা যায় যে জি এম কাদের উনার স্ত্রীকে সংসদ সদস্য বানানোর জন্য সিনিওর নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ এর আসন বলিদান দিয়েছেন ।মজার বিষয় ডামি নির্বাচনের আগে মিডিয়ার সাথে চুন্নু কথা বলতো তখন জি এম কাদের কে দেখা যেতো না আর এখন জি এম কাদের কথা বলে কিন্তু চুন্নুকে দেখা যায় না ।

সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ ভোট হলে জাতীয় পার্টি কয়টা আসন পাবে ? আমার ধারণা দুইটা আসনে জিততেও কষ্ট হওয়া যাবে । এমন একটা নীতি বিবর্জিত রাজনৈতিক দল ছাত্র জনতার বিপক্ষে দাড়ানোর সাহস পেলো কথা থেকে ,স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পিছন থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে । জাতীয় পার্টির যৌবন শেষ এখন বার্ধক্য চলছে । পরবর্তী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে সেটা তাদের কর্মীরাও জানে ।গত বার মানোনয়েনের টাকা নিয়ে সিনিয়র নেতারা ভাগছিলো তখনই কর্মীরা নাকে ক্ষত দিয়া বলছে আর জাতীয় পার্টি করুম না ।

ঢাকায় শেষ কবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ হইছে বলেন দেখি আমার তো মনে পড়ে না ।মহা সমাবেশ আয়োজন করতে তো অনেক খরচ হয় । কর্মীদের বিরিয়ানি খাওয়ানো লাগে ,যাওয়া আসার খরচ দেওয়া লাগে , অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল ,মাইক ভাড়া করা লাগে ।এমন খরচ করার মতো জাতীয় পার্টিতে কোনো নেতা আছে -? আমি তো দেখি না । বুঝাই যাচ্ছে একটা ফ্লপ মহা সমাবেশ হবে জাতীয় পার্টিকে কেউ গণায় ধরে না ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সমাবেশ স্থগিত ! এদের কে ক্ষমতার কাছে ঘেষতে দেয়া উচিত নয়।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: স্থগিত করলো কেন ? আমরাও দেখতাম কতো লোক হয় মহাসমাবেশে। ড্রোন দিয়া ছবি তুইলা অন্যান্য দলের সাথে তুলনা করতাম।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাজে একটা দল!

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ পেছন থেকে এই মহাসমাবেশের যোগান বা উস্কানি দেবে বলেই মনে হচ্ছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

শিশির খান ১৪ বলেছেন: নিশ্চত থাকেন সেটাই পরিকল্পনা ছিল ওদের তো হাতে গোনা নেতা কর্মী মহাসমাবেশ করার মতো নেতা কর্মী কিংবা অর্থ কোনোটাই ওদের নাই।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫৩

একাত্তর একটাই বলেছেন: সরকার প্রচণ্ড বুদ্ধিমান, তারা একসময় নিজেরাই দাঁড়াতে পারবে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আন্তর্জাতিক বেকআপ থাকলে টিকা যাবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাহিনী মানুষ বুইঝা ফেলছে এরা সংস্কার চায় না চায় জমিদারি প্রথা

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: ১৪ বছর পিছনের দিকে হাঁটাকে পরিবর্তন বলে না। এটাকে বলে পশ্চাত গম।পরিবর্তন হলো সামনে গমন।প্রগতি তার নাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: এক দম ঠিক বলছেন ,অনেক দিন পর আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক কিছু শিখলাম

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


যারা জ্বালাও পোড়াও করছে তারা মহাঅন্যায় করছে।
তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এই সব নাবালকদের বালখিল্য আচরণের কারণেই এই সরকার ব্যর্থ হবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন এই সরকার নরম দেখে সবাই পেয়ে বসছে। যদি জ্বালাও পোড়াও না করে তে হইলে জাতীয় পার্টির ভিতরে ছাত্রলীগ ঢুইকা যাবে তখন ওরা উলটা ছাত্র জনতাকে পিটানো শুরু করবে। যেহেতু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না তাই ছাত্রদের নামতে হচ্ছে আর কোনো উপায় নাই।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৫

প্রহররাজা বলেছেন: টোকাই ছাত্র আর সেনা দিয়ে ইউনুচ বুড়া টিকে আছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: কি বলে সেনাবাহিনী পক্ষে থাকলে আরফাত ,হাসান মাহমুদ ,হারুন ,বিপ্লবের মতো ক্রিমিনাল গুলা পালায় কেমনে ? পাবলিক শতভাগ ইউনুস সরকারের পক্ষে। বাংলাদেশে কোনো ভদ্রঘরের ছেলে রাজনীতি করে না সব চাঁদাবাজ নেশাখোর টেন্ডাবাজ রাজনীতি করে। টোকাই দের দিয়া কারা ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারছে সেটা দেশের জনগণ জানে । ছাত্র লীগের সোনার ছেলেরা যে টোকাই দের সাথে এক হয়ে সাধারণ ছাত্রীদের পিটাচ্ছে এমন ভিডিও দেখতে চাইলে ইউ টিউব এ সার্চ দেন পায়া যাবেন।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই জায়গায় আমি মনে করি ছাত্র জনতা ভুল করেছে । জাপার নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত এবং এদের নেতাদের সরকারের অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। এরপর মিডিয়ার উচিত তাদের দুর্নীতির আদ্যপ্যান্ত জনগনের সামনে স্ববিস্তারে তুলে ধরা। তাহলে আপনাতেই এরা মুখ থুবরে পড়বে। এদের বিরুদ্ধে মিছিল করে, পার্টি অফিসে আগুন দিয়ে সরকারকে অযথা বিব্রত করা এবং জাপার বুইড়া শেয়ালদের অযথা দুইটা কথা বলার সুযোগ একেবারেই দেয়া উচিত হয় নাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সময় তো কম ,এরা তো আজকে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিছিলো। মামলা করতে তো সময় লাগে অভিযোগ তৈরী করতে হবে কিছু প্রমান একাট্টা করতে হবে তারপর মামলা দিয়া গ্রেফতার করতে হবে এতো সময় তো নাই। আর অন্য কোনো উপায় ছিল না।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ইহা অস্থায়ী ও সংবিধান বহির্ভুত সরকার।
কিন্তু ভাব দেখে মনে হয় ইহা বুঝি বিএনপি কিংবা আলীগ সরকার।
মানুষ খেপবে খুব তাড়াতাড়ি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সংবিধান বহির্ভূত সরকার ! কোন সংবিধানের কথা বলতেছেন
যে সংবিধান অনুযায়ী রাতের ভোট ও ডামি ভোটের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।
যে সংবিধান অনুযায়ী ভিন্ন মতের মানুষেকে আয়না ঘরে ঢুকিয়ে বছরের পর বছর নির্যাতন করা যায়।
যে সংবিধান অনুযায়ী একের পর এক ব্যাংক দখল করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা যায়।
যে সংবিধান অনুযায়ী হেলিকপ্টারে স্নাইপার বসিয়ে ঘরের ভেতরের দুধের শিশুদের হত্যা করা যায়।
যে সংবিধান অনুযায়ী রেল করিডোর দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সৈন্য ও অস্ত্র দেশে ঢুকানো যায়।
যে সংবিধান অনুযায়ী ফেলানির মতো কিশোরীকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা যায়।
যে সংবিধান অনুযায়ী নদীতে বাঁধ দিয়ে দেশকে মরুভূমি বানানো যায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মানুষ মোটেও খেপবে না কারণ মানুষ ভালো মতোই জানে আওয়ামীলীগ ,বি এন পি কি জিনিস। সেই জন্যই দেশের মানুষ সংস্কারের দায়িত্ব দিয়ে ইউনুস কে ক্ষমতায় বসাইছে। সংস্কার না করলে বি এন পি কেও আওয়ামীলীগ এর মতো পিটানি খাইতে হবে। দেশটা কারো বাপের না। পাগল ও নিজের ভালো বুঝে। কিছু মার্ক মারা বোকা চোদা দালাল ছাড়া আর কেউ আওয়ামীলীগ বি এন পি র দিকে যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.