নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম দাঁড়ায় যায় , মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় , মনে হয় আছাড় মাইরা টেলিভিশন ভাইঙ্গা ফেলি তারপর ও অনেক কষ্টে করে পুরো সাক্ষাৎকারটা দেখলাম ।
সাক্ষাৎকারের সারমর্ম , ওয়ান ইলেভেন এর তত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামীলীগ ও বি এন পি যেভাবে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছিলো ঠিক একই স্টাইলে আবার নামতে হবে। দুই দল একত্রে নামলে ছাত্র জনতার সংস্কার আন্দোলন রুখে দেওয়া সম্ভব। আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীরা বি এন পি র নেতৃত্বে আন্দোলনে নামার জন্য প্রস্তুত এখন খালি মির্জা ফখরুলের হে শুনার অপেক্ষায় আছে তারা। তিনি বলেন মির্জা ফখরুল ও অন্যান্য বি এন পি নেতাদের কর্যক্রমে আওয়ামীলীগ নেতারা সন্তুষ্ট কারণ তারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করেছে , হাসিনার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরাতে বাধা দিয়েছে ,সংবিধান সংস্কারে রাজি হচ্ছে না ,তাদের দোসর জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ করেছে। আওয়ামীলীগ আবার রাজনীতিতে নামার জন্য বি এন পি র যেকোনো শর্ত মেনে নিতে রাজি।
এ ক্ষত্রে মির্জা ফখরুল আরো এডভান্স উনি দুই মাস আগেই ভারতের রাষ্ট্রদূত কে আস্বস্থ করেছেন যে বি এন পি ক্ষমতায় গেলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহার করতে পারবে না। সে সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন বি এন পি দেশে ওয়ান ইলেভেন এর মতো মাইনাস টু ফর্মুলা দেখতে চায় না, আবার মৌলবাদ জঙ্গিবাদের উত্থান দেখতে চায় না। ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের পর মির্জা ফখরুলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও কথার ধরণ পালটে গেছে। আগে উনি ঠান্ডা মেজাজের মানুষ ছিলেন ভদ্র শালীন ভাষায় কথা বলতেন। এখন উনার কথা ধরন খুব রুক্ষ মনে হয় ইদানিং নেতা কর্মীদের সাথে মারমূখী আচরণ করেন। ওই দিন দেখলাম জিয়ার মাজারে ফুল দেওয়ার সময় নেতা কর্মীদের ভিড় ও ধাক্কা ধাক্কি দেখে খুব বিরক্ত হয়ে গেছেন এক সময় মেজাজ হারিয়ে নিজ দলের নেতা কর্মীদের সবার সামনে চর থাপ্পড় মারা শুরু করলেন ।
“যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর “ আমাদের এখন সেই অবস্থা। লক্ষ করে দেখবেন বি এন পি র পেশাজীবী সংগঠন এর নেতারাও এখন আওয়ামীলীগের শুরে কথা বলে। বি এন পি সমর্থক ব্লগাররা ইউ টিউবে ভিডিও আপ করলে সেখানে আওয়ামীলীগ কর্মীদের কমেন্টে ভোরে যায়। বি এন পি কোন লাইনে আগাচ্ছে সেটা মনে হয় সবাই ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন । জামাতের আমির ৫ আগস্টের পর প্রথম জনসভায় বলেছিলো এখনো আন্দোলন শেষ হয় নাই সমানে আরো বড় ত্যাগের জন্য নেতা কর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। তখন তার কথা শুনে আমার কাছে কেমন জানি খটকা লেগেছিলো এখন ধীরে ধীরে বুঝতেছি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জামাতকে পছন্দ করি না তবে তাদের অনেক কিছুই অনুসরণ করার মতো। জামাত নেতারা জোর জুলুম করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে না। তারা তাদের নেতা কর্মীদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় একবারে পড়ালেখা থেকে শুরু করে বিয়া চাকরি সব দায়িত্ব তারা নেয়। ইদানিং বি এন পি ও আওয়ামীলীগ দুই দলই আমার কাছে এক মনে হয়। এরা গণতন্ত্রের নাম জমিদারি প্রথা চালায় মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হয় ,সংসদ সদস্যের ছেলে সংসদ সদস্য হয় ,মেয়রের ছেলে মেয়র হয় আর ছাগল কর্মী গুলা সারা জীবন কর্মী থাকে। চাঁদাবাজি ,টেন্ডারবাজি ,মাস্তানি, দুই নাম্বারি ব্যবসা করলে রাজনৈতিক শেলটার লাগে তারাই মূলত এই দুই দলের কর্মী হয়।
এই বার যদি ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হয় তে হলে কাকে ভোট দিবো সেটাই ভাবতেছি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: এটারে দেখলে এতো মেজেজ খারাপ হয় মনে হয় তুইলা আছাড় মারি কোন শালা যে ওরে পার করলো সেটাই ভাবি মনে হয় ভালোই মাল পানি দিয়া আউট হইছে।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামায়াতের কোন কিছুই অনুসরণ করার মতো নয়। এরা মুখে এক অন্তরে অন্য কথা বলে। বিএনপি আওয়ামী লীগ কে স্পেস দিচ্ছে কারণ বিভিন্ন ফাউল ইউটিউবাররা ভিডিও দিয়ে আতংক ছড়াচ্ছে যে এইবার মাইনাস টু হবেই। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো শক্তি বিএনপির নাই। জামায়াত ১/১১ এর সময় ও সেনা শাসনের পায়ে পায়ে ঘুরতো।এখন ও ঘুরছে। জামাত ক্ষমতায় গেলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না। ভারত- আমেরিকা এমন চাপে রাখবে যে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমেরিকা -ভারত চায় না রাস্ট্রপতি অপসারণ হোক, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক।বিএনপি তাই সা্হস করে এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিপক্ষে দাড়িয়েছে। তবে যাই বলেন ছোট দলগুলো সব বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সব বাইরের খেলা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আমি আপনার সাথে এক মত না ,বি এন পি এখন আওয়ামীলীগের মতো হওয়া গেছে দিন দিন জনপ্রিয়তা কমছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিবে তখন মানুষ বদ্ধ হয়ে জামাত কে ভোট দিবে। সংস্কার এর বিপক্ষে গেলে বি এন পি র রাজনীতি এখানেই শেষ হবে।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮
প্রহররাজা বলেছেন: ইউনুচ সাহেবও গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে চেয়ার দখল করসিলো
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হাস্যকর কথাবাত্রা আপনাদের কি বিন্দুমাত্র লজ্জা সরম নাই। দেশের জনগণ ইউনুস কে ফুল দিয়ে বরণ করছে আপনাদের নেত্রী কোথায় ?
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভালো লাগুক আর না লাগুক আওয়ামীলীগ কে লাগবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনি ভেতরের মানুষটা মারা গেছে। খারাপ লাগে না এতো গুলা মানুষ তাদের সন্তান ,বাবা, মা কে হারাইলো আর আপনি তাদের খুনির পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন।বোকা রাতের ভোট , ডামি ভোটের মাদ্ধমে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। কেন যে এই সব হাস্যকর কথা বলেন বুঝি না।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
প্রামানিক বলেছেন: কার ভালো কোন সরকার বোঝা মুশকিল
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,দাদা আপনি ঠিক বলছেন একেক জনের হিসাব একেক রকম চাহিদা আর প্রত্যাশার উপর নির্ভর করে
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিএনপি বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে। সেটা আঁচ করেই আওয়ামী লীগের সুরে কথা বলছে। বিএনপির ন্যূনতম হলেও দেশপ্রেম আছে কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসা ভদ্রলোক দেশকে বিক্রি করে ছাড়বে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বি এন পি র দেশ প্রেম আছে ? তিন মাসের হইছে এর মধ্যে দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিছে এটা কেমন দেশ প্রেম ভাই। উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক না উনাকে পনেরোশো মানুষ নিজের জীবন দিয়ে বসাইছে । আপনার কি মনে হয় বি এন পি ক্ষমতায় গেলে কয় দিন টিকবে ? এক বছরের মধ্যে ভারত গুটি কইরা নামায় দিবে লেইখা রাখেন। বি এন পি অনেক আগেই হাইজ্যাক হওয়া গেছে প্রথম সারির অর্ধেক নেতা ভারতের দালাল সেটা সবাই জানে।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপির মুখোশ যে এত দ্রুত খুলে যাবে আগে বোঝা যায় নাই। তবে এক দিকে ভালই হয়েছে। দুই দুর্নীতিবাজ দলই পরাস্ত হবে আইনের সামনে। আওয়ামিলীগ এর বিচার শুরু হলেই নেতাদের কথাবার্তা সব বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে তারেক রহমান দেশে এলেও গ্রেফতার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কোন অবস্থাতেই আইনের বিরুদ্ধে যাবার উপায় নাই। এর পরের ধাপ নির্বাচন। সংস্কার করা হচ্ছে নিশ্চই চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের মনোয়নপত্র বিক্রি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় যাওয়া নিশ্চিত করতে নয়। আর বৈষম্যবিরোধি ছাত্র সংগঠনের নেতারাও বসে নাই। তারাও তৈরী হচ্ছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সেটাই এতো গুলা মানুষ জীবন দিলো কি ফাও ? সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাওয়া যাবে না সোজা কথা। রক্তের দাগ শুকানোর আগেই আওয়ামীলীগের হয়ে দালালি শুরু করছে। ভন্ড এদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইউনূসকে না বসালে চলত না। বিকল্প ছিলও না। যদিও আওয়ামী লীগের উৎখাতে আমেরিকার হাত ছিল। ইউনূস তাদের পছন্দ। ভারতের প্রভাব মনে হয় পুরোপুরি কমানো যাবে না। আর বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে পারলে সমস্যা কী?
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ইউনুস এর চে যোগ্য আর কেউ নেই। ভারত যে ভাবে একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে তাতে রাষ্ট্র চালানো কঠিন বি এন পি যদি শক্ত থাকতো তে হইলে ভারত সুবিধা করতে পারতো না । নেয্য হিস্যা তো দূরের কথা বি এন পি ইতিমধ্যে ভারতের ফাঁদে পা দিয়া বইসা আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরশাদের পর দ্বিতীয় বেহায়া!