নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত সীমান্ত দিয়ে বোমা তৈরির রাসায়নিক সরঞ্জাম ঢুকাচ্ছে সমীকরণটা আপনারাই মিলিয়ে নেন

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ থানা অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ বস্তা ( ১৭৫০ কেজি সালফার ) এবং এক বস্তা ভাঙা কাচ উদ্ধার করেছে। তদন্তে জানা যায় এই রাসায়নিক দ্রব্য গুলো ভারত সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ককটেল-বোমা তৈরিতে সাধারণত তিন ধরণের রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার হয়ে থাকে তার মধ্যে সালফার সবচে গুরুত্বপূর্ণ। সালফার তীক্ষ্ণ তেজে জ্বলে তাই ইংরেজিতে একে ব্রিমস্টোন বা গন্ধক বলা হয়। সালফার সহজেই অন্যান্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে, বিশেষ করে বারুদের মতো যৌগ গঠনে।সালফার এর দহন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস এবং তাপ তৈরি করে, যা বিস্ফোরক প্রভাব তৈরি করে। সালফার-ভিত্তিক বিস্ফোরকগুলি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, যা অন্যান্য বিস্ফোরক যৌগের তুলনায় পরিচালনা করা সহজ।

অভিযানে সালফারের সাথে ভাঙা কাচ ও নুড়ি পাথর উদ্ধার হওয়াতে এটা স্পষ্ট যে এগুলো বোমা তৈরির উদ্দ্যেশেই আনা হয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও গণমাধ্যম এর অন্যান্য খবরের মাঝে এই খবরটি চাপা পরে গেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একটি মহল অনেক দিন থেকে চেষ্টা করে আসছে। কোনো ভাবেই তারা সফল হচ্ছে না এখন তারা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। এক দিকে অবুঝ কাঠ মোল্লারা ডেইলি ষ্টার এর সামনে জুম্মার নামাজ আদায় করছে , প্রথম আলোর সামনে গরু কেটে জিয়াফত কর্মসূচি করছে অন্যদিকে ভারত সীমান্ত দিয়ে বোমা তৈরির রাসায়নিক সরঞ্জাম ঢুকাচ্ছে সমীকরণটা আপনারাই মিলিয়ে নেন।

ভারত নিজের স্বার্থের জন্য কতটা নিচে নামতে পারে তার উদাহরণ কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কানাডার নাগরিক হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকান্ড। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করে বলেন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী সরাসরি জড়িত। ২০১৫ সালে নেপালের পার্লামেন্টে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান যথেষ্ট ব্যাপকভিত্তিক হয়নি এই অভিযোগ এনে ভারত নানা ভাবে নেপালের উপর চাপ প্রয়োগ শুরু করে। সে সময় ভারত নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দুই মাসের বেশি সময় নেপালে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখে। ফলে ভারত থেকে জ্বালানি, ওষুধসহ সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি নেপালের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ব্যবহারের ওষুধসহ জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ভারত ।

ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাঠ মোল্লাদের হাতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম তুলে দিলে অবাক হবো না। অনেক দিন থেকেই গদি মিডিয়া প্রচার করছে যে তাদের দাসী হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ লিবিয়া , সিরিয়া , আফগানিস্তান এর মতো হয়ে যাবে। এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তারা তা বিশ্বজুড়ে প্রচার করতে পারবে। মরিয়া ভারত নিজের স্বার্থের জন্য সব কিছু করতে পারে। একটা বিষয় লক্ষ করে দেখেন ,আমরা যখন লাথি দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ভারত পাঠায় দিলাম। তখন ভারতের বিজেপি কংগ্রেস সহ সব রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলো যে তারা হাসিনাকে আশ্রয় দিবে। তার মানে জাতীয় ইস্যু কিংবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের সব রাজনৈতিক দল মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ আমাদের দেশে যখন ভারতের মদদে ইসকন ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ মিলিত হয়ে আদালতের বারান্দায় আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সে বিষয়ে বি এন পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথম দিন কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন । উনার একটাই প্রশ্ন নির্বাচন কবে ?

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

জেনারেশন৭১ বলেছেন:



ভাংগা কাঁছ, নুড়ি পাথর ও সালফার কেন? দরকার ইউরেনিয়াম!

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: কাচের ভাঙা টুকরো বোমায় স্প্লিন্টার হিসেবে ব্যবহার হয়। বিস্ফোরণের পর কাচের টুকরো গুলো দিক বেদিক ছুটে মানুষের শরীরে ঢুকে যাবে।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জনাব আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে সেনাবাহিনীর উপর! শেখ হাসিনাকে সেইফ এক্সিট না দিয়ে জেলে ঢুকানো হলে বর্তমানে সংঘটিত অনেক সমস্যা হওয়ার চান্স ছিলো না। ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিম, তাপস, হাসান মাহমুদ ও নওফেলের মতো আঞ্চলিক বড়ো নেতাদের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী! চিটাগং এখন যা হচ্ছে এর পিছনে নওফেলের হাত আছে আমি ১০০ ভাগ শিউর! নওফেল এমপি হওয়ার পর থেকে ইসকন কে হাওয়া দিয়ে এই পর্যায়ে এনেছে। আইনজীবী হত্যা মামলার জন্য যাদের আটক করেছে সেখানে নওফেলের লোক আছে। ঢাকা ও চিটাগং শহরের বেশিরভাগ এমপি ও শেখ হাসিনার আত্নীয় স্বজন কে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে ভোম্বল ওয়াকার উজ জামান।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,নওফেল সরাসরি ইস্কনের সাথে জড়িত। চট্টগ্রামের ঘটনায় ১০০% নওফেলের ইন্ধন রয়েছে। সাবাইকে ছাইড়া দিছে এমনকি কুমড়ো পটাশ আরাফাত কেও ছাইড়া দিছে। এই ভুলের মাশুল দেশের জনগণের দিতে হবে এদের ছাইরা দেওয়াটা ঠিক হয় নাই। আমার ও ভীষণ রাগ উঠে।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সোনাগাজী ব্যাক!

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: তাই সোনাগাজীর আইডি ব্লক উঠায় নিছে ?

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

কথামৃত বলেছেন: যে কোন উগ্রবাদীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: উগ্রবাদীদের তো মাথায় কিছু নাই এদেরকে পিছন থেকে অন্য মানুষ চালায়।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: জোরজবদস্তি করে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন?
ভারত থেকে বহু কিছু আসে আমাদের দেশে। এটা আমাদের ভাগ্য।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: দাদা আমি জবরদস্তি করে কিছুই প্রমান করতে চাইছি না। পুলিশ তদন্ত করে বলেছে এই ইউরেনিয়াম ভারত থেকে এসেছে। যে ভাবে ভাগ্যের কথা বললেন মনে হয় ভারত আমাদের সব কিছু ফ্রি দেয়। আপনাদের আল্লাদ পেয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মতো থার্ড ক্লাস বিজেপি নেতা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ও ভালো সংবাদটা আপনাকে দিতে ভুলে গেছি এখন পাকিস্তান থেকে কার্গো ভেসেল সরাসরি বাংলাদেশে আসা শুরু করেছে।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

বক বলেছেন: "ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাঠ মোল্লাদের হাতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম তুলে দিলে অবাক হবো না।"
একটু সংশোধন- কাঠ মোল্লাদের বদলে কাঠ-ইস্কনদের হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: দেখেন ইস্কনরা বোম ফাটাইলে আমাদের প্লাস পয়েন্ট তখন উলটা ভারতের মুখ বন্ধ হওয়া যাবে কিন্তু কাঠ মোল্লাদের ব্রেইন ওয়াশ দিয়া হাতে একটা ককটেল ধরায় দিতে পারলে ওদের লাভ তখন রিপাবলিক বাংলা টিভির ওই মলম বিক্রেতা সারা দিন লাফায় লাফায় বলবে বাংলাদেশ সিরিয়া ,আফগানিস্তান ,লিবিয়ার মতো হওয়া গেছে। আর কাঠ মোল্লারা তো বলদ ক্যাটাগরির এখন এমন সময় প্রথম আলোর অফিসের সামনে গরু কাইটা জিয়াফত করতে কইছে কেডা ? যে কইছে সে শয়তান আর যারা করতেছে তারা বলদ।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ভারত কি সত্যি এসব করেছে? রাজীব নূরের মত আমার ও প্রশ্ন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: যেখানে সীমান্তের কাছে গেলে ডাইরেক্ট গুলি করে সেখানে ৩৫ বস্তা বোমা তৈরির রাসায়নিক কিভাবে বর্ডার পার করে বাংলাদেশে ঢুকলো ? ভুলে গেলেন এই বারের আগের বার নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ কিভাবে জঙ্গি নাটক সাজাতো।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০১

বক বলেছেন: আপনি যেভাবে ভাবছেন, সেটা ফেব্রিকেটেড, বা তিলে তিলে (ওদের দ্বারা) তৈরি করা আম জনতার পারসেপশন। বাস্তব টা উল্টা। ইস্কান্দার বোম না আপনার আমার কাছের লোকজনকে লাইভ কুপিয়ে মারলেও ভারতের মুখ তো বন্ধ হবেই না উল্টো হুমকি পাবেন। আর মোল্লারা মন্দির পাহারা দিলেও বলবে , মুসলমানরা মন্দির ঘিরে রেখেছে হিন্দুদের কে মারার জন্য। এসব শয়তানি সার্পোট দেয়ার জন্য দেশের বাম, সুশীলরা তো আছেই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ঠিক বলছেন আমি আপনার সাথে এক মত। সুশিলরা যেভাবে না পাওয়ার বেদনায় পোলটি মারতেছে তা সত্যি ভাবিয়ে তুল ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৪

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বিএনপি নিজের সহ দেশের বিপদ ডেকে আনতে চাচ্ছে। দুই পত্রিকা অফিসের সামনে শান্তিপুর্ন প্রতিবাদ কর্মসুচীর সাথে দেশের অস্থিতিশীলতার কোন সম্পর্কই নাই। বিএনপি এটাকে হাইলাইট করে উলটো ষঢ়যন্ত্রকারীদের পারপাস সার্ভ করছে। মির্জা ফখরুল পুরা মীরজাফরে পরিনত হয়েছে। দেশের বাইরের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের ওপড় আস্থা রাখতেই হবে। কারন বিশ্ববাসীকে আসল সত্য জানানোর কাজটা এরাই করে। এদেরকে থামানোর জন্য মীড়জাফর মির্জা মাঠে নেমেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: কয়েক জন হুজুর যদি পত্রিকা অফিসের সামনে বসে গরু জবাই করে সেটা সারা পৃথিবীর মানুষকে কি ম্যাসেজ দেয় ? প্রতিবাদ শান্তি পূর্ণ ভাবে করলে কেউ বাধা দিতো না।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: প্রতিবাদের কায়দায় আমাদের আপত্তি থাকতে পারে , কিন্তু প্রতিবাদে নয়। পত্রিকা অফিসের সামনে নামাজ পড়া, গরু কেটে জেয়াফত করা কিছু মূর্খ দের কর্মসুচী পুলিশ বানচাল করে সঠিক কাজই করেছে। কিন্তু এর সাথে দেশের অস্থিতিশিলতার কোণ সম্পর্কই নাই। দেশীয় কিছু চিহ্নিত গনমাধ্যমের বিরুদ্ধে যেসব অনুসন্ধানি প্রতিবেদন তৈ্রী করছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা সেসব কিন্ত খুবই জরুরী। ভেবে দেখন যে আজকে যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকত , তবে কি জুলাই-অগাস্ট বিপ্লব সফল হতে পারত ? আমাদের গনমাধ্যগুলো কি সেই সময়ে জনগনের পাশে ছিল? গনমাধ্যম যদি জনগনের জনগনের কন্ঠস্বর না হয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর পারপাস সার্ভ করে , তবে ফ্যসিবাদের কবল থেকে আমাদের মুক্তি নাই।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৪

আজব লিংকন বলেছেন: বিষয়টা বেশ চিন্তাজনক কিন্তু এইসব বিষয়ে আমরা সাধারণ মানুষ যদি চিন্তা করি তবে বর্তমান ক্ষমতায় এবং আসনে থাকা মানুষদের কাজটা কি?
বর্তমান যে কোন পরিস্থিতির জন্য দায়ভার বর্তমান সরকারের।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.