নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

িবশুদ্ধ এটম

বিশুদ্ধ এটমের আঘাতে শুদ্ধ বিস্ফোরন

িবশুদ্ধ এটম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনৈক লেখকের প্রতি এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের প্রতি

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মাননীয় লেখক! ইদানীং আপনাকে বিভিন্ন টক শো এবং লেখালেখিতে দেখতে পাওয়া যায়। আপনার প্রতি কথায় যথাযথ যুক্তি থাকে এবং আমি মনযোগ দিয়ে তা শুনে থাকি। সম্মপাদকীয় কলাকগুলি মোটামুটি পড়ে থাকি। আপনার বক্তব্যে সব জায়গা আশার কথা থাকে, ভাবনার কথা থাকে এবং আপনার কথায় সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করেন। যেমন-বাংলাদেশের রাজনীতি, ইসলাম, ইতিহাস, সরকারী দল, বিরোধী দল, সাধারণ লোকের পছন্দের লোক অথবা অপছন্দের লোকের ক্ষেত্রেও।এমনকি এদেশের ওলী আউলিয়াদেরসহ আলেম ওলামাদের নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু আমি কনফিউজড আপনি আসলে কোন অবস্থানে বসবাস করেন?



প্রত্যেকটি মানুষের তার নিজ বিশ্বাসের ফলে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান থাকে।কিন্তু আমি আপনার যথাযথ অবস্থান দেখিনা। আপনাকে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতে দেখি। মাঝে মধ্যে মনে হয় আপনি সুবিধাবাদি, আবার মনে হয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনি একজন প্রতিবাদি, আবার মনে হয় আপনি কোথাও একটু ভয় পেয়ে কথা বলেন। যেমন সরকারের সমালোচনা করেন, আবার প্রশংসার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যান। তাই উদাহরন দিয়ে বলি-



“ একসময় বিয়ে বাড়ীতে বাড়ীর চারদিকে ঝাড় বাতি লাগানো হতো।এখনকার মতো ছোট ছোট নিয়ন আলোর বাতি দিয়ে নয়। তখন বড় বড় 100 ভোল্টের বাতি দিয়ে এসব ঝাড় বাতি গুলি বানানো হতো। যখন তাতে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হতো। তখন বাতি একটার পর একটা মিটমিট করে জ্বলতো এবং মনে হতো বিজলী (কারেন্ট) গুলি দৌড়াচ্ছে অর্থাৎ এক বাতি হতে অন্য বাতি, অন্য বাতি হতে তারে পরে বাতিতে যেত। প্রত্যকটি বাতি বিভিন্ন রংয়ের হওয়া যখনই একটি বাতি ছেড়ে অন্য বাতিটি জ্বলে উঠতো তখনই অন্য কালার ধারণ করতো। অর্থাৎ একটি রং দেখতে পেতাম না। পরিবর্তিত রং দেখতে পেতাম। (বুঝতে পারছেন আমাদের মনে কি অবস্থা)



তাই বর্তমানে আমরা কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। আসলে কে সুবিধাবাদি আর কে সুবিধাবাদি নয় বুঝতে পারছিনা। বর্তমান সময়ের লেখন, বুদ্ধিজীবি, লেখন, কলামিষ্টদের সম্পর্কে যথার্থ ধারনা তৈরী হচ্ছে। অনেকেই তারা তাদের অবস্থান পরিস্কার করে ফেলেছে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায়-



“ কোন এক মৌসুমে একটি পুকুর বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষা সরে গেলে পুকুরটি নতুন পানিতে চকচক করতে থাকে, আস্তে ব্যবহারের ফলে পুকুরটি কলুষিত হতে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায় মানুষ এই পুকুরে নামলে শরীরের ক্ষতি হয়, নানান রোগে আক্রন্ত হয়, মাঝে মধ্যে পা কেটে যায় অর্থাৎ ব্যবহারের অনুপেযোগী হয়ে উঠে। যখন আস্তে আস্তে পানি শুকিলে গেল তখন দেখা গেল পুকুরের তলায় অনেক ভাঙ্ড়া ঝিনুক, কাচ ভাঙ্গা, লোহা, তার কাটা, ভাঙ্গ ছুরি ইত্যাদি নানা ধরনের ক্ষতিকারণ দ্রব্যাদি।ফলে পরিস্কার করা সম্ভব হয়। আর যখন পুকুরের শুকনা মাটিতে নিরানি (আচর) দেয়া হলো তখন আরো বড় বড় কাচের টুকরা, অত্যন্ত ভয়ংকর ক্ষতিকারক দ্রব্যাদি বের হল। ফলে মানুষ ঐ পুকুরের ভয়ংকর অবস্থা দেখতে পেল। যদি নিরানি দেয়া না হতো অর্থাৎ আচরানি দেয়া না হতো তাহলে কি অবস্থা হতো তা সহজেই অনুমেয়। এই গুপ্ত ক্ষতিকর কাচের টুকরা গুলো পরবর্তীতে আবার বর্ষার সরে যাবার পর মানুষেকে দ্বিগুন ক্ষমতা নিয়ে মানুষের ক্ষতি করতো।



তাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার সাথে সেই সকল কাচ ভাঙ্গাগুলি এতদিন পানির নিচে ছিল যা মাঝে মধ্যে মানুষের পায়ে আঘাত করতো। বর্তমান সময়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই শুকনা পুকুরের নিচের অংশে এমন আচর দিয়েছেন (তাঁর আর্শীবাদের কল্যাণে) যে, আমরা সাধারণ জনগন সেই সকল কাচ ভাঙ্গ, ঝিনুকের টুকরো (তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, কলামিস্ট, লেখন, অধ্যাপক, সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংস্কৃতিক কর্মী ইত্যাদিসহ আরো অনেককে) গুলোকে চিনে ফেলেছি। তাই আমরা সাবধান হওয়ার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানন্ত্রীর এসব কাচ ভাঙ্গা দ্বারা যতটুকু উপকার হয়েছে তার চেয়ে আমাদেরকে তিনি বেশি উপকার করেছেন তথাকথিত বাম, বুদ্ধিজীবি, লেখন, দালাল, সংস্কৃতিক অংগনে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকারণ পদার্থগুলিকে চিনিয়ে দিয়ে। তিনি এসব পদার্থ না চেনালে আমরা কখনোই তাদের চিনতাম না। ফলে তাদের সামাজিক ভন্ডামির কাছে আমরা বার বার ধরা খেতাম। সবই আল্লাহর ইচ্ছায়।



তাই লেখকের প্রতি অনুরোধ আপনার স্বতন্ত্র অবস্থান আমাদের কাছে আপনার লেখনি অথবা বাচন দিয়ে পরিস্কার করুন এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের মনের অবস্থান অনুভব করুন আপনার কথায় আমাদের যে এটি মনে না হয় যে আপনি কারো লেজুর বৃত্তি করছেন।......আমাদের মঙ্গলের জন্য এতসব কথা।



সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ (লাগামহীন বাকযুদ্ধে অবস্থানকারী অন্ধ সৈন্যদের জন্য) জেনে রাখা ভালো “ একটি বিশেষ জায়গায় অবস্থানকারী এই তরুনরাই তরুন প্রযন্ম নয়, আরো তরুন প্রজন্ম আছে (পর্যবেক্ষনকারী), এই তরুন প্রজন্মরাই নিবে সে দিনের ও কাছে”, অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে তারা দেশের হাল ধরবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.