নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

িবশুদ্ধ এটম

বিশুদ্ধ এটমের আঘাতে শুদ্ধ বিস্ফোরন

িবশুদ্ধ এটম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় কি দেখিতেছি.....সব বুড়া আর মেয়ে ছেলে দিয়া ভরা। বাকস্ ওপেন করিয়া দেখি কোথাও কোন যুবক ছাওয়াল নাই। যুবক ছাওয়াল সব কি মরিয়া গেল ? :(

০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

আমি ভাই তেমন কিছু লিখিবার পারি না। মনে যাহা প্রশ্নের উদ্রেক করে তাহাই লিখিবার চেষ্টা মাত্র করিয়া যাইতেছি মাত্র। দৈবাত একদিন টিভি বাবারে টোক্কা মারিয়া ওপেন করিয়াই বহুত চ্যানেলে ঘুরাঘুরি করিয়া যাইতেছি। কিন্তু কোথাও মন বসিতেছিল না। শেষমেষ মনে হইল প্রাচীন ঐতিহ্যের ভরপুর বাংলা টিভি (বিটিভি) ঘুরিয়া আসি। ইহাতে পুরান চালের গুনগান গাহিয়া আসি। হস্তে ধারনকৃত দন্ডটিকে বাংলা টিভিতে বাড়ি মারিলাম। বাহ যথারিতী কানেকশন লাগিয়া গেল। যাহা দেখিতেছিলাম রাগে দুঃখে আমার চুল ছিড়িবর উপক্রম হইল। গনতন্ত্রের কুড়ে ঘরে এত বুড়া মানুষ আসিল কোত্থেকে। এই বুড়া মানুষ গুলাই কি দেশে গণতন্ত্র ধরিয়া রাখিয়াছে। দেশে কি জোয়ান লোকের আকাল পড়িয়াছে ?X(



কাগজে কলমে, সাহিত্যে, ইতিহাসে, যুদ্ধে, শান্তিতে সব খানে যুবককে প্রাধান্য দিয়া আসিতেছে কিন্তু একি হায়! এসব কি দেখিতেছি। ইনাদের তো অধিকাংশ ধর্মে কর্মে ব্যতিব্যস্ত থাকার কথা রহিয়াছে। কিন্তু ইনারা এখানে আসিয়া কি করিতেছেন। আমার চক্ষুর বিশ্বাস হইতেছে না। এত বুড়া মানুষ দিয়া কিভাবে দেশের গাড়ি চলিবে। শুনিয়াছি মানুষের বয়স বাড়িবার সাথে সাথে তাদের গায়ের ও মস্তিস্কের স্মৃতিশক্তি লোপ পাইতে থাকে। পাশাপাশি তাহাদের কাজের গতিও কমিয়া যাইতে থাকে।

যদি আমি উহা বলি যে, পুরান চাল ভাতে বাড়ে। তাহা হইলে পুরান চাউলের গুনাগুন শুনিলে উত্তোক্তি হইবেনা যে, 1) বিল্ডিং ধুরিয়া ঝাকুনি দিলে বিল্ডিং পড়িয়া যাইবে। কোন মেশিন দরকার হইবে না। 2)হাজার হাজার মানুষ মারিয়া গেলে “ইট ইজ এন এ্রক্সিডেন্ট” । এই ষোড়শী বানীগুলি কথা সাহিত্যিকদের অনেক মশলার জোগান অধিকাল ধরিয়া রাখিবে।X(



ঐ কুড়েঘর বাসীদেরকে টিভি ক্যামেরা ম্যান আরামসে দেখাতেছিল আর তাহা দেখিয়া আমার মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন খাবি খাইতে লাগিল। এই বুড়া বুজুরগ লোকগুলা ছাড়া কি আর কোন লোক নাই। জোয়ান পোলারা কোথায় গিয়া পড়িয়া রহিল? নাকি গাঞ্জা-আফিম খাইয়া কোথাও পড়িয়া রহিল? নাকি মরুব্বীদের দোয়া নিতে দুরে সরিয়া রহিল? আমার বচন সঠিক না হইলে টিভি খুলিয়া দেখিয়া লন। সংরক্ষিত আসন নামে সেখানে অনেক নারী সংসাদদের দ্বারা আসন ভরপুর করাইয়া রাখিল। যাদের অধিকাংশ কিচিরমিচিরে অভ্যস্থ। টিভির টকশোই গুলি তাহার প্রমাণ।



আমার এই আজব দেশে কত কিছুই না ঘটিয়া থাকে। চাকুরী জীবনের অবসান ঘটাইয়া ডাইবেটিসসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত 80 জিবি হার্ডডিস্ক সম্পন্ন আমলা মহোদয়গণ মনের খায়েশ মিটাইবার জন্য টাকা ও লবিংয়ের জোরে ডিজিটাল রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়া থাকেন। কিন্তু এলসিডি/এলডি কাম হাই সুপারসনিক প্রযুক্তির যুগে অল্প ক্ষমতা সম্পন্ন ডিজিটাল ম্যানরা রাজনীতিতে কাজ সম্পাদন কি করিয়া করিবেন তাহা আমার বোধগম্য হইতেছেনা। চেয়ারে বসিলে যাদের চোখে মুখে ঘুমে ডুলুডুল অবস্থা। তাহারা আবার করিবেন রাজনীতি। এক কথায় ইহাই বলা যায়..... মেয়াদ উত্তীন পন্য দ্বারা যেমনি ভাল কিছু হইবার নহে তেমনি বয়স্ক লোক দ্বারা বিমান চালানো সম্ভব নহে।কেননা বুড়ো বয়সে মানুষ কাজের তুলনায় কথা বেশি বলিয়া থাকে। বুড়ো বয়সে যেমনি গায়ে জোর থাকেনা তেমনি কথায়ও তেমনি রসবোধ বা উদ্দীপনা থাকেনা।



পরিশেষে ইহাই প্রানিধানযোগ্য আসন ছাড়িয়া উঠিয়া পড়ুন নবীনদের বসিবার জন্য। তাহা না হইলে আমাদের দেশের গাড়ীর গতি কখনোই বাড়িবেনা। অগ্রগামিদের তুলনায় আমরা পিছাইয়া রহিব। ইহাও হয়তো বলা অশুদ্ধ হইবে না সময় থাকিতে আপনারা আসন ছাড়িতে দিন তাহা না হলে আমরাও নবীনেরা/জোয়ানরা আপনাদের সময়কালে উপস্থিত হইব অর্থাৎ বুড়ো লোকেরাই জায়গা দখল করিয়া রাখিবে।



লক্ষ লক্ষ বেকার যেমনি করিয়া চাকুরীর অভাবে বসিয়া রহিয়াছে তেমনি করিয়া রাজনৈতিক চলক গুলি বয়স্ক লোক দ্বারা ভরপুর থাকায় নতুন নেতৃত্ব আসিতেছেনা। ফলে যুবক/নবীনদের মাঝে হতাশা ভর করিয়াছে। আর হতাশাগ্রস্থ যুব সম্প্রদায় থাকিলে দেশের কখনো উন্নতির সম্ভাবনা নাই। আর কত তাহারা বসিয়া বসিয়া থাকিবেন। বসিতে বসিতে গদি ফুলাইয়া ফেলিয়াছেন। নতুনকে নতুন কিছু শিখিবার দিন। পুরানো জিনিশ খাওয়ানোর চেষ্টা না করাই ভাল বলিয়া বোধ করি।



দেশে এখন নতুন তারন্যের নেতৃত্বের প্রয়োজন দেখা দিয়াছে। সেচ্ছায় গদির লোভ ছাড়িয়া দিন। নইলে বিপদ আবশ্যক হইয়া গিয়াছে

মনের ঝাল একটু ঝড়িয়া দিলাম।:|

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.