নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে কৃষি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। পেশায় সরকারী কর্মকর্তা হলেও তিনি কৃষি সাংবাদিকতাকে তিনি অন্তরে লালন করেন। কৃষি সাংবাদিকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ কওে যাচ্ছেন তিনি। ২০০৩ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব

এস এম মোমিন

আমরা সবাই পাপী তবু নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি।

এস এম মোমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার আসছে সুপার কলা

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর এবং সব দেশেই পাওয়া যায়। আমরা যে খাবার খাই, পুষ্টিগুণের কারণে তা সরাসরি মস্তিষ্ক থেকে শরীর ভালো লাগা এবং ভারসাম্য রক্ষার নির্দেশ পাঠায়। কলা এ কাজটি করে খুবই দ্রুত, যার ফলে কলা খাওয়ার পর মেজাজ ভালো হতে খুব বেশি সময় লাগে না। এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না, তাদের জন্য কলা খুবই দরকারী একটি খাবার।

কলার অনেক গুণ রয়েছে। কলা শুধু ফিট থাকতে সাহায্য করে না, 'কলা' ঝটপট অ্যানার্জি দেয়, মানুষকে সুন্দর ও সুশ্রী করে এবং আনন্দিত থাকতে বড় ভূমিকা পালন করে। চলুন কলার গুণাগুণ সম্পর্কে আরো কিছু জানা যাক। 'কলা' কেন ফিট রাখে? কলায় রয়েছে শর্করা, মিনারেল, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। কলায় রয়েছে মিনারেল, আয়রন, ভিটামিন 'সি' ও 'ই'সহ বেশ কয়েকটি ভিটামিন। এসব কিছুর মিশ্রণ ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। আরো রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি অ্যামিনো এসিড। কলা শুধু শরীরের ভেতরকেই ভালো রাখে না, বাইরের সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে তোলে। কলা ছোট-বড় সবার জন্যই উপাদেয়। হলুদ রঙের কলা অর্থাৎ পাকা কলা শরীরে অ্যানার্জি এনে দেয় এবং পাকস্থলীকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।

অনেকে প্রশ্ন করেন কলা কি মোটা করে? কলায় ক্যালোরি আছে ঠিকই কিন্তু এটা মোটা করে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং কলা খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। কলা বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। যেমন, কাঁচা কলার তরকারি, কলার তৈরি বিশেষ ধরনের কেক, কলার চিপস, মিল্কশেক, আইসক্রিম, বিস্কুট ইত্যাদি। কলার সালাদ দারুণ উপাদেয়। কলা এবং ডালের মিশ্রণে তৈরি সালাদ খেতে লোভনীয়।

কলার আদি জন্ম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপে, যা আজকের ইন্দোনেশিয়া হিসেবে পরিচিত। জার্মানিতে রয়েছে কলার মিউজিয়াম। অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যম জার্মানিতে কলা সম্পর্কিত একমাত্র মিউজিয়ামটি সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানিতে কলা আসে যা মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হয়। শীতপ্রধান দেশ বলে জার্মানিতে কলা জন্মায় না, বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানিতে আনা হয়। বলা বাহুল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিগত বছরে জার্মানির কোনো কোনো বাগানেও কলাগাছ দেখতে পাওয়া গেছে। শিল্পী ব্যার্নহার্ড স্টেলমাখার ১৯৯১ সালের ২২ জুন জার্মানির শ্লেসভিগ-হলস্টাইন রাজ্যে কলার এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেন।

মজার খবর হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের লাখো মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিজ্ঞানীরা এবার জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে একটা বিশেষ জাতের কলা ফলিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, পুষ্টিমানের বিচারে এ কলা হচ্ছে একেবারে 'সুপার ব্যানানা'। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা বলছেন, এ কলার আলফা ও বিটা ক্যারোটিন শরীরে যাওয়ার পর ভিটামিন 'এ'-তে রূপান্তরিত হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ উগান্ডায় এ কলার উৎপাদন শুরু হবে পূর্ণোদ্যমে। পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদিত যে 'সুপার ব্যানানা' ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মানুষের ওপর ছয় সপ্তাহের পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখবেন, এ কলা আসলে কতটা কার্যকর।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

bakta বলেছেন:

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

এস এম মোমিন বলেছেন: কোথাকার ছবি এটা ভাই 'বক্তা'

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কলা খাইলে ওজন কমে নাকি? ভালা তো!!

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

এস এম মোমিন বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। আমিও ঢাকাবাসী ভাই

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

নতুন বলেছেন:

আপনার ছবির এই কলা খাইছি... কিছু বিরাট সাইজের হয়..

সুপার কলা জন্য অপেক্ষায় করি....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.