![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসের ঐ উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে ফাগুনতো ঠিকই আছে তবে ঐ ফাগুনের আগুনটা থাকে অধস্তন কর্তাদের কাছে।
- স্যার ইয়ে মামানে.... একটু আগে বের হতে চাচ্ছিলাম
- হুম... কি? .... শুধু ভালবাসা দিয়ে কি আর পেট চলবে? টাকাটাও তো কামাই করতে হবে নাকি, দেখেন যেটা important মনে হয় তাই করেন।
ব্যাস ভালোবাসার রফা দফা সাড়া। ভালোবাসা দিবসের সমস্ত আয়োজন যেন যুবাদের নিয়ে। যেন যুবাদের ছাড়া আর কারো ভালোবাসার অধিকার ই নেই। পড়ন্ত বিকেলে বসন্তের মৃদু বাতাস গায়ে মেখে কোথাও বসে দুজন হাত ধরে চোখে চোখ রেখে কথা বলা, নয়তো রিকশা করে অজানা গন্তব্যে দুজনের ছুটে চলা। তোমায় ভালোবাসি বলে মনের সমস্ত অনুভুতির আদরে প্রিয়জনকে সিক্ত করা। ভালোবাসাটাকে নতুন করে আবার বাড়িয়ে তোলা; এইসব কখনই একজন অধস্তনের নসিবে লেখা থাকে না। তাইতো সারাদিন হাজারো ইচ্ছাকে মনের মাঝে ধামাচাপা দিয়ে, দিন শেষে মনের মানুষটাকে দেখার উতকন্ঠায় অস্থির মন ক্লান্তিতে ভরা শরীর ও ঘুমে কাতর চোখকে উপেক্ষা করে শুধু মাত্র প্রিয় মানুষটির মুখে একটু হাসি ফোটাতে হয় একটি গোলাপ নয়তো একটি ফুলের তোরা সাজিয়ে নিয়ে যায় ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানাতে। ভালোবাসায় একটা ছন্দ আছে, একটা রুপ আছে কিন্তু আফসোস এখনকার যুবাদের ভালোবাসায় অনেক গন্ধ আছে। ভালোবাসা একটা গাছের ন্যায়; কিভাবে? গাছ ধীরে ধীরে বড় হয় তার পর ফল হয় এবং সেটাও আস্তে আস্তে পাকে। লক্ষ্য করবেন কিছু গাছের ফল খুব আগে পেকে খুব তাড়াতাড়ি ঝড়ে পড়ে যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুসারে ২০১৬ থেকে ২০১৭ এ তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমান দ্বিগুনেরও বেশি। ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা এমন যে, আপনি বাড়ি বানালেন BSRM রড দিয়ে, শাহ্ সিমেন্ট দিয়ে, আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে কিন্তু বাড়ির গোড়া (Base) শক্ত না হবার কারনে ছোট ভুমিকম্পে বাড়ি ধসে গেল। কেন বাড়ির সাথে তুলনা করলাম? এখনকার ভালোবাসার সমস্যা গোড়ায় যা আমরা প্রথমে তেমন পাত্তাই দেই না। কিন্তু এই অবহেলা জীবনে একটা তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। খুব ভালো প্রেম ছিল, ছেলে এবং মেয়ে দুজনই একে অন্যের জন্য "made for each other" ছিল, তবে কেন এমন হল? কারন তাদের মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতার চেয়ে ব্যাপ্তিটাই বেশি ছিল। দুনিয়া fast হচ্ছে মেনে নিলাম, কিন্তু জনাব সব কিছু fast ভালো নয় এটাও জানা উচিত। আমাদের বাবা-মা বা আগের প্রজন্মের সম্পর্ক কেন এতদিন টিকে ছিল? কেন তারা বৃদ্ধ বয়সেও একে অন্যের জন্য এতটা সময় পরও যত্নশীল এবং দায়িত্ববান? অবশ্যই এটা সত্য যে "প্রথমে গুন বিচারি পরে দর্শনদারি"। আগেই ভালোবাসাকে গাছ, ফল এবং বড়ির সাথে তুলনা করেছিলাম তার কারন এখন বলছি, ভালোবাসার শুরু ভালোলাগা দিয়ে, সেই ভালোলাগাকে সময় দিতে হয়। দুজনের মনে সেটা একটা শক্ত জায়গা করে নিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা ভালোবাসায় রুপ নেয়। আর সে ভালোবাসা হাজারো উত্থান পতন এবং বাধা উপেক্ষায় করে টিকে থাকে, কারন সেই শক্তি এই ভালোবাসার আছে। জ্ঞানের জন্য বলছি না লক্ষ্য করে দেখবেন, পরিচয়ের কিছুদিনের মাথায় শোনা যায় "ওরা একে অন্যের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে"। আর বেশি হাবুডুবু খেলে যা হয়, তারও কিছুদিন পর আবার শোনা যায় "তাদের breakup হয়ে গেছে"। এখনকার সম্পর্কে "শ্রদ্ধা" ব্যাপারটা একদমই নেই যা একটি সম্পর্ক বিচ্ছেদের প্রধান কারন। ভালো সবাই বাসতে পারে কিন্তু কতজন সম্মান দিতে জানে আর কতজনই বা সম্মান আদায় করে নিতে জানে? অস্থির মনোভাব, লোকদেখানো কর্মতৎপরতা, স্বার্থপরতা যখন কোন সম্পর্কে বিরাজকরে, যত হাজার কোটি ভালোবাসাই থাকুকনা কেন আপনাদের মাঝে তা কখনই বেশিদিন টিকবার নয়। দেখে ভালো লাগলো ব্যাস " i love you". আপনার মনে আপনার প্রিয়জনের প্রতি কটুকু জায়গা আছে? সেটা কতটা শক্ত করে আপনি বানিয়েছেন? কখনও পরখ করেছেন? "মোহ" আর "ভালোবাসা" এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য ই জানেন না অথচ ভালোবাসা দিবস পালনের জন্য প্রধান যোদ্ধার মত ক্ষেপে হয়ে আছেন। একে অন্যকে "impress" করার জন্য সব সময় কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অথচ আপনি যদি "ভালোবাসা" কি সেটা জানতেন তবে বুঝতেন প্রিয় মানুষের চোখে নিরঙ্কুশ চোখ রাখাই প্রিয় মানুষ কত সুখি, তবে বুঝতেন কোন কারন এবং উপলক্ষ ছাড়া "তোমাকে ভালোবাসি" বললে সে কতটা আবেগ আপ্লুত, তবে বুঝতেন হাতে হাতে রেখে নিশ্চুপ থেকেও মনের কত ভাব প্রকাশ করা যায়। মানুষ একটা সময় পর তার প্রতিটা কাজের অনুশোচনা করে আর ভাবে "তখন এমনটা না করলেও পারতাম"। অন্যকে রুপের চাকচিক্যবিহীন ভাবে জানতে শিখুন, জানাতে শিখুন; কখনো অনুশোচনা করা লাগবে না। ছবির এই ভাইকে ও তার ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এই ফুলের তোড়া নির্ভর করে এত কিছু বলা, ভালোবাসাকে সম্মানবোধে এত কিছু বলা; কারো অনুভুতিকে কষ্ট দেবার জন্য নয়।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালবাসা পুরো বিষয়টাই মানসিক!
ভাললাগাটা বাহ্যিক।
ভাললাগা ভালবাসায় রুপ নেবার আগেই দেহ যখন কাম স্রোতে ভেসে যায়
তখন বিশ্বাস, ভরসার মানসিক ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এখনকার ভালবাসা নামের সম্পক এত ভঙ্গুর!
জীবন বোধের বিশ্বাসটাও এতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। কারো জীবন বোধ যদি হয়-
খাও দাও ফুর্তি কর- তার কাছৈ ভালবাসা একটা ফাদ মাত্র তার লক্ষ্য পূরনে!
ডেডিকেটেড লাভ যদি হয় চাওয়া- সেক্ষেত্রে সম্পর্ক হয় দীর্ঘস্থায়ী।
এই ফাস্ট ফুড জমানায় সবাই চায় রেডি-মেইড! তাই মনে হয় ভালবাসায়ও তার ছাপ রয়েই গেছে
পে এন্ড এঞ্জয়! ফা্টফুডের মতো, খাও দাও ভুলে যাও! দু:খজনক এই চেতনা!
নিজেও ভোগে সঙ্গীকেও ভোগায়!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
এস এ অপু বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বর্তমান যুগের ভালোবাসা'টাকে ভালোবাসা না বলে প্রেম বলাটাই বেশি যৌক্তিক। কারণ, এই ভালোবাসা ডেটিং, কেয়ারিং, ইটিশপিটিশ.... মাঝে বেঁচে থাকে।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো ফ্রি তেই অনেক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
এস এ অপু বলেছেন: উপমা হিসেবে বলতে হল
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালবাসার জন্য দিনক্ষণ বা উপলক্ষ্যের প্রয়োজন হয় না।