![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি
চাঁপাতলায় শুধুই কান্না এবং আমার কিছু বচন!
January 7, 2014 at 12:08pm
কিছুক্ষন আগে "চাপাতলায় শুধুইকান্না" শিরোনামে একটা লেখা পড়লাম।বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমার চোখের কোনে জল এসে গিয়েছিল। ভাবছেন, দুঃখে! নাহ! এদেশের কারো প্রতি দুঃখ প্রকাশ করতে নেই, আর যদি করিই ,তবে আহাম্মকি ছাড়া কিছুই না। ভাবছি কতগুলো প্রজন্ম কাটাতার পাড়ি দিলে ১০০ ভাগ মুসলমানের দেশ হবে বাংলাদেশ, উদ্দেশ্য টা তো তাই। ১৯৪৭ সালে ওদের বিদায় করার বন্দোবস্ত এবং বিদায়,৬৫ সালে আবারও..........! '৭১ সালে যে মানুষ গুলো কাধে বন্দুক নিয়ে পাশাপাশি চলেছে, আমার যে কাকী বা মাসী জল/অন্ন দিয়েছে মুখে, যে মানুষগুলো এই দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছে! প্রান দিয়ে সম্ভ্রম দিয়ে, সর্বস্ব দিয়ে; এদেশের মানুষ এই রাষ্ট্র তাদের কি দিল? তারা মহান মুক্তি সংগ্রামে যখন পাশাপাশি হেটেছে, যুদ্ধ করেছে একবারও কোন মুসলমান বা হিন্দু তার ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি! তুমি হিন্দু না মুসলিম,বৌদ্ধ না খ্রিস্টান! আজ রাষ্ট্র কেন এতদিন পরে সাজা দেবে তার ধর্মের জন্য! হয়তো অনেকে নাখোশ হবেন, রাষ্ট্রকে দোষ দেবার জন্য। রাষ্ট্র তার সকল সন্তানের দেখ-ভাল করবে। মা যেমন পক্ষপাতদুষ্ট নয়, তেমনি রাষ্ট্রকেও তা-ই হতে হবে। বিষয়ে ফেরা যাক- নৌকা থেকে নেমে পোঁটলা-পুঁটলি মাথায় ও কাঁধে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটছে শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু। চোখে-মুখে আতঙ্ক। ভৈরব নদের তীরে দাঁড়ানো শত শত লোক তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন। এ যেন শরণার্থী শিবির থেকে ঘরে ফেরা। বাড়িতে ফিরেই নিজের সাজানো ঘরের বীভৎস চেহারা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চন্দনা বিশ্বাস (৩৭)। তাঁর তিন মেয়ে, এক ছেলে। হামলাকারীরা পুড়িয়ে দিয়েছে তাঁর ঘরের আসবাব, লেপ-তোশক, বিছানা। জীবনধারণের একমাত্র অবলম্বন মাছ ধরার জালগুলোও অক্ষত নেই। করেছে লুটপাটও। আতঙ্কে স্তব্ধ চন্দনার স্বামী সঞ্জয় বিশ্বাস (৪০)। অজানা ভবিষ্যতের কথা ভেবে শঙ্কিত তাঁদের মতো শত শত নারী-পুরুষ-শিশু। গত রোববার ভোট শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। জ্বালিয়ে দেয় বসতবাড়ি। এরপর গ্রামের প্রায় সবাই ভৈরব নদের ওপারে দেয়াপাড়ায় আশ্রয় নেন। গতকাল তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। কাল ওই গ্রামের সর্বত্র ছিল কান্নার রোল। খাওয়ার মতো কিছু ছিল না ঘরে। কী খাবেন, রাতে আবার সেই নারকীয় হামলা হবে কি না, সেই আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় বিধ্বস্ত ঘরের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে মানুষগুলো। এ কোন দেশ, এটাকি সেই বাংলাদেশ যা পাকিস্থানীদের কাছ থেকে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত! রাষ্ট্র কে জবাব দিতে হবে! আমরা প্রস্তুত তোমার জবাব আদায়ের জন্য! জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে সাঁতরে নদ পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁদের অনেককেই। নদ পাড়ি দিয়ে দেয়াপাড়া গ্রামের পালপাড়া এলাকার পূজামণ্ডপে আশ্রয় নেন কালীদাসী সরকার। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের ছেলের হাত ধরে সাঁতরে নদী পাড়ি দিয়েছি। একে তো শীতকাল। তারপর সন্ধ্যা। মনে হচ্ছিল নদীর হিম পানিতে বুঝি ডুবে মারা যাব।’ নদ পাড়ি দিতে গিয়ে পরনের শাড়িটিও হারিয়েছেন মায়া রানী মণ্ডল। পরে দেয়াপাড়ার একজনের শাড়ি পরে বাড়ি ফিরেছেন। ২০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন মায়া। তিনটি অনাথ মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। এখন একা থাকেন ছোট্ট একটি ঘরে। গতকাল বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর ঘরটি আর বসবাসের উপযোগী নেই। মালোপাড়ার আতঙ্কিত মানুষকে সাহায্য করার জন্য দেয়াপাড়ার পালপাড়া থেকে নৌকা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল কেউ কেউ। দেয়াপাড়ার সেই সব মানুষের একজন রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা আসতে না পারলে নদে ডুবে মারা যেত ছোট বাচ্চারা। বাচ্চারা বাড়ি ফেরার কথা শুনে ভয়ে আতঙ্কে শিউরে উঠছে।’ তাণ্ডবের সময় গ্রাম ছেড়ে যায়নি নির্মল বর্মণের পরিবার। তাঁর পুত্রবধূ সঞ্চিতা বলেন, ‘আমিই শ্বশুর মশাইকে বলেছিলাম, বাবা আমরা কোথাও যাব না। মরলে সবাই একসঙ্গে মরব। কানবার যেন কেউ না থাকে।’ --------------আসুন প্রতিটি হৃদয়বান, বিবেকবান মানুষ যারা দেশকে ভালবাসি,মানুষকে ভালবাসি,৭১ এ বিশ্বাস করি, রাজাকার মুক্ত-স্বাধীনতাবিরোধী বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই, আসুন এগিয়ে যাই ওদের পাশে, চাপাতলার কান্নাকে, চাপাতলার শোককে শক্তিতে পরিনত করি,বাংলাদেশের আর কোন অঞ্চলকে অভয়নগর হতে দেবনা! চাপাতলার কান্না বন্ধ হোক। রাষ্ট্র কর্তৃক শরনার্থী বানানো বন্ধ হোক! ------------------আসুন রাস্তায় নেমে আসি, চেতনার শক্তিতে, উড়াই সভত্যার পতাকা। জয় বাংলা
©somewhere in net ltd.