![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি
ভোল্
........... শাহজাহান পারভেজ রনি
টানা আদলে মাটির দেয়ালগুলো ঝপাঝপ ভেঙ্গে গেলো
কালডাড়াশের মতো আমনের ক্ষেতে ঢুকে পড়লো গাঙ্গুরের জল।
জলডোবার মাঠ জলে থৈ থৈ, আজ দিন দশেক হলো
হাঁড়ায় চাল নেই, হাতে পয়সা নেই
মা মরা ছেলেটা প্রচন্ড ক্ষিধেয়
কেঁদে কুঁকড়ে আছে সকাল থেকে।
অতএব, দু' কাঠা চালের জন্যে হাঁটকুড়ো হারাধন
ফের গিয়ে দাঁড়ায় মিত্তির বাড়ির দেউড়িতে।
নাহ্! হৃদয়স্পর্শী কোন কবিতা-ই হয়না এতে।
হৃদয়স্পর্শী কবিতার জন্য তিলোত্তমা শহর লাগে,
বাবুমশাইদের চকচকে বৈঠকখানা লাগে
পায়ের নিচে দূর্বানরম কার্পেট লাগে।
হৃদয়স্পর্শী হতে গেলে রগরগে প্রেম থাকতে হয়
প্রেমিকার হাতে পার করতে হয় হাজারটা বসন্ত
চাঁদ ছুঁয়ে, পাহাড় ছুঁয়ে কসম খেতে হয়
তবেই না জাত কবিতা, অনবদ্য হৃদয়স্পর্শী!
মিল ফেরত বৃদ্ধ কিংবা গুদারা ঘাটের কুলিগুলো
সংসার সমেত বেশ কষ্টে আছে
প্যান্ট ছেড়া, চটি ছেড়া শ্রমিকগুলো ছ'মাস হলো বেতন পায়না,
বাড়ির বৌ-ঠাকুরনগুলো চেষ্টা আত্তিতে,খুঁজে নিয়েছে
বাসা-বাড়ির বাসন মাজার কাজ,মাস গেলে পাচশত কুড়ি টাকা।
ক'দিন হলো ঘরভাড়ার বকেয়ায় চোরের মতো ঘরে ফেরেন
মাস্টাররোলের কর্মচারী দবির উদ্দিন।
কাঁথা বেচা পয়সায় রেলে কাটা স্বামী আর সন্তান নিয়ে
দু'মুঠো খেয়ে-পড়ে ,ক'মাস হলো মোমেনা বেশ সুখেই আছে।
নাহ্! ওদের কথায় কোন কবিতা হয়না আজকাল
কবিতা গেলাতে হলে,কবিকেও হৃদয়স্পর্শী হতে হয়।
এই ধরুন বিপীন বাবু বোস বাবুদের মতো হোটেল-মোটেল;
চাইনিজ বুটিক বি.এম.ডব্লিউ চিনতে হয় জানতে হয়,
বনেদী পাড়ায়, বনেদী ঘরানার একটা বাড়ী অন্তত থাকতে হয়।
কথায় কথায় সাও পাউলো, টেমস কিংবা সুপিরিয়র জলে
আলাস্কার একদলা বরফ ছেড়ে গলা ভেজাতে হয় ,
আর মাঝে মাঝে ডুঁকরে কেঁদে উঠে বলতে হয়---
আহারে মানুষ গুলো খুব কষ্টে আছে, কষ্টে আছে!
©somewhere in net ltd.