নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাত একে সাত, সাত দ্বিগুণা চৌদ্দ, তিন সাতা একুশ। আমার জন্ম ৭ ফেব্র“য়ারি। বিশ্বভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্র“য়ারি আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রয়ারি। এ বছর সাত, চৌদ্দ এবং একুশের বার হলো বৃহস্পতি। বৃহস্পতি বার মানে কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর। হিন্দু শাস্ত্রে বৃহস্পতি হলেন বিদ্যা দেব। সরস্বতি দেবির স্বামী। বৃহস্পতি দেবের জন্য আমার খুব দুঃখ হয়। জলের দেবি সুন্দরী সরস্বতিকে বিয়ে করে তিনি হারিয়েছেন তার নিজের পরিচিতি। বিশ্ব হিন্দু সমাজ আজ জ্ঞানের দেব বৃহস্পতিকে ভুলে জ্ঞানের দেবি হিসেবে প্রতিবছর তাঁর স্ত্রী সরস্বতি দেবির পূঁজা করে। বর্তমান অনেক হিন্দু জানে-ই না সরস্বতি যে মূলত জলের দেবি। তিনি বিদ্যা দেব বৃহস্পতিকে বিয়ে করে জ্ঞানের দেবি হয়েছেন। যদিও বন্ধের আগেরদিন বলে আমরা বৃহস্পতিবারে কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর হয়, তবু বৃহস্পতিবার আসরে গেলে মাঝেমধ্যে আমার মনে হয়- আমরা ভুলিনি বিদ্যা দেব বৃহস্পতিকে। সেলিম ভাইয়ের ভাষায় বললে বলতে হয়-ইতাতো বা তোমার ইন্দু-মুসলমানর কারবার।
আজ বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্র“য়ারি ০১৩ খ্রিস্টাব্দ। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আজ কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ৭৬৮তম সাহিত্য আসর। আমি, রূহুল ফারুক, এবং মামুন হোসেন বেলাল, আসিফ আযহার শিপু মাগরিবের নামাজের সাথে সাথে আসলেও আসর জমতে জমতে ঘড়ি সন্ধা সাতের ঘরে চলে যায়। আজকের আসরে বেশির ভাগ-ই বিশ্ব ভালোবাসা নিয়ে কবিতা এবং বক্তব্য চলে। আমার সভাপতিত্বে আসর পরিচালনা করেন মামুন হোসেন বেলাল। প্রথম ‘ব্যাকুলতা’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন সিলেট এমসি এলজের বাংলা বিভাগের ছাত্র গোলম মেহদি। পরে ‘পরিশ্রমী পিপঁড়ের দল’ গল্প পাঠ করেন রাসেল মাহফুজ। অতঃপর যথাক্রমে কবিতা ‘সাহসী তরুণ’ পড়েন রাসেল আহমদ রাহি, ‘ বৈষম্যহীন ফাগুন’ এবং ‘ সত্যের শক্তি’ আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, ‘স্বপ্ন’ মামুন হোসেন বেলাল, ‘এক পৃথিবীর ভালোবাসা’ হাসান চিশতী, ‘এবং দুঃখ সত্য জীবন ও ভালোবাসা’ শামীমা কালাম পাঠ করার পর হেলাল উদ্দিন দাদন তাঁর স্বরচিত গানে নিজের মতো কওে সুর দিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। দাদন ভাইয়ের গানের লাইন হলোÑ‘আমি তার কাছে সরমিন্দারে বান্দব/ আমি তার কাছে সরমিন্দা/ কোন মুখে বলিবো আমি আল্লাহ তোমার বান্দা।। দাদন ভাই একজন অক্ষর জ্ঞানহীন প্রতিভাবান চারণ কবি। অনেক কষ্ট করে তিনি নিজের গানকে লিপিবদ্ধ করেন। আমার প্রেসে তিনি নিজের কর্মসূত্রে প্রথম এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে ছিলেন তাঁর লেখা কিছু গান আছে, চাইলে দেখাতে পারেন। আমি তাঁকে নিয়ে আসতে বলে ছিলাম। তিনি দু একদিন পরে নিয়েও এসেছিলেন। গান ভালোই লিখেন। তাঁকে একটি গান কম্পোজ করে দৈনিক কাজির বাজারে সৈয়দ সুজার কাছে পাঠিয়ে ছিলাম। সম্ভবত তা ছাপাও হয়ে ছিলো। অতঃপর এই ধারাবাহিকতায় তাঁর মুসলিম সাহিত্য সংসদে আসা। জীবন যুদ্ধের ফাঁকে এসে এসে তিনি এই সংসদের সাথে আজ একেবারে মিশে গেছেন। দাদন ভাইকে দেখলেই আমার স্মরণ হয় বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের কথা। সিলেট শহরের শিক্ষিত পড়ায় শাহ আব্দুল করিম যখন ছিলেন অবহেলিত গ্রাম্য অশিক্ষিত বাউল তখন আমার বড় চাচা সৈয়দ আব্দুর রহমানের মতো দু একজন ভক্ত আর এই মুসলিম সাহিত্য সংসদ-ই ছিলো শাহ আব্দুল করিমের শহরে এসে দাঁড়ানোর জায়গা। মুসলিম সাহিত্য সংসদ যখন শাহ আব্দুল করিমকে সাহিত্য পুরস্কার দেয় তখন সিলেটের শিক্ষিত কবিদের কেউ কেউ সংসদের সমালোচনাও করেছিলেন। করিমে ভাঙা তরী যখন সোনার তরী হয়ে দৌঁড়তে শুরু করে তখন পূর্বের নিন্দুকেরাই তাকে নিয়ে নাচতে শুরু করেন। দাদন ভাইও এই সংসদের প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করতে পারলে আশা করি একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। দাদন ভাইয়ের গানের শেষে আমি গত সাপ্তাহের সাহিত্য আসর নিয়ে আমার লেখা নিবন্ধটি পাঠ করলে সবাই হাতের তালি দিয়ে বলেনÑআসরে নতুনত্ব এসেছে।
শুরু হয় আলোচনা। আসরের প্রবীণ সদস্য আতোয়ার খান প্রথমেই বক্তব্য নিয়ে আসেন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে। তিনি উর্দু-বাংলা মিশ্রিত বক্তব্য রাখেন এবং নিজের লিখা উর্দু কবিতার দু লাইন-‘তেরে দোয়ার মে কাড়া মেহমান/ আব ছুর তেরা অভিমান’ ( অর্থ: তোমার দোয়ারে দাঁড়িয়ে মেহমান/ ছেড়ে দে সখি তুই অভিমান) আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সিরাজুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে প্রত্যশা প্রকাশ করেন-এই সংসদ আন্তর্জাতিক মানের হওয়া উচিৎ। অতঃপর তিনি তাঁর লিখা স্বাধীনতা বিষয়ক একটি কবিতা পাঠ করেন। দুঃখিত সেই কবিতা আমার কাছে দেননি বলে আলোচনায় আনতে পারলাম না।
খছরুর রশিদ তাঁর বক্তব্যে বর্তমান দেশের পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন- লেখকেরা সত্যের সন্ধ্যানি। কোন মহলের স্বার্থে কাজ করেন না।
শামীমা কালাম তাঁর আলোচনার শুরুতেই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেন তাকে আলোচনায় সুযোগ দেওয়ার জন্য। তিনি আলোচনা করেন রাসেল আহমেদ রাহী’র ‘সাহসী তরুণ’ কবিতার। এই কবিতাটি বিশ লাইনের। শামীমা কালাম মনে করেন এই কবিতায় দেশপ্রেম, সাহস, প্রাণচঞ্চলতা, প্রেরণা ইত্যাদি স্পষ্ট হয়ে এসেছে। তাঁর মতে এ সব হলো কবিতার ভালো দিক। আর খারাপ দিক হলো এতে অসংখ্যা বানান ভুল রয়েছে। অতঃপর শামীমা কালাম রাসেল রাহীর কবিতা থেকে ‘ভয় নেই, ভয় নেই, এই তাদের গান/ দুঃসাহস নিয়ে তরুণ ছুটায় বহু তুফান’ লাইন দুটি উল্লেখ করে বলেন-‘এই দুটা লাইনে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা আমি নিজেও বুঝি নাই আবার অর্থবহ এবং ভালো হয় নি।’ অবশ্য সভাপতির বক্তব্যে আমি শামীমা কালামকে তাঁর ভুল ভাঙাতে চেষ্টা করি এই বলে-কবিতায় ভালো খারাপ পাঠকের নিজস্ব অনুভূতির ব্যাপার। তবে এই লাইন দুটি অবশ্যই অর্থবহ। কবি এখানে তরুণদের নির্ভয়ের শ্লোগান উচ্চারণ করে বলছেন দুঃসাহস নিয়ে তরুণেরা অসংখ্য তুফান তৈরি করছে। সাথে সাথে আমি স্বীকার করি তাৎক্ষণিক পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় অনেকেরই অনেক কিছু মনে ধরা না দিতে পারে। শামীমা কালাম যে লাইন দুটোকে অর্থবহ করতে পারেন নি তা হয়তো তাৎক্ষণিক বলে। শামীমা কালামের মতে ‘সাহসী তরুণ’ কবিতার প্রথম দু লাইন-‘ সাহসী তরুণদের নেই কোন ভয়/ এগিয়ে যায় সামনেতে পিছনেতে নয়’ অত্যন্ত চমৎকার। লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে শামীমা কালাম বলেন- ভালো কবিতার জন্য পাঠক এবং পর্যবেক্ষক হতে হবে। ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এখানে যেকোন লেখক এলে তিনি চলমান থাকেন। এই সংসদ লেখকদেরকে গতিশীল করে রাখে।
বাসিত ইবনে হাবিব কথা শুরু করলেন আমাকে আধুনিক এবং তুখুড় সমালোচকের তীর্যক মেরে। অতঃপর আজকে তাঁর কন্ঠ আলোচনার অনুকূলে নয় বলে তিনি জানালেন-‘আজকে যেহেতু বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, তাই কবিতায় বেশি উঠে এসেছে ভালোবাসার কথা। দেশের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে কেউ না লিখলেও ফাগুন নিয়ে লিখেছেন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে বাসিত ইবনে হাবিব প্রবেশ করেন মান্না আপার ‘সত্যের শক্তি’ কবিতার আলোচনায়। এই কবিতার ‘বিত্তবান পৌষের অভিলাসে উদার নিঃশ্বাসে/ বৃক্ষগুলো পায় ভালোবাসার নিশ্বাস খুঁজে’ এই লাইন দুটি উল্লেখ করে বলেন-কবিদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যে ব্যক্তি নয় তার মধ্যে ব্যক্তিত্ব আরোপ করা। মান্না আপা এখানের দ্বিতীয় লাইনে বৃক্ষের উপর ব্যক্তিত্ব আরোপ করেছেন। কেউ কেউ এটাকে বাযোবিয়তা বলে অস্বীকার করতে চান। আর কেউ বলেন-চলুক বায়োবিয়তা। হ্যাঁ, এ রকম যদি প্রত্যেক লাইনে হতো তবে কবিতা হয়ে উঠতো না। হঠাৎ একবার-দুবার আসায় বিষয়টি চমৎকার হয়েছে। তবে এখানে তিনি পৌষের সাথে বিত্তের সম্পর্কটা কি তা অস্পষ্ট রেখেছেন। যদি তিনি আরেকটি চরণ দিয়ে কথাটিকে স্পষ্ট করতেন তবে কবিতাটা পরিপূর্ণতা পেতো। তবে মান্না আপা আগ থেকে কিছুটা পরিপূর্ণতা লাভ করেছেন। পরে কবির-‘ সত্যের জ্ঞান যেন থাকে শ্বাস-প্রশ্বাসে/ জাগিয়ে তুলে প্রাণশক্তি/ সত্যের লাবণ্য একদিন হবে বৃদ্ধি’ লাইনগুলো উচ্চারণ করে বাসিত ইবনে হাবিব বলেন-‘বিশ্বাসের সাথে সত্যের যে সম্পর্ক তা তিনি এখানে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এখানে চতুর্থ চরণে ‘জাগিয়ে তুলে’ না বলে ‘জাগিয়ে যেনো’ বললে বক্তব্যটা পরিষ্কার হতো। এরপর কবিতায় আছে ‘সত্যের লাবণ্য একদিন হবে বৃদ্ধি’, এই বৃদ্ধি শব্দটা অত্যন্ত আপত্তিকর। তাতে কবিতা প্রচণ্ডভাবে মার খেয়েছে। এখানে ‘সত্যের লাবণ্য চল-চলতর’ বললে তা কবিতা হয়ে উঠতো। অতঃপর তিনি বলেছেন-খুঁজে খুঁজে যাবেন তিনি নিজের কাছ থেকে সত্যের শক্তি লাভের জন্য। কথাটা ভুল। এ কথা এভাবে বললে শুদ্ধ হতোÑসত্যের উৎস যেন আসে আমার উৎসবে। এই কবিতায় অনুভূতি চমৎকার। তবে কিছু লাইন খুব সুন্দর ্আর কিছু লাইন পরে গেছে। আমিনা শহীদ মান্নাকে এখানে আরো সচেতন হতে হবে। তারপর বাসিত ইবনে হাবিব আলোচনা করেন হাসান চিশতীর ‘এক পৃথিবীর ভালবাসা’ কবিতা নিয়ে। এখানে প্রথমেই তিনি ‘পৃথিবীর’ শব্দ থেকে ‘র’ কে কেটে ‘এক পৃথিবী ভালবাসা’ করে দিলেন। কবিতার চতুর্থ লাইনে ‘অনেক মনে ব্যথা’র মধ্যে আজও গভীর সংযুক্ত করলে দাঁড়ায় ‘অনেক মনে আজও গভীর ব্যথা’। অতঃপর বাসিত ইবনে হাবিব আমিনা শহীদ মান্নার ‘বৈষম্যহীন ফুগুন’ কবিতার আলোচনায় স্মরণ করেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত/ কাল সারারাত ছিলো স্বপনেরও রাত’ এবং বেবী নাজনিনের ‘ভালোবাসা ছাড়া আছে কি? গানের। বাসিত ভাই এই আলোচনায় এতই মশগুল হলেন যে, সময়ের কথা ভুলে যান। অতঃপর তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করতে হয় রাত নয়টা হয়ে যাচ্ছে, মহিলাদের বাড়ি ফিরতে হবে। অতঃপর তিনি হাল ছাড়েন। এই ফাঁকে অনুভূতি রেখে যান সংসদের সদ্য বিদায়ী কমিটির সদস্য রুহুল ফারুক। তাঁকে আমি একটা কবিতা আলোচনা করতে বলে ছিলাম, কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিলো আমি সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হওয়ায় যে লাভটুকু হয়েছে তার বর্ণনা সহ আমাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা। ধন্যবাদ তাঁকেও।
আব্দুল হ্ন্নাান তাঁর বক্তব্যে আমাদের সাহিত্যে আল্লাহ প্রেম এবং মানব প্রেমের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বলেনÑআজকের ভালোবাসা দিবসের প্রভাব পড়েছে কবিদের উপর। আমার হাতে আলোচনার জন্য যে তিনটা কবিতা রয়েছে, যার প্রথমটির নাম হলো ‘ভালোবাসা’। লিখেছেন শাহাব উদ্দিন আহমদ। লেখক ‘ভালো’ বানানে আকার-একার ছাড়াই ‘ল’ কে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু প্রমিত বানানে ‘ল’ তে আকার-একার হবে। তাঁর কবিতা সুন্দর হয়েছে, তবে প্রচুর বানান ভুল। ‘কাশে’ তিনি ‘শ’ দিয়ে লিখেছেন, কিন্তু ‘স’ হবে। তিনি শব্দ লিখেছেন ‘পাশবিকা’, কিন্তু হবে ‘পাশবিকতা’। তোমার বানানে কোথাও ‘তা’ তে একার-আকার দিয়েছেন, আবার কোথাও উকার দিয়েছেন। আমার মনে হয় বানানের ক্ষেত্রে তাঁর যতœবান হওয়া উচিৎ। এই কবিতায় কবি দেহজ প্রেমের নিন্দা করে আত্মিক প্রেমকে গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমানের ছেলে মেয়েরা একজন দশজনের সাথে প্রেম করে। আমাদের সময় কিন্তু এমন ছিলো না। শাহাব উদ্দিন সেদিকে দৃষ্টি দিয়েই কাহিনী তৈরি করেছেন। বানান ঠিক করে নিলে কবিতাটি ভালো হয়েছে। গোলাম মাহদীর কবিটাও ভালো হয়েছে। এটাও ভালোবাসার কবিতা। কবি এখানে প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ভালোবাসার প্রার্থনা করেছেন। তিনি শামীমা কালামের ---কবিতার প্রশংসা করে বলেন-বর্তমানে শামীমা কালাম যে বেশ পড়ছেন তা লেখা পড়লেই স্পষ্ট হয়ে উঠে। আমি তাঁর উত্তোরোত্তর উন্নতি কামনা করি। তা ছাড়া আমার হাতে আছে রাসেল মাহফুজের গল্প। তা একটি প্রতীকি গল্প। এই গল্পে লেখক পিঁপড়ার স্বাধিনতার চেতনাকে কৌশলে প্রকাশ করেছেন।
অতঃপর সভাপতির বক্তব্য। আমি আমার বক্তব্যে বললামÑআমি তো লেখক। এটাই তো আমার মূল পরিচয়। মুসলিম সাহিত্য সংসদ মূলত লেখকদের ঘর-বাড়ি। এখানের সাহিত্য আসরে ঔষুধ বিক্রেতা কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের মতো সভাপতির বক্তব্য কমপক্ষে আমার দেওয়া উচিৎ না। তবু আমি মাঝেমধ্যে অতীতে দিয়েছি। যাক, এখন একটু পরিবর্তন হই। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সভাপতির বক্তব্যে আমি লিখিত আকারে বিগত আসরের পর্যালোচনা করবো। শেষে যদি উপস্থিত লেখকদেরকে কোন তথ্য দেবার কিংবা তাদের কোন প্রশ্ন থাকে তবে তার উত্তর দিয়ে আসরের সমাপ্তি ঘোষণা করবো। ধন্যবাদ সবাইকে।
হাততালির মাধ্যমে আসর শেষ হলো।
©somewhere in net ltd.