নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Oh Allah Plz Save Bangladesh

সৈয়দ মবনু

সৈয়দ মবনু

সৈয়দ মবনু, থাকি ছিলট

সৈয়দ মবনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাদল

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬





এবার জাতীয় সংসদে হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে ধর্মনিরপেক্ষ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মোহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের সঙ্গে বাঙালি উম্মতের তুলনা করে বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদ (সা.) এর মদীনা রাষ্ট্রের বিরোধিতাকারী বনী কোরায়জার ৬শ’ লোকের কল্লা কেটে দেয়া হয়েছে। এখন আমরা কেন বাঙালি উম্মতের বিরোধিতাকারীদের বিচার করতে পারব না।’ পাশাপাশি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাদিসের অপব্যাখ্যাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বামপন্থী নেতা জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইন উদ্দিন খান বাদল ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান এ কথা বলেন। বাদল বলেন, রাসুল (সা.) যখন মক্কায় ছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ধর্মপ্রচারক। রাসুল (সা.) মদীনায় গিয়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মদীনা সনদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যারা মদীনা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছেন তাদের মদীনা থেকে চলে যেতে বলেছেন। মোহাম্মদ (সা.) এর উম্মাহর বিরোধিতার জন্য রাসুল বনী কোরায়জার ৬শ’ লোকের কল্লা কেটে দিয়েছেন। রাসুল যদি ৬০০ বিদ্রোহীর বিচার করতে পারেন তবে আমি কেন আমার বাবা-মা-বোন-ভাই হত্যার বিচার করতে পারব না। তাহলে আমরা কেন বাঙালি উম্মতের বিরোধিতাকারীদের বিচার করতে পারব না।

মাওলানা সাঈদীকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, যারা চাঁদের মধ্যে তাবিজ বিক্রেতার ছবি দেখছেন তাদের বলতে চাই, রাসুলের আচরণ তার সুন্নাহ দেখুন। কোন কিতাব অনুসরণ করে সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে? কোন কিতাবে বলা আছে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না। রাসুলের কিতাব খুলে দেখেন, আমি যা বলেছি তার ব্যতিক্রম কিছু হলে, আমাকে প্রস্তারাঘাত করতে পারেন।

তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক চাদরে আচ্ছাদিত থাকবেন তারা সমাদর পাবেন। যারা এই চাদর ছিঁড়ে ফেলতে চাইবেন তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমাদের এই সংসদ যথেষ্ট শক্তিশালী।

নাসিম ওসমান বলেন, হজরত মোহাম্মদ (সা). ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। মাইন উদ্দিন খান বাদলের বক্তব্যেও এ বিষয়টি বুঝা গেছে। ভারতের মুসলমানরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাইবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মধ্যে মানুষের হক। ইসলাম অমুসলিমের জন্মগত অধিকার নিশ্চিত করে। ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হতে পারে, স্বয়ং ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষতা ধারণ করে। আমরা নাস্তিকদের সমর্থক নই। রাজীব নাস্তিক ছিলেন না। এ জন্য আমরা রাজীবের সমর্থক।

দেশে নিরাপত্তা নেই প্রমাণে বোমাবাজি

করছে বিএনপি-জামায়াত

এদিকে গতকাল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, দেশে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই এটা প্রমাণে বিএনপি-জামায়াত জোট বোমাবাজি শুরু করেছে। তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করছেন। খালেদা জিয়া নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তার সঙ্গে দেখা করেননি। এর সত্যতা প্রমাণ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বোমাবাজি করছে। নিরাপত্তাহীনতা বোঝাতে চাইছেন তারা। তিনি আরও বলেন, কানসাটের বিদ্যুত্ সাব স্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছে। বোরোর মৌসুম চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচের জন্য কৃষক দিশেহারা। খালেদা জিয়া চান সমগ্র বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হোক। এর জন্য বিদ্যুতের ওপর টার্গেট করে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। জামায়াতের হরতালের লেজুড় হিসেবে খালেদা জিয়াও হরতাল দিয়েছেন উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই তাণ্ডব, জুলুম ও হত্যায় খালেদার উস্কানির ফয়সালা হওয়া দরকার। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

( সৌজন্যে আমার দেশ Click This Link)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

মিতভাষী বলেছেন: পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কি না খায়!

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

সৈয়দ মবনু বলেছেন: সহমত

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: তেলাপোকাও পাখি, মেরে ওয়াতান ও পত্রিকা !!!! B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫১

সৈয়দ মবনু বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

েবশী বুিঝ বলেছেন: মাহমুদুরের বাপের দ্যাশে এই সব কেচ্ছা চালায়েন, বাংলাদেশে নয়।ফাজিল পোলাপাইন।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

ইব্রাহিম মন্ডল বলেছেন: মানুষ যখন নিজে বিভ্রান্ত হয় তখন অন্যকেও বিভ্রান্ত করে নিজেকে শুদ্ধ ভাবতে চায়। এটা হলো আওয়ামী লীগের সমস্যা। তারা কীভাবে নিজের অন্যায়কে জায়েজ করবে সেইসব ফিকিরে আছে।

স্বাধীন দেশে হত্যার রাজনীতি কিংবা মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা করা প্রথম কিন্তু আওয়ামী লীগই উদ্বোধন করে। আর এখনও ক্যাডার লীগ মু্ক্তিযুদ্ধাদের নিষ্ঠুরের মতো হত্যা করছে। ওরা যখন বিশ্বজিৎকে হত্যা করে তখন সাম্প্রদায়িকতা হয় না। ওরা যখন হিন্দুদের বাড়ি ঘর দখল করে তখনও সাম্প্রদায়িকতা হয় না। মুনতাসির মামুন কিংবা চরমপন্থী শাহরিয়ার কবির গং তখন এসবের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা তো পানননা বরং নিজেই সেই সব সাম্প্রদায়িক দূর্গন্ধের মধ্যে আকণ্ঠ ডুবে থাকেন। আমাদের মূলত বিভাজন করে রাখছে এই নব্য ফেরাউনরা। আর এসব জাল আরো গভীরভাবে বিস্তার করতেই তারা বিভিন্নভাবে ধর্মের অপব্যবহার করছে।

উল্লেখযোগ্য যে, উপরে যে বক্তব্যটি বাদলা এমপি দিয়েছে এরা হলো একশ্রেণীর দালাল। কীভাবে বিকৃত করছে বোঝার চেষ্টা করুন। একদিকে নবী করিমকে ধর্মনিরপেক্ষতায় আবরণ দিচ্ছে অন্যদিকে নিজের খুনখারাবিকে জায়েজ করতে নবীকেও খুনি (নাউজু বিল্লাহ) বানাতে সচেষ্ট হচ্ছে।

সাম্প্রদায়িকতার ধারক-বাহক বাকশালীরা কোনোদিনই মানুষ হবে না। এবং অন্যকেও মানুষ না হতে প্ররোচনা দেবে। এসব থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রয়োজন গণসচেতনতা তৈরি করা। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম একটি মিথ্যার ভেতর ডুবে থাকবে আর আপনি আমি সমাজ বদলানোর কথা ভাববো, তা কী করে হয়।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ধ্বংস অনিবার্য হয়ে দাড়িয়েছে। এই ধ্বংসই ফয়সালা করবে - সত্য সমাগত অসত্য বিতাড়িত।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মো কবির বলেছেন: মিতভাষী বলেছেন: পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কি না খায়!

আর আমি বলি, "তেলাপোকাও একটা প্রাণী, আর এই লোকও আওয়ামীলীগের একটা চামচা "



ওরে গালে মারলাম জুতা।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

মানব১১ বলেছেন: এই বাদলরাই হলো চরম ইসলাম বিদ্বেষী এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির মূল কারিগর। নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিবে কিন্তু বাপদাদার পালিত কোনো আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বা তার স্বার্থে দুয়েকটি কথা বলাকে এই গোষ্ঠীটি পশ্চাৎপদতা বলে গণ্য করেন। কিন্তু অন্য ধর্মের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বা তার স্বার্থে কথা বলতে পারলে প্রগতিশীল বলে পূলক অনুভব করেন।

তাদের প্রতি সামান্য জনসর্থনও এদেশে নাই, হাসিনার আচলে আশ্রয় নিয়ে ১/১১'র সরকারের সহায়তায় সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। দালালী ও বাগারম্ভর ভাষনই হলো এদের পুজী। এরা হলো চরমপন্থী খূনীদের পৃষ্ঠপোষক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.