নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২৮ মে ২০১৩।
আমি এখনও আছি সাউথশীলে। সকালে ঘুম থেকে জহির মামাকে নিয়ে দেওয়ান শামসুদ্দোহা চৌধুরীর লন্ড্রি ফেক্টোরীতে যাই। দেওয়ান শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুনামগন্জের দোয়ালিয়ার জমিদার বাড়ির ছেলে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত দার্শনিক দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ তাঁর দাদার ভাই। শামসুদ্দোহা ভাই সিলেট এমসি কলেজে পড়ার সময় আমাদের মহল্লায় (সিলেট শহরের শাহী ঈদগাহে) থাকতেন। তিনি তখনও আমাকে নাকি জানতেন, কিন্তু আমি তখন খুব ছোট ছিলাম তাই স্মরণে নেই। তিনি আমার চাচাতো বড় ভাই সৈয়দ হাসানের সহপাঠি কিংবা বয়স্য। হাসান ভাই এক সময় ন্যাপের ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। না, সেই সময় শামসুদ্দোহা ভাইয়ের সাথে পরিচয় থাকলেও আমার মনে নেই। আজ থেকে অনুমানিক ১৫ বছর আগে লন্ডনে যখন আব্দুল মুখতার মুকিত মাসিক ইসলামিক সমাচার কিংবা সাপ্তাহিক হিজরত পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করলেন তখন দেওয়ান শামসুদ্দোহা চৌধুরীর সাথে আমার ঘণিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে লেখালেখির মাধ্যমে। অতঃপর আমি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশে চলে যাই এবং এদিকে ইসলামিক সমাচার ও হিজরত পত্রিকাও বন্ধ হয়ে গেলো। এই দুই পত্রিকা বন্ধ হওয়ার মূল কারণ আব্দুল মুখতার মুকিতের লন্ডন জামায়াতে ইসলামের সাথে মতানৈক্য এবং এই সময় জামায়াতে ইসলাম বা ইসলামিক ফোরামের সমর্থনে সাপ্তাহিক ইউরোবাংলা প্রকাশিত হওয়া। সে যাই হোক। অতঃপর দেওয়ান শামসুজ্জামান চৌধুরীর সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আজ থেকে চার বছর আগে আমি সাউথশীলে জহির মামাদের ঘরে আসলে মসজিদে নামাজে দেওয়ান শামসুদ্দোহা চৌধুরীর সাথে দেখা হয়। তিনি জানালেন পাশেই তিনি একটি লণ্ড্রির ফেক্টোরী করেছেন। তারপর ঠিকানা দিয়ে গেলেন। জহির মামাকে সাথে নিয়ে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন অনেকদিন থেকে লেখালেখি করছেন না। মানুষকে লেখালেখির দিকে টেনে আনা কিংবা ধরে রাখার চেষ্টায় উপদেশ দেওয়া আমার বদঅভ্যাসগুলোর একটি। আমি দেওয়ান শামসুদ্দোহা ভাইকেও যা তা বলে দিলাম উপদেশের নিয়তে, যদিও বয়সে তিনি আমার বড়।
এবার সাউথশীলে এসেই তাঁকে খবর করলাম। তিনি জানালেন সান্ডারল্যান্ড হাসপাতালে আছেন তাঁর মেয়েকে নিয়ে। পরে দেখা হবে। আমি সান্ডারল্যান্ড গেলে আসরের নামাজে মসজিদে তাঁর সাথে দেখা হয়ে যায়। দাওয়াত করলেন পরের দিন রাতে তাঁর ঘরে খাওয়ার জন্য। আমি আর জহির মামা রাত ১২টার দিকে তাঁর ঘরে যাই এবং খাওয়া-দাওয়া করি। বিদায়ের বেলা কথা হয় সকালে তাঁর ফেক্টোরীতে যাবো। কথা মতো দশটায় ফেক্টোরীতে যাই এবং বিকাল তিনটা পর্যন্ত তাঁর সাথে দয়াদর্শনের আলোকে সমাজ পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে কথা হয়। কথা হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে দয়াদর্শনের গুরুত্ব বিষয়কও। তিনটায় জহির মামার ঘরে এসে দাওয়াত খেতে যাই যাবেদুল হক মামার ঘরে। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফিরি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে জহির মামার গাড়ী দিয়ে নগর ভ্রমণে বের হই। দেখা হয় অনেকের সাথেই। রাত সাড়ে ১২ টায় ঘরে এসে এশার নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করে এই লেখায় বসি। ফজরের নামাজ রাত আড়াইটায়। আর মাত্র দশ মিনিট বাকী।
©somewhere in net ltd.