নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা সিলেটে হিন্দু ভোট ৭০.০০০ হাজারকে কামরানের সলিড বলেন তাদের হিসাবটা কি? সব হিন্দুকে আওয়ামীলীগ ভাবার কোন কারণ নেই। আমার জানা মতো ঢাকা-সিলেটে প্রচুর হিন্দু বিএনপিও করেন। ভোটে হিন্দু-মুসলিম ভোট পৃথক যারা করছে তারাই মূলত সাম্প্রদায়িক দাঙা সৃষ্টিকারি। হিন্দুদেরকে আওয়ামীলীগ বা বামপন্থীরা ধারণা দিয়েছে ইসলাম মানে অন্যধর্মের লোকদেরকে ধমন করা। কিন্তু ইসলামের কোথাও এমন বিধান নেই এবং ইসলামী হুকুমতের কোথাও এমন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে না। অপরাধী হিন্দু হোক কিংবা মুসলমান তাকে থামাতে হয়। যারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে ওরা মূলত ক্ষমতা লোভী রাজনৈতিক নেতা-কর্মি। ওদের প্রকৃত অর্থে কোন আদর্শ নেই। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে এই পর্যন্ত যারা হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে তাদের বেশিরভাগই প্রথমে ছিলো মুসলিমলীগার-পরে তারা হয়েছে আওয়ামীলীগার কিংবা বামপন্থী। আমার জানা মতো প্রচুর ঘটনা আছে। বাংলাদেশের দেবত্ব সম্পদ কারা দখল করেছে? টিলাগড়ের মন্দিরের সম্পদ দখলের জন্য কারা ষড়যন্ত্র করছে? বন্দরের রাজা রামমোহন রায়ের অনুসারীদের মন্দির দখলের ষড়যন্ত্রে কারা আছেন? কারা দখন করেছেন চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় সঞ্জীব চৌধুরীর সম্পদ? আরো অনেক হিসাব আছে। ওদের বেশিরভাগই আওয়ামীলীগার। পাঞ্জাবী আর পাগড়ী হলেই কেউ ইসলামিক হয়ে যায় না, অনেক আওয়ামীলীগারও তা ব্যবহার করে। তাই পাঞ্জাবী-পাগরী দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।
চিন্তা করে দেখুন-ইবাই ইবনে সলুলের কথা। সে মদিনার মসজিদের নিয়মিত নামাজী ছিলো। সেই মসজিদের ইমাম ছিলেন স্বয়ং সাইয়েদুল আম্বিয়া হযরত করিম (স.), মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (র.), ডানে বামে আবু বকর, উমর, আলী, উসমান প্রমূখের মতো সাহাবীরা। সে মারা গেলে অসংখ্য সাহাবী তার জানাজায়, ইমামতি করেছেন একজন সাহাবী, তবু সে জাহান্নামী স্বয়ং কোরাআনের ভাষ্য। অভাব নেই। বাংলাদেশে যে মুসলমান অন্যধর্মের লোকের সম্পদ লুন্টন করেছে তার সাথে ইবাই ইবনে সলুলের চরিত্রের মিল খুজে পাওয়া যাবে। আর উবাই ইবনে সলুলরা সর্বদাই থাকে ইসলামী হুকুমতের বিরুদ্ধে। কারণ তারা যানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের দান্দাবাজি জলবে না। চলবে না সুদ-ঘোষ, নারীবাজি, মদ, অন্যের সম্পদ দখল ইত্যাদি। কামরান কিংবা আরিফ চৌধুরী কেউ-ই ইসলামিক না, তা আমি স্বীকার করছি। কিন্তু জুলুম আর গণহত্যার প্রতিবাদ হিসাবে ইসলামপন্থীরা কামরানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। কামরান ভাইয়ের এখানে কারো উপর নারাজ হওয়ার সুযোগ নেই। বিরোধীরা তাঁর খারাপ দিক শুধু বর্ণনা করছেন, আমি তাঁর অনেক ভালোদিক্ও জানি। বিশ্বাসগত দিকেও তিনি বর্তমান আওয়ামীলীগের বিশ্বাসের সাথে পূর্ণাঙ্গ একমত না। তবে তা প্রকাশ্য বলতে পারবেন না। এখানে যুদ্ধটা তাঁর সাথে নয়। যুদ্ধটা হলো জালেমের সাথে মজলুমের যুদ্ধ। দুঃখজনক হলেও সত্য কামরান ভাই জালেমের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এখানেই তিনি আটকে গেছেন। ভোটে কে বিজয়ী হবে তা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় সাধারণ হিন্দু-মুসলমান যারাই জুলুমকে অপছন্দ করেন তারাই এবার বিবেকের দায়বদ্ধতায় আওয়ামীলীগকে বর্জন করবেন। এবারের নির্বাচন হোক মজলুমদের প্রতিবাদের ভাষা। এখানে হিন্দু মুসলিম বিষয় না, বিষয় হলো শত শত মানুষ মরেছে আওয়ামীলীগ সরকারের পাঠানো বাহিনীর বুলেটে।
©somewhere in net ltd.