নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব্যসাচী দেউরী

সব্যসাচী দেউরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্ব বিশ্বাস

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

সম্পর্কিত আলোচনা
একজন মানুষ আস্তিক না নাস্তিক তা
নির্ভর করে সেই ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তায়
বিশ্বাস রাখে কি না এমন বিষয়ের উপর। এটা
খুবই ব্যক্তিগত বিষয় একজন মানুষের
জন্য। খুব ছোট বেলায় দাদির মুখে রাতে
রাক্ষস-খোক্ষসের গল্প শোনার নেশা ছিল
যখন, গা হিম করা ভয়ার্ত আবেগ নিয়ে সে
গল্প শুনতাম আর মনে মনে বিশ্বাস করতাম
সব সত্যি সে সব। মাকেও প্রশ্ন করে ঠিক
সদুত্তর পাইনি, আদৌ রাক্ষস-খোক্ষসের
উপস্থিতি দুনিয়াতে আছে কি না। পরে বড়
হয়ে জেনেছি ও সব গল্পের নাম ঠাকুমার
ঝুলি অর্থাৎ ঠাকুমা থেকে ঠাকুমা এই একই
ঝুলি বহন করে নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হাতে, সবই ছেলে
ভোলানো কল্প গল্প। আগের দিনের দাদি-
নানিরা ছিলেন অশিক্ষিত ফলে তাদের
বিশ্বাসের ক্ষেত্রও থাকত সীমাবদ্ধ,
কঠিন এবং অন্ধ আবেগ নির্ভর। একমাত্র
জ্ঞানের গভীরতা বাড়লেই মানুষের অন্ধ
বিশ্বাসের ভিত্তি দূর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু
এই জ্ঞানার্জনটাই অত্যন্ত দূরহ কাজ।
কয়েকটি বই পড়লেই এই জ্ঞাণার্জন
সম্ভব নয় কিংবা সম্ভব নয় অন্ধ
বিশ্বাসের আবেগকে শক্ত করে ধরে রেখে
কোন অনুসন্ধানে নামলেও। এ জ্ঞাণ পেতে
হলে সবার আগে ভেঙ্গে গুড়িয়ে নিতে হবে
সকল অন্ধতাকে, যারা একবার তা ভেঙ্গে
সত্যিকারের জ্ঞাণার্জনের স্বাদ পেয়েছে
তাদেরকে আর দমিয়ে রাখা যায় না, আটকে
রাখাও যায় না কোন ঠাকুমার ভয়ানক
রূপকথা শুনিয়ে।
সকল কালের তুচ্ছরাই কিন্তু পরবর্তি
কালের মহাপুরুষ, মানুষই পৃথীবিতে মহাপুরুষের
মর্যাদা পেয়ে থাকে কিন্তু সাধারণত তার
জীবদ্দশায় নয়, এটাই হল যে কোন
মহাপুরুষের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। যদি
তার কিছু ব্যত্যয় ঘটে থাকে তো ধরে নিতে
হবে সে মহাপুরুষের জীবনে কম বেশি ভেজাল
আছে। দৃষ্টি দোষে আমরা অনেক কিছুকে
ঝাপসা দেখি, স্বচ্ছ দৃষ্টি ফেলতে পারলে
সবই পরিষ্কার দেখা যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.