![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথাটা টনটন ব্যাথা করতাছে,
তাও অগ্যতা পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে,লক্ষ্য আগেই!!
সময় নষ্ট না করেই গেলাম পাসপোর্ট অফিসে সাথে বন্ধু ছিলো।পাসপোর্ট অ্যাপ্লাই করা ফর্ম টা হাতে নিয়া পাসপোর্ট জমা দেয়ার একটা লোকের টেবিলে জমা দিলাম।
এর পর অপেক্ষার পালা বসে আছি সামনের বেন্চি তে,মাথার ব্যাথা ক্রমশ বৃদ্ধি পাইতেছে ,চারিপাশ অসয্য লাগা সত্ত্বেও বসে আছি আর মাছি গেলানো সময় পাড় করতেছি তাও কোন সাড়া পাইলাম না,
এর পর অফিসের এক কর্মকর্তাকে জিঞ্জাসা করার পরে এক পিয়ন কে দেখিয় বলে উনার সাথে কথা বলেন!
এক পাশে সেই পিয়ন কে ডাকলাম উনি বললো সবই হবে তবে স্যারের সাথে কথা বলেন এই বইলা উনি আর একজন কে দেখিয়ে দিলেন তিনি ওই অফিসের পুলিশ কর্মকর্তা,
সামনের টেবিলে গেলাম-
স্যার একটু কথা বলবো,বলার পরে বললো হ্যা বলেন।
এর পরে বল্লাম ১ ঘন্টা ১০মিনিট ধরে আছি কিন্তু টেবিলের লোকটা কিছু ফর্ম অন্য টেবিলে ভেরিফিকেশনের জন্য গেলো আর আমাদের আর
আমাদের টা এখন নিচে চাঁপা পরলো একটু তারাতারি করা যাবে না?
এর পর বললো - কাছে আসেন,আপনি তো এতোক্ষন সোজা পথে হাটছেন এখন একটু বাঁকা লাইনে হাটেন,একটু হতভম্ব হয়ে গেলাম আইনি লোকের মুখে এই বানী রীতিমত না ভাবার মতন অবস্থা।
তারপর বলা হলো আচ্ছা স্যার কত কি লাগবে যদি বাঁকা লাইনে হাঁটি,
১টা পাসপোর্ট ১৫০০ আর দুইটা করাবেন ৩০০০ টাকা,আর চা নাস্তা তো আছেই সেইটা পরে ২০০টাকা॥
হুমমমম স্যার সব হবে আপনি কাজ টা করেন,
এই হলো দুর্নীতি আমাদের দেশের,কিন্তু কিছু করার থাকে না কারন দেশ উন্নত হলেও সরকারী পর্যায়ে ভাত তাদের ই আর দুর্নীতি এই টা কিছু না চোখ বন্ধ করে বিড়াল খাবার খায়,আর সেই বিড়াল কে খাবার আমরাই দেই,দেশে আইন আছে আইনের প্রয়োগ হয় কিছু দিন পরে জামিন সাথে কেস টাও চাঁপা পরে আইনের ভাগারে,সরকারী পর্যায়ে দুর্নীতির বিড়াল কে খাবার দেয়ার মতন।
কাল যখন পাসপোর্ট আনতে গেলাম,পিয়ন বলতাছে কিছু দিবেন না খুশি করতে!
অতঃপর বল্লাম পাবলিকের মাইরা নিজের পকেট বড় করা তো শিখছেন ই আবার কি আগেই তো দিছি আর এখন আপনারে দরকার নাই যান তো চোখের সামনে থেইক্কা!!!!!!!
অভাবে যে স্বভাব নষ্ট পরক্ষনে বুঝলাম ১৩লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই পিয়নের চাকরি,তো চাকরি শেষে তো পেনশন আছেই!
হুম আছে তবে এর আগে পরিবার চলবে পোলামাইয়া তো বড় হইতেছে,তা ছাড়া ঘুষ আমি একা না অফিসের যারা আছে ৯৯% ই ঘুষের উপর আছে,
হুমমমম এটাই বাস্তব উনারা ঘুষ দেয় বড় সরকারী কাগু রা ঘুষ খায়,উনাদের আগে উনাদের বস দের ও দিতে হইছে।
সরকার সোনার বাংলা গড়তে স্বপ্ন দেখে কিন্তু সোনার বাংলার সাধারন মানুষ দের অভিযোগ সরাসরি দেখেন না,
উনাদের এইসব ঘুষ নামক হালাল ইনকাম প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলবেই,হোক সে গনজাগরনের কর্মী হোক সে ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র সে ওই রকম পাসপোর্ট অফিসে চাকরি নিতে যাবে তখনই ঘুষ তখন ওই ছেলেটি ভবিষ্যত ভাববে আর নিজের সততাও সে কালের গহ্ববর,,,
নলের গোড়ায় নল গজাইবো বাশ নাহ,আইলো আর গেলো আর নিজের হারাম ইনকাম দিয়া পকেট ভরাইলাম অন্যের তাও হালাল সেইটা জোক্স ছাড়া অন্য কিছুই না॥
[বি.দ্র- ঘটনা বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের প্রতিদিনকার,ওহ আর একজন আবার বলেছিলো ফর্ম নাকি ভুল হইছে তবে টাকা দেয়ার পরে কোন সমস্যাই হয়নি]
©somewhere in net ltd.