![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সবচেয়ে বড় ‘গুণ’- বিশ্বের সবচেয়ে কম মজুরিতে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য চমৎকার সব পোশাক তৈরি করে দিতে পারেন এখানকার দক্ষ শ্রমিকরা। যে কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডও পোশাক তৈরির জন্য বাংলাদেশকেই আগে বেছে নেয়। সম্প্রতি সাভার ট্র্যাজেডিতে ১১ শতাধিক পোশাক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশের বৃহত্তম এই শিল্পখাত পরিণত হয়েছে বৃহত্তম দায়বদ্ধতায়। কোনো কোনো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দায়বদ্ধতা এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এগিয়ে এসেছে অনেকেই।
জো ফ্রেশ, ম্যাঙ্গো, বেনেটনের মতো খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করার প্রমাণ মিলেছে সাভারের ধসে পড়া ভবন রানা প্লাজায়। এসব ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, রাস্তায় রাস্তায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল, লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে গ্যাপসহ কয়েকটি খুচরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিভিন্ন শ্রম সংগঠন।
পরিস্থিতি থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য এখন দু’টি পথ খোলা আছে- বাংলাদেশে উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও কাজের পরিবেশ উন্নত করা, অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করে বেশি খরচে বাংলাদেশিদের সমান বা কম দক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো। অবশ্য দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একটি দরিদ্র দেশকে বঞ্চিত করার জন্য সমালোচনারও মুখোমুখি হতে হবে ব্র্যান্ডগুলোকে।
তবে বেশিরভাগ খুচরা বিক্রেতাই বাংলাদেশে ত্যাগ না করে এখানকার কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদনকারী দুই শীর্ষ কোম্পানি ওয়ালমার্ট ও এইচঅ্যান্ডএম জানিয়েছে, বাংলাদেশকে ত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। চিলড্রেন’স প্লেস, ম্যাঙ্গো, জে.সি. পেনি, বেনেটন, গ্যাপ, সিয়ার্সও একই মত দিয়েছে।
তবে কোনো কোনো কোম্পানি মনে করছে, বাংলাদেশে কাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওয়াল্ট ডিজনি এদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে আর উৎপাদন চালিয়ে যাবে না বলে চলতি মাসেই তারা ঘোষণা দিয়েছে। ডিজনির কনজ্যুমার প্রোডাক্টস বিভাগের প্রেসিডেন্ট বব চ্যাপেক এ ব্যাপারে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, “এগুলো জটিল ধরনের বৈশ্বিক সমস্যা, এর কোনো সুনির্দিষ্ট সহজ সমাধান নেই।”
শিল্প বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরোপুরি ছেড়ে না গেলেও বাংলাদেশের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে থাকবে কোম্পানিগুলো। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব খুচরা বিক্রেতারা পোশাক তৈরি করছে, ইচ্ছা করলেই তাদের জন্য দেশত্যাগ করা সহজ নয়।
বিশ্বজুড়ে সস্তা শ্রম বা উপযুক্ত কারখানার অভাব নেই বটে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বিপুলপরিমাণ পোশাক তৈরির জন্য যে আস্থা ও সম্পর্ক প্রয়োজন, নতুন দেশে নতুন কারখানায় তা অর্জন করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, সস্তা শ্রমের অন্য দেশগুলোতেও কোম্পানিগুলোর একই ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
যুক্তরাজ্যের ঝুঁকি বিশ্লেষক সংস্থা ম্যাপলক্রফটের মতে, শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কাজের পরিবেশই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে কম মজুরির দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে, যেমন- শিশু শ্রম, জোরপূর্বক শ্রম ইত্যাদি। সংস্থাটি তাদের শ্রম অধিকার ও নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশকে ১৭তম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে চীন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। অর্থাৎ এসব দেশ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আরেকটি কারণে ব্র্যান্ডগুলোর বাংলাদেশ ত্যাগ করা কঠিন। তাদের চাহিদা হলো বেশি পণ্য, কম দাম, ভালো মান ও সঠিক সেবা। এসব চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত শ্রমিক, উৎপাদন ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা অল্প যে কয়েকটি দেশের রয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:২৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ৮ ডলারে মাল কিনে ৫০ ডলার বেচা আর কোথায় পাবে?
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: ক্রেতাদের চাপে রাখার জন্য শ্রমিকদের চাপে রাখার জন্য বিজিএমইর মত একটা অর্থলোভি পিশাচ, কন্জুষ, যারা একটাকা বিষ্ঠাতে পড়লে ইতর শ্রেনীর মত মুখ দিয়ে তুলবে তারা সব কারখানা বন্ধ রাখছে, শ্রমিকদের বেতন বন্ধ!
৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
মৌনতা০১ বলেছেন: ওয়াল্ট ডিজনীর ক্যান্সেল করা অর্ডার গুলো ভারতে ইতিমধ্যে চলে গেছে সেদিন NDTV তে দেখলাম। ভারতের শ্রম বাজার, কাচামাল সব কিছু বাংলাদেশের সাথে তুলনেয়। তাই এত নিশ্চিন্ত বসে থাকার কিছু নেই যে বাংলাদেশে কম দাম বলে সবাই বাংলাদেশে আসবে। ভারতে চলে গেলে ভারত আরো উন্নত হবে আর আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
অপপ্রচার বন্ধ করেন। সরকার ই ইউ কে হাতে পায়ে ধরে চলে যাওয়া থেকে সরাইসে। আর যে অবস্থা বিজ়েএমই শুরু করসে ব্যবসা চলে যেতে বেশিদিন লাগবে না। সাবধান হন। কারখানার পরিবেশ উন্নত করা দরকার। শান্তি আনা দরকার অই সেক্টরে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫৫
মুহম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেছেন: ক্রেতারা দেশ ছেড়ে যাক আর নাই যাক, আমাদের কাজের পরিবেশ আমাদের গরজেই উন্নত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ উন্নত করতে, শ্রমিমকের সজুরি বাড়াতে যদি পোশাকের দাম বাড়াতে হয় তাও বাড়ানো যেতে পারে।
ওদিকে সরকার পরিবেশ টরিবেশ বুঝি না, শুধু চাই ভোট। এই নীতিতে ক্রেতাদের সাথে পরিবেশ, দাম, তাদের অভিমান ভোলানো কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে মালিকদের উপর।
কী অদ্ভুত আমাদের সানসিকতা!