![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কানাডার মানবাধিকারের সব গল্পই শোনা। কখনো এই দেশটিতে গিয়ে দেখা হয়নি। অন্যতম একটি গল্প হচ্ছে- তুমি যদি কোনো একটি সাইনে ‘খারাপ কোনো গালি’ লেখো, তাহলে ইংরেজি ও ফরাসি দুই ভাষায়ই লিখতে হবে। কারণ শুধু ইংরেজি ভাষায় লেখা হলে নাকি ইংরেজি না জানা ফরাসিভাসী কানাডীয়দের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়।
এই তথাকথিত মানবাধিকারের দেশের নতুন কাহিনী জানা গেলো। হয়তো সময়ের ব্যবধানে একদিন এটিও গল্প আকারে প্রতিষ্ঠা পাবে। যা কানাডাকে বিশ্ব দরবারে হেয় করা ছাড়া বড় করবে না তা হলফ করে বলতে পারি। কারণ এই ঘটনার পেছনে কানাডীয়দের মুনাফাকামী দৃষ্টিভঙ্গীটিই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
কানাডার ট্রিস্টানস্টাইল তৈরি পোশাকের একটি বড় খুচরা বিক্রেতা। মানবাধিকারের ভক্ত এই প্রতিষ্ঠান সস্তা শ্রমের সুযোগ নিয়ে সস্তায় কাপড় বানিয়ে নিয়ে নিজ দেশে চড়া দামে বিক্রি করে ম্যালা মুনাফা কুড়িয়েছে। কাহিনীটি এই ট্রিস্টানকে নিয়েই।
শ্রমিক অধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা চুক্তিতে ব্যাপক সাড়া মিলছে। এই চুক্তিতে সই করতে রাজি হয়েছে এইচঅ্যান্ডএম, জারা, বেনেটনসহ আরও কয়েকটি বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি। তাদের যুক্তি মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নয় বরং বাংলাদেশে কর্মপরিবেশ উন্নত করার পক্ষে সহযোগিতা করতেই এই উদ্যোগ জরুরি।
কিন্তু এরই মধ্যে মানবাধিকারের দেশ কানাডার ট্রিস্টানস্টাইল এইসব অধিকারের প্রশ্নে কান না গলিয়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ পোশাক শিল্পীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আর তা যেকোনো মানবিক শিষ্টাচারকে ছাড়িয়ে।
টিস্টানস্টাইলের স্টোরের সামনে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে “এই স্টোরে বাংলাদেশে তৈরি কোনো কিছুই নেই। তবে ক্যানাডায় তৈরি অনেক কিছুই রয়েছে (দেয়ার ইজ নাথিং ইন দিস স্টোর মেড ইন বাংলাদেশ বাট এ লট মেড ইন ক্যানাডা।)”
১৯৭০ এর দশকে ট্রিস্টান কানাডায় যাত্রা শুরু করে এখন সেখানকার একটি বড় খুচরা বিক্রেতায় পরিণত হয়েছে। মোট বিক্রয়ের ৭০ শতাংশ পোশাকই দেশের বাইরে থেকে বানিয়ে আনে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের কাপড় বিক্রি হয় না বলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের লাখ লাখ পোশাককর্মীর প্রতি তাদের চরম অবজ্ঞা ও অবহেলা দেখিয়েছে। মানবাধিকারের পরাকাষ্ঠা বটে।
মুল
১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
ছািব্বর বলেছেন: ইউরোপ- আমেরিকা এভাবেই ধোকাবাজি করে সভ্য সেজেছে ।
এদের কুটচাল আমাদের বুঝা উচিত
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
চোরাবালি- বলেছেন: গার্মেন্টস কামলা হিসেবে আমার অভিজ্ঞা হচ্ছে সবচাইতে ফ্রট বায়ার আমারিকা/কানাডা জোনে। সুবিধা তো নাই বরং নানান প্রতিবন্ধকতা সেখানে। অধিকাংশ ইউরোপিয়ান বায়ার যেখানে অনটাইমে পেমেন্ট করে এবং সর্বদায় পূর্ণ ভ্যালু পে করে তার বিপরীতে ওরা ধান্দায় থাকে কি ভাবে কোন উপায়ে পেমেন্ট কম দেয়া যায়।