![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বাটা বিশ্বের সব দেশে আইন মেনে ব্যবসা করলেও বাংলাদেশের শ্রম আইনের কোনো তোয়াক্কা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাটা শোরুমের সেলসম্যানরা।
নিয়োগপত্র, পরিচয় পত্র, হাজিরা শিট, সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত বেতন, ঈদ বোনাস ও শ্রমআইন অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ সুবিধার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাটা সেলসম্যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ এ অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, বাটা কোম্পানির শোরুমে সেলসম্যান হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের বেতন বা অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা নাই। শুধু বিক্রির শতকরা আড়াই টাকা কমিশন শোরুমের সেলসম্যান থেকে শুরু করে ক্লিনাদেরও ভাগ করে দেওয়া হয়।
তারা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “এক হাজার টাকার জুতো বিক্রি করলে দোকানের সব সেলসম্যান, এমনকি ক্লিনারদেরও ২৫ টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত ক্ষেত্র বিশেষে সারারাত কাজ করার পর কোনো কারণে শোরুমে বিক্রি না হলে তারা কোনো টাকাই পান না।
আরেকটি ব্রান্ডের জুতোর শোরুমের উদাহরণ দিয়ে তারা জানান, সেখানে সেলসম্যানরা ৫ হাজার টাকা নির্ধারিত বেতনের পরও প্রতি জোড়া জুতো বিক্রিতে কমিশন পায়।
তারা বাটা কোম্পানির শ্রমস্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার উদাহরণ হিসেবে বলেন, “২০০৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদুল ইসলাম শহীদ নামের বাটা জুতোর শ্যামলী শোরুমের এক সেলসম্যান মারা যান। কোম্পানি কোনো সহায়তা না করায় সেলসম্যানরা দু’শো টাকা করে চাঁদা তুলে নিজেরাই তার লাশ গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে পৌঁছে দেয়।”
নেতারা আরও অভিযোগ করেন, ছয়মাস আগে বাটার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে উপস্থাপন করলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো বাটা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ডেকে বলে, সেলসম্যানদের দাবির বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি আমাদের সঙ্গে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা শ্রম আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর অধীনে নির্ধারিত মজুরি দাবি করে জানান, ১৭ জুন দেশের সব সেলসম্যানদের কালোব্যাজ ধারণ ও ১৯ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। এরপরও দাবি না মানলে বাংলাদেশের ১২শ’ সেলসম্যান মিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
বাটা সেলসম্যান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সাইদুল ইসলাম (তসলিম) বাংলানিউজকে বলেন, “সকাল সাড়ে ৮টায় শোরুমে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও ডিউটি শেষ করার কোনো সময়সূচি নেই। কখনও সারা রাতও কাজ করতে হয় বিনা পারিশ্রমিকে।”
সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান হাওলাদার বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “ডিউটি চলাকালে বাটা লেখা টি-শার্টটিও কিনে নিতে হয়। সারাক্ষণ ডিউটিতে থাকলেও এ সময় তাদের সব বেলার খাবার এমনকি ক্লান্ত হলে পানিটা পর্যন্ত নিজেদেরই কিনে খেতে হয়।”
©somewhere in net ltd.