![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন সশস্ত্র শান্তিবাহিনীর অভয়ারণ্য। মূল ভূখ- থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র এখন পাকাপোক্ত। অথচ শত শত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের প্রাণের বিনিময়ে শান্তি ফিরে আসে এ অঞ্চলে। কৌশলে ২শ’ ৩৮টি সেনা ক্যাম্প তুলে নেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ভান্ডার গড়ে তুলেছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র ক্যাডাররা। সেনাক্যাম্প তুলে নেয়ায় অসহায় ওই অঞ্চলের বাঙালী মুসলমানরা। আর জেএসএস ও ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র ক্যাডাররা এই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেই সাথে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অরক্ষিত পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সেনাক্যাম্প তুলে নেয়ার সুযোগে আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মায়ানমারের বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ আস্তানা গড়ে তুলেছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র ক্যাডারদের চাঁদাবাজির কারণে বাঙালীরা শুধু জিম্মি হয়ে আছে তা নয়, একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ বাঙালীদের। একদিকে সেনাক্যাম্প গুটিয়ে আনা এবং অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় পাহাড়ে বসবাসরত অনেক বাঙালী পরিবার এখন পাহাড় ছেড়ে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অথচ ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসলেও এখন পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপসহ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে নিয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা কতিপয় এনজিও-এর সহযোগিতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে মদদ দিচ্ছে শান্তিবাহিনীকে। একই সাথে তারা সুকৌশলে বাঙালী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে ওই অঞ্চলকে খৃষ্টান অধ্যুষিত অঞ্চল বানানোর মিশনে নেমেছে।
মুল
২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন:
৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৫
হীরক কণা বলেছেন: ফিলিস্তীনে ইহুদী বসতি স্থাপনের পূর্বে ব্রিটিশরা এভাবেই ইহুদীগুলোকে ধীরে ধীরে ফিলিস্তীনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন:
‘আদিবাসী’ রাষ্ট্র স্বপ্ন - এ. জেড. এ শামসুল আলম
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা নিয়ে একটি নতুন খ্রিস্টান রাষ্ট্রগঠনের নীলনকশা পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের মনে, মগজে এবং বগলে সংরক্ষিত আছে। এই লক্ষ্যে তারা পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোকে আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে একটি আদিবাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে। তাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা দেখে ধারণা করা যায়, একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা নিয়ে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুরের ন্যায় একটি খ্রিস্টান আদিবাসী রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছে। এখন অভিজ্ঞতার আলোকে একবিংশ শতাব্দীতে উক্ত পরিকল্পনা কিছুটা সম্প্রসারণ করে কক্সবাজারকেও ঐ নতুন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে নীলনকশা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান নিয়ে পার্বত্য উপজাতি খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এটা হবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র। তবে মালদ্বীপ হতে অনেক বড়। বহির্বিশ্বের সঙ্গে এ রাষ্ট্রের স্থল পথে বা জল পথে কোনো সংযোগ থাকবে না। কিন্তু কক্সবাজার এ রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত করা হলে পার্বত্য এর সঙ্গে বহির্বিশ্বের সমুদ্র পথে যোগাযোগ সহজ এবং নিশ্চিত হয়ে যায়।
তাই কক্সবাজার জনগোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়ার জন্যে এবং এ ষড়যন্ত্রের মধ্যে আরাকানীদের অন্তভর্’ক্ত করার প্রস্তুতি অত্যন্ত জোরেশোরে নেয়া হচ্ছে। আকাশ পথ এবং স্থলপথ অপেক্ষা পানিপথে যোগাযোগ ব্যয় অনেক কম। অধিক পরিমাণ এবং ভারী দ্রব্য সাধারণত পানিপথে এবং সামুদ্রিক পরিবহনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। যদিও সামুদ্রিক পরিবহন সময় বহুল, কিন্তু ব্যয় বহুল নয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র স্বনির্ভরশীল এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হতে হলে তাদের সমুদ্র সান্নিধ্যে প্রয়োজন। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্যে কক্সবাজারকে অথবা এর অংশ বিশেষ এ রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা রয়েছে দেশের শত্রুদের নীলনকশায়।
সমুদ্র সীমা না থাকলে শিল্পোন্নত আধুনিক রাষ্ট্র হবে অনুন্নত এবং দুর্বল। বর্তমান বিশ্বে চীন একটি পারমাণবিক উন্নত রাষ্ট্র। কিন্তু তার মাথা বা বুকের ওপর আছে উন্নত বা আধুনিক রাষ্ট্র হংকং। চীন দুখিত ফরমোজা হারিয়ে। কিন্তু হংকং হারিয়ে দুখিত নয়। কারণ হারানো হংকং হতে তারা আধুনিক এবং পাশ্চাত্য নাগরিক প্রগতির তথ্য এবং দিকনির্দেশনা অনেকটুকু পেয়ে থাকে।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে আছে পাহাড়ী এবং বাঙ্গালী রেষারেষি ও দ্বন্দ্ব। এরূপ অবস্থানের রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিস্বাদ পাশ্চাত্য সা¤্রাজ্যবাদী স্বার্থের অনুকূল। কারণ দু’টি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিতিশীল সম্পর্ক হলে উভয় রাষ্ট্রই চায় সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতা, প্রশ্রয়, আনুকূল্য এবং বন্ধুত্ব।
পাশ্চাত্য প্রশ্রয়ে এবং মিশনারীদের মাধ্যমে পাহাড়ীদের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের প্রবণতা আরো প্রবল হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে।
উপজাতিদের আকর্ষণ করার জন্য চট্টগ্রামের ডুলা হাজরায় অতি উন্নতমানের হাসপাতাল কেন্দ্রিক কার্যাবলী অতি সতর্ক এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তা ধারায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে। ডুলা হাজরায় একটি খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার ছত্রছায়ায় খ্রিস্টান এনজিও প্রভাব ক্রমশই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সাথে চট্টগ্রামে পাহাড়ী, বাঙ্গালী, আরাকানী রোহিঙ্গা বাঙ্গালী দ্বন্ধ সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাঙ্গালী স্বার্থের অনুকূলে নয়। বরং পাশ্চাত্য সা¤্রাজ্যবাদী মোড়লদের স্বার্থের অনুকূল।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আরাকানী মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে বসবাসের সুবিধা না দেয়া হলেও ডুলা হাজরার পাহাড়িয়া অঞ্চল এবং সমুদ্রতটের মধ্যস্থলে হালুয়া ঘাটে খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল স্থাপন করে পাহাড়ীদেরকে সে এলাকার দিকে আকর্ষণ করা হচ্ছে।
পাহাড়ীদেরকে ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান উপজাতি গঠনের প্রক্রিয়া বিচ্ছিন্নভাবে চলছে। ধর্মান্তরিত করণের উত্তম মাধ্যম হলো অসুস্থতার সময় চিকিৎসা সেবা দেয়া এবং সুস্থ হলে পুনর্বাসনের জন্যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা।
চট্টগ্রামের ডুল হাজরায় স্থাপিত খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালকে কেন্দ্র করে সমাজ সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে বহুসংখ্যক খ্রিস্টান পৃষ্ঠপোষকিত এনজিও। এদের কাজ হচ্ছে সমাজ সেবার ছদ্মনামে উপজাতিদের খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার।
একই সঙ্গে অতি নিপুণ এবং সূক্ষ্মভাবে চলছে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় বিরোধ, বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি কার্যক্রম। ক্ষুদ্র স্বার্থে আঘাত দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা সহজ। এর পরিণতিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম সৃষ্টি করে খ্রিস্টানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কল্পিত কাহিনী মিডিয়ায় প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্য আকর্ষণ এবং দরিদ্র মুসলিমদেরকে খ্রিস্ট ধর্মের দিকে আকর্ষণ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের সংগঠনগুলো প্রপাগা-ার মাধ্যমে চট্টগ্রামে খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে সচেতন এবং ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম হারানোর জন্যে সমগ্র বাংলাদেশীকে আর্থিক সহযোগিতা বা ঘুষ দিতে হবে না। যাদের হাতে যখন যে কোন প্রকারের ক্ষমতা থাকে, তাদের কাছের কিছু লোকদের প্রভাবিত করলেই চলবে। চট্টগ্রাম সীমান্তে কক্সবাজারের অংশ বিশেষ, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি যোগ করে উপজাতি খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা কঠিন নয়। পাকিস্তানকে কাশ্মীর হারিয়ে বিক্ষুব্ধ থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশকে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার হারিয়েও হয়ত সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
বর্তমান নাগরিক সভ্যতায় কোন দেশেরই বুর্জোয়া রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ক্রয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় না। নামমাত্র সালামিতেই আমাদের অনেকে পরাশক্তিদের স্বার্থে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের অঙ্গহানীতে দুখিত হবে না।
সুদান এবং পূর্ব তিমুরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, সংখ্যালঘুগণ নিজেদের পৃথক জাতিগোষ্ঠী হিসাবে ভাবতে শুরু করার পর বিশেষ স্বতন্ত্র পরিচিতি গ্রহণ করে এবং নিজস্ব ঐতিহ্য সৃষ্টি করে যা কোনো একটি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হতে স্বতন্ত্র।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে স্বাতন্ত্র্য চেতনা লালন-পালনের মাধ্যমে তাদেরকে কল্পিত রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হয়। তাদের মধ্যে পৃথক রাষ্ট্রীয় চেতনা সৃষ্টি করা হয়। আমাদের পার্বত্যাঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও এটা প্রতীয়মান হবে।
পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর এবং দক্ষিণ সুদানে খ্রিস্টান জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত উত্তর সুদানের বিপক্ষে পৃথক রাষ্ট্র গঠনে অবস্থান নিয়েছিল। বাংলাদেশেও পাশ্চাত্যশক্তিবর্গ পাহাড়ী উপজাতি এবং রোহিঙ্গা আরাকানীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনে উৎসাহিত করছে।
কোনো অ্যাংলো মার্কিন নৌঘাটি স্থাপনের সুবিধা ভারত মহাসাগর উপকূলে নেই। তাছাড়া পাশ্চাত্যের নিকট চীনের গুরুত্ব অত্যধিক। পূর্ব এশিয়ার হংকং, হরমোজা, তাইওয়ান, ব্যাংকক ইত্যাদি পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের আওতায়। বাংলার অদূরে অতি ক্ষুদ্র পার্বত্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে চট্টগ্রাম উপকূলে মার্কিন নৌবহর ঘাঁটি স্থাপন অতি সহজ হবে।
পার্বত্য বাংলায় স্বাধীন উপজাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, মার্কিন স্বার্থের অনুকূলে। অন্য দিকে চীনকে দ্রুততম সময়ে শিক্ষা দেয়ার জন্যে অতি ক্ষুদ্র পার্বত্য বাংলা রাষ্ট্র পাশ্চাত্য সামাজ্যবাদী রাষ্ট্রসমূহের স্বার্থের অনুকূলে। তাই পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত উপজাতিদের যারা আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় এবং যেসব মিশনারী ও এনজিও এ অঞ্চলে তাদের কাক্সিক্ষত ‘আদিবাসী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
লেখক : সাবেক সচিব, গ্রন্থকার ও গবেষক