নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছািব্বর

ছািব্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিয়ানমারের সহিংসতার পেছনে অহিংসের দাবীদার চরমপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯

আশিন ভিরাথু মিয়ানমারের এক প্রভাবশালী বৌদ্ধ ভিক্ষু। অতীত পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনা করল। এরপর সমবেত হাজারো ভক্তদের উদ্দেশ্য ধর্মোপদেশ দেওয়া শুরু করল। ধর্মোপদেশে দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উৎখাতের দিক-নির্দেশনা দিল সে ।



ভক্তদের সে বলল, “তোমরা দয়া আর ভালবাসায় পূর্ণ থাকতে পার কিন্তু পাগলা কুকুরের পাশে ঘুমাতে পার না।”




তার মতে, এই পাগলা কুকুর হচ্ছে তার দেশের সংখ্যালঘু ‍মুসলমানরা।



এভাবেই মিয়ানমারের চলমান সহিসংতাকে ‍উসকে দিচ্ছে চরমপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। নিউইয়র্ক টাইসের বৈশ্বিক সংস্করণ ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সহিংসতায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।



নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সংস্করণে ‘মিয়ানমারের বৌদ্ধদের মধ্যে চরমপন্থা বাড়ছে’ ও হেরাল্ড ট্রিবিউন ‘মিয়ানমারে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর উত্তেজিত হওয়ার ডাক’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।



দুই ঘণ্টাব্যাপী ধর্মোপদেশের পর এক সাংবাদিককে সে বলে, “আমি তাদের সমস্যা সৃষ্টিকারী বলি কেননা তারা সমস্যা সৃষ্টিকারী। আমাকে উগ্রপন্থি বলায় আমি গর্বিত বোধ করি।”



বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের সহিষ্ণুতার নিয়ে যে ইতিবাচক ধারণা মানুষের আছে তার কোনো লক্ষণ নেই আশিন ভিরাথুর মতো চরমপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের। ধ্যাণে মগ্ন থাকার চেয়ে অস্ত্রবহন আর বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য দেওয়াতেই ব্যস্ত তারা।



হেরাল্ড ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ২০০ জনের বেশি মুসলমানকে মেরে ফেলেছে এবং দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে যাদের অধিকাংশই ‍মুসলমান।



দেশব্যাপী উগ্রবাদী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে ধর্মোপদেশ সংবলিত বক্তব্য ডিভিডি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্য বিলি করা হচ্ছে। মুসলমানদের তৈরি জিনিস ও পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে নিয়মিত ধর্মপোদেশে।



সহিংসতাকে জোরদার করতে কমিউনিটি সেন্টার খোলা হচ্ছে এবং দেশব্যাপী ৬০ হাজারের বেশি বৌদ্ধ শিশুকে নিয়ে রোববারের স্কুল কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। ‘সানডে ধাম্মা স্কুল’ নামের কর্মসূচিতে শিশুদের মনে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে, ‍মুসলমান বিদ্বেষী ধারণা।



সামরিক রাষ্ট্র থেকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় প্রবেশ করলেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কারণে বিশ্বব্যাপী মিয়ানমারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং এশীয় অঞ্চলে প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মিয়ানমারবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে। বেসামরিক সরকার প্রচলিত মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে আশিন ভিরাথু।



আশিন বলে, “যদি আমরা দুর্বল হই, আমাদের ভূমি মুসলমানদের হবে।”





নিজেকে ‍জাতীয়তাবাদী হিসেবে দাবিকারী আশিন বলে, “মিয়ানমারের বৌদ্ধরা মুসলমানদের অধীন হয়ে যাচ্ছে।”



তিনি দাবি করে, মুসলমানরা বৌদ্ধদের থেকে বেশি সন্তান নিচ্ছে এবং বৌদ্ধদের সম্পত্তি কিনে নিচ্ছে।




মুসলিমবিরোধী আন্দোলনের একটি ‘থিম সং’ তৈরি করেছেন আশিন। গানের সারাংশ হচ্ছে, যারা আমাদের দেশে বাস করে, আমাদের পানি পান করে এবং তারা আমাদের প্রতি অকৃতজ্ঞ।

গানটিতে সরাসরি মুসলমানদের উল্লেখ করা না হলেও আশিন ভিরাথু জানায়, মুসলমানদেরই উদ্দেশ্য করেই গানটি তৈরি করা হয়েছে।



আশিনের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ৯৬৯। এ সংখ্যা বুদ্ধের গুণাবলীকে প্রতীকায়িত করে বলে বিশ্বাস বৌদ্ধ ভিক্ষুদের। আন্দোলনের লোগো এখন-কি গাড়ি, কি মোটর সাইকেল, কি দোকান-মিয়ানমারের সর্বত্রই।



সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.