![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহিমান্বিত সৌভাগ্যের রাত পবিত্র শবে বরাত সমাগত। সোমবার দিবাগত এই রাত মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য। ‘শবে বরাত’, অর্থ দাঁড়ায় সৌভাগ্যের রাত। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’। হিজরি বর্ষপঞ্জির ১৪ শাবান দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবে বরাত। রাতটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
সৌভাগ্যের বারতা ও মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র শবে বরাতের মহিমান্বিত রাত মানব জাতিকে আল্লাহ্ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। শবে বরাতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি।
মহিমান্বিত এ রাতে ইবাদত-বন্দেগীর নির্দেশনাও রয়েছে। মুসলমানরা বিগত দিনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকিরের মধ্য দিয়ে বিনিদ্র রাত যাপন করা হয়। প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনসহ মৃত মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন।
বাঙালি মুসলিম সমাজে শবে বরাতে বাড়িতে বাড়িতে সাধ্যানুযায়ী হালুয়া-রুটিসহ মিষ্টান্ন খাবার রান্না করা হয়। এসব খাবার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি।
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
ছািব্বর বলেছেন: ইমাম দায়লামি(রঃ) হযরত আয়েশা(রঃ) এর সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসুল(সঃ) বলেন চার রাতে আল্লাহ্ তা’আলা প্রচুর রহমত বর্ষণ করেন-১.ঈদুল ফিতরের রাত, ২.ঈদুল আযহার রাত, ৩.অর্ধ শা’বানের রাত, ৪.রজবের রাত।
ইমাম সুবুকি(রঃ) তার তাফসির গ্রন্থে লিখেছেন শবে বরাতে ইবাদত করার উসিলায় সারা বছরের,জুম’আর ইবাদতের দ্বারা সারা সপ্তাহের এবং শবে ক্বদরের ইবাদত দ্বারা সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়।
এজন্যই শবে বরাতের রাতকে গুনাহ মাফের রাত বলা হয়। এরাতকে মাগফেরাতের রাত ও বলা হয়। ইমাম আহমেদ(রঃ) বর্ণনা করেন আল্লাহ্র রাসুল(সঃ) বলেছেন এ রাতে মুসরিক ও হিংসুক এই দু শ্রেণীর লোক ছাড়া সবাইকে মহান আল্লাহ্ ক্ষমা করে দেন।
এরাতকে শাফায়াতের রাত ও বলা হয়। হাদিসে শরিফে আছে শুধুমাত্র দুষ্ট প্রকৃতির লোক ছাড়া আর সকল লোকদের জন্য শাফায়াতের দোয়া কবুল হয়।
একে মুক্তির রাত ও বলা হয়। হাদিস শরীফের এক বর্ণনায় হযরত আয়েশা(রঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(সঃ) একাগ্র মনে এ দোয়া করতে শুনেছেন যে,--“ হে আল্লাহ্! আমার দেহ, আমার ধ্যান-ধারনা, চিন্তা-চেতনা আপনার জন্য সেজদাবনত। আমার অন্তঃকরন আপনার প্রতি ঈমান এনেছে। এ আমার হাত যা দ্বারা আমি কোন অপরাধ করি। হে ক্ষমাকারী! আমার বড় বড় গুনাহসমুহ মাফ করে দিন। আমার চেহারা তাকেই সেজদা করে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন,আকৃতি দিয়েছেন, কর্ণ ও শ্রবণ শক্তি, চক্ষু ও দৃষ্টি শক্তি দান করেছেন, আমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে এ দোয়া পড়েন-“হে আল্লাহ্! আপনার ভয়ে ভীত, শিরক থেকে মুক্ত, গুনাহ থেকে স্বচ্ছ অন্তর আমাকে দিন যার মধ্যে কুফরের লেশ মাত্র না থাকে, যে অন্তর কোনোদিন বঞ্চিত দুর্ভাগা না হয়। অতঃপর তিনি আবার সেজদায় গেলেন এ সময় আমি তাকে এ দোয়া পড়তে শুনেছি—“হে আল্লাহ্! আপনার রোষ অসন্তুষ্টি থেকে আপনার সন্তোষের আশ্রয় চাই। আপনার আজাব ও গজব থেকে আপনার ক্ষমার আশ্রয় চাই। আপনার ক্ষোভ থেকে আপনার রহমতের মিনতি করছি। আপনার প্রশংসা করে শেষ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনি তেমনি যেমন আপনি নিজের প্রশংসা করেছেন। আমি তাই বলি যা আমার ভাই দাউদ বলেছিলেন, আমি আমার রবের জন্য আমার মুখমণ্ডল মাটিতে স্থাপন করি, এতে আমি তার ক্ষমা অবশ্যই পেতে পারি। অতঃপর তিনি মাথা তুললেন। আমি নিবেদন করলাম হে আল্লাহ্র রাসুল(সঃ) আপনার ওপর আমার পিতা মাতা কোরবান হোক, আপনি কি করছেন আর আমি কি ভাবছি। রাসুল(সঃ) বললেন ,হে হুমায়রা!(হযরত আয়েসা(রঃ) এর বিশেষ নাম যে নামে শুধু আল্লাহ্র রাসুল(সঃ) ডাকতেন) তুমি কি জাননা, আজকের এ রাত অর্ধ শাবানের রাত এ রাতে আল্লাহ্ তা’আলা ছয় শ্রেণীর লোক ছাড়া বনি কালব গোত্রের অসংখ্য ছাগলের পশমের পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। যাদের কে আল্লাহ্ তা’আলা মাফ করবেন না তারা হল- মদ্যপায়ী, পিতা-মাতার অবাধ্য, ব্যাভিচারি, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ফেতনাবাজ ও চোগলখর। অন্য এক বর্ণনায় ফেতনাবাজের স্থলে প্রাণীর ছবি অংকনকারীর কথা বলা হয়েছে।
এ রাতকে তকদিরের রাত ও বলা হয়। হযরত আতা ইবন ইয়াসার(রঃ) বলেন এক শা’বান থেকে পরবর্তী শা’বান পর্যন্ত যারা মৃত্যু বরন করবে, তাদের নামের তালিকা এ অর্ধ শা’বানের রাতে মৃত্যুর ফেরেশতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। অথচ এ মুহূর্তে তাদের কেউ ক্ষেত-খামারে ব্যস্ত থাকে, কেউ বিয়ে করতে থাকে, কেউ ইমারত তৈরিতে ব্যস্ত থাকে অন্য দিকে মালাকুল মউত আল্লাহ্র হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। হুকুম হওয়া মাত্র তার রূহ কবজ করে নেবে।
উপরোক্ত বর্ণনা থেকে একথা প্রতীয়মান হয় যে, অর্ধ শা’বানের রাতই বুজুর্গানে দিনের বর্ণনার শবে বরাতের রাত। এক মহিমান্বিত সৌভাগ্যের রজনী। যে রাতে বান্দার পরবর্তী এক বছরের হায়াত, মউত, রিজিক, শাফায়াৎ, রহমত, ক্ষমা ও গুনাহ মাফের দরখাস্ত কবুল করা হয়। সহিহ হাদিস দ্বারা এ কথা প্রমানিত যে, মহান আল্লাহ্ এ রাতে তার বান্দার কাছ থেকে দোয়া আহ্বান করেন সেই সাথে দোয়া কবুলের ও প্রতিশ্রুতি মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন। হাসান ইবন আলী খাল্লাল(রঃ) হযরত আলী ইবন আবু তালিব(রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন, যখন শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসবে, তখন তোমরা এ রাতে নামাজ পড়বে এবং এ দিনে রোজা রেখ। কেননা সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ্ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন। তারপর বলেন, আমার কাছে কেউ ক্ষমা প্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো জিবিকার সন্ধানী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দেব। কোন রোগগ্রস্ত আছে কি? আমি তাকে নিরাময় দান করবো। এভাবে তিনি বলতে থাকেন, অবশেষে ফজরের সময় হয়ে যায়। সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস নম্বর-১৩৮৮।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
রোদের ফোঁটা বলেছেন: সংশোধনী: এ নিয়ে হাফেয ইবনে রজব ( রহ: )
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: “শবেবরাত“ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?
-------------------------------------------
সেলিম জাহাঙ্গীর
*************
এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?
এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দুটির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ - سورة الدخان:৩ـ৪
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারাআত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শাবানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।
আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে মুবারক রাত্রি বলতে লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - سورةالقدر:১
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ - سورة البقرة:১৮৫
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শাবানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন, যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।
অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ মত প্রকাশ করেছেন। (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।
শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাজ কিভাবে এলো
এ নামাযের প্রথম প্রচলন হয় হিজরী ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামীয় একলোক বায়তুল মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত ছিল সুমধুর। তিনি শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাযে দাঁড়ালে তার পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ায়, তারপর তার সাথে তৃতীয় জন এসে যোগ দেয়, তারপর চতুর্থ জন। তিনি নামায শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী বছর এলে, তার সাথে অনেকেই যোগ দেয় ও নামায আদায় করে। এতে করে মাসজিদুল আক্সাতে এ নামাযের প্রথা চালু হয়। কালক্রমে এ নামায এমনভাবে আদায় হতে লাগে যে অনেকেই তা সুন্নাত মনে করতে শুরু করে। (ত্বারতুসীঃ হাওয়াদেস ও বিদআ পৃঃ১২১, ১২২, ইবনে কাসীরঃ বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৪/২৪৭, ইবনুল কাইয়েমঃ আল-মানারুল মুনিফ পৃঃ৯৯)।
এ নামাযের পদ্ধতি
প্রথা অনুযায়ী এ নামাযের পদ্ধতি হলো, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পড়ে মোট একশত রাকাত নামায পড়া। যাতে করে সূরা ইখলাস ১০০০ বার পড়া হয়। (এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীন (১/২০৩)।
এ ধরণের নামায সম্পূর্ণ বিদআত। কারণ এ ধরণের নামাযের বর্ণনা কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। কোন কোন বইয়ে এ সম্পর্কে যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয় সেগুলো কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। আর তাই আল্লামা ইবনুল জাওযী (মাওদুআত ১/১২৭-১৩০), হাফেয ইরাকী (তাখরীজুল এহইয়া), ইমাম নববী (আল-মাজমু ৪/৫৬), আল্লামা আবু শামাহ (আল-বায়স পৃঃ৩২-৩৬), শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা, (ইকতিদায়ে ছিরাতুল মুস্তাকীম ২/৬২৮), আল্লামা ইবনে আররাক (তানযীহুশ শরীয়াহ ২/৯২), ইবনে হাজার আল-আসকালানী, আল্লামা সূয়ূতী (আল-আমর বিল ইত্তেবা পৃঃ৮১, আল-লাআলিল মাসনূআ ২/৫৭), আল্লামা শাওকানী (ফাওয়ায়েদুল মাজমু‘আ পৃঃ৫১) সহ আরো অনেকেই এ গুলোকে “বানোয়াট হাদীস” বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ধরণের নামাযের হুকুম আছে কি?
সঠিক জ্ঞানের অধিকারী আলেমগণের মতে এ ধরণের নামায বিদআত; কেননা এ ধরনের নামায আল্লাহর রাসূলও পড়েননি। তার কোন খলীফাও পড়েননি। সাহাবাগণও পড়েননি। হেদায়াতের ইমাম তথা আবু হানিফা, মালেক, শাফেয়ী, আহমাদ, সাওরী, আওযায়ী, লাইসসহ অন্যান্যগণ কেউই এ ধরণের নামায পড়েননি বা পড়তে বলেননি।
আর এ ধরণের নামাযের বর্ণনায় যে হাদীসসমূহ কেউ কেউ উল্লেখ করে থাকেন তা উম্মাতের আলেমদের ইজমা অনুযায়ী বানোয়াট। (এর জন্য দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়ার মাজমুল ফাতাওয়া ২৩/১৩১,১৩৩,১৩৪, ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৮, আবু শামাহঃ আল-বায়েছ পৃঃ ৩২-৩৬, রশীদ রিদাঃ ফাতাওয়া ১/২৮, আলী মাহফুজ, ইবদা‘ পৃঃ২৮৬,২৮৮, ইবনে বাযঃ আত্তাহযীর মিনাল বিদআ পৃঃ১১-১৬)।
আল্লাহ্ কোরআন মানুষকে দিয়েছে হাদীস নয়।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৮৮ আয়াত
قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
অর্থঃ বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।
দেখুন উপরের কোরআনের আয়াত পড়ে বোঝা যায় যে, আল্লাহ্ র এই কোরআন অনুরূপ রচনা করতে কেউ পারবে না। কিন্তু হাদীস সেতো পৃথিবীতেই অনেক খন্ড। আর কোরআন সম্পর্কে সূরা হিজর ১৫:৯ আয়াতঃ
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
অর্থঃ আমি স্বয়ং এ উপদেশ (কোরআন) গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক
মূল কিতাব বাদি দয়ে উপ কিতাব চর্চায় আমাদের বেশীর ভাগ ভ্যান্তি ধারনা ও ভুল শিক্ষা দিয়েছে। আল্লাহ্ তার কিতাব সম্পর্কে অটল। সে কখনো বলেনী আমি এই হাদীস অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই তার সংরক্ষক। হাদীস সম্পর্কে বললে অনেক বলতে হয়। তবে আমরা সকলেই যেন কোরআন বুঝে পড়তে পারি, আল্লাহ্ সেই তৌফিক দান করেন----আমেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
রোদের ফোঁটা বলেছেন: ভাই, খুব বিনীত ভাবে বলতে চাই, পবিত্র কুরআনে বলুন আর সহীহ হাদীসেই বলুন কিংবা নির্ভরযোগ্য কোন ফিকহের কিতাবেই বলুন কোথাও শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াতের কোন আলোচনা নেই।
বলেন, মধ্য শাবানের রাতের 'আমল সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে কোন কিছু প্রমাণিত নয়। (লাতায়িফুল মায়ারিফ)
এ নিয়ে হাফেয ইবনে রজব (রহ
ইন-শা-আল্লাহ এতটুকুই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।