![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল এর অর্থনীতির প্রধান প্রতীক। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয় লাভ করে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর কেবল মানসিক শক্তি ও উদ্দীপনা ছাড়া আর কী ছিল দেশটির?
অথচ আজকের গল্প অনেক সাফল্যের। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে শুরু করেছে। এজন্য অজস্র ধন্যবাদ দিতে হয় এখানকার পোশাক কারখানায় কাজ করা নারী শ্রমিকদের। বিশ্বের অর্থনৈতিক বাজারে বাংলাদেশ যে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করছে তার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছেন এই নারী শ্রমিকরা। দেশটির মাথাপিছু আয় প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ শতাংশ বাড়ছে, এ দিক থেকে সংঘবদ্ধ অর্থনৈতিক রাষ্ট্রসমূহের (গ্লোবাল ইকোনমিক লিগ টেবিল) তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম!
নিজেদের পরিশ্রমের কল্যাণে ইতোমধ্যে গোল্ডম্যান সাচ’ এন-১১ গ্রুপে (এগারটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ) স্থান করে নিয়েছে দেশটি। অর্থাৎ একবিংশ শতকে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পর গতিশীল ১১ রাষ্ট্রের মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই তালিকার নামগুলো নিয়ে বেশ প্রশ্ন রয়েছে তবু মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে নিজের নাম বসাতে পেরেছে মাত্র চার দশক আগের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ রাষ্ট্রটি।
১০ বছর আগেও কি কেউ বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন কল্পনা করেছিল? কিন্তু এখানকার নারী শ্রমিকরা দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন পোশাক কারখানায়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে তারা জীবন-যাত্রার মানে এনেছেন বিশাল সাফল্য। গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, নারী শিক্ষা এবং শিশুর পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।
একটি সতর্ক সংকেত দিলে পোশাক কারখানাগুলো শ্রমিকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতো। কিন্তু ওবামা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কি কারাখানা মালিকদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে?
দারিদ্র্য জয়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করা বাংলাদেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কোথায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম কিম? বৈশ্বিক দারিদ্র্য কমানোর জন্য তিনি অনেক বড় বড় বিবৃতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু যে দেশের শ্রমিকরা দারিদ্র্য জয়ের লক্ষ্যে লড়াই করছেন তখন কেন তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করছেন না? কোনো বক্তব্য পেলাম না তার ব্যাংকের পক্ষ থেকেও, বক্তব্য নেই এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকেরও, এমনকি এ ব্যাপারে চুপসে গেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোও!
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১
Palol বলেছেন:
পুজিঁর ধর্ম হল মুনাফা লোটা। মার্কিনীরা ভংচং যতই দেখাক, সস্তা শ্রমে এত মুনাফা আর কোথায় পাবে তারা। বাংলাদেশের কাছে তাদের ফিরে আসতেই হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই, শুধু গার্মেন্ট মালিকরা মানুষের বাচ্চা হলেই এ খাতটি টিকে যাবে। এত বিপর্যয়ের মধ্যেও রপ্তানি কিন্তু কমেনাই বরং বেড়েছে। এ সব কিছু শ্রমিক বন্ধুদের সৌজন্যে। তাই আশাবাদি হওয়ার অনেক কারণ আছে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: Palol বলেছেন:
পুজিঁর ধর্ম হল মুনাফা লোটা। মার্কিনীরা ভংচং যতই দেখাক, সস্তা শ্রমে এত মুনাফা আর কোথায় পাবে তারা। বাংলাদেশের কাছে তাদের ফিরে আসতেই হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই, শুধু গার্মেন্ট মালিকরা মানুষের বাচ্চা হলেই এ খাতটি টিকে যাবে। এত বিপর্যয়ের মধ্যেও রপ্তানি কিন্তু কমেনাই বরং বেড়েছে। এ সব কিছু শ্রমিক বন্ধুদের সৌজন্যে। তাই আশাবাদি হওয়ার অনেক কারণ আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, নারী শিক্ষা এবং শিশুর পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।
দারিদ্র্য জয়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করা বাংলাদেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কোথায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম কিম? বৈশ্বিক দারিদ্র্য কমানোর জন্য তিনি অনেক বড় বড় বিবৃতি দিয়ে থাকেন
অজস্র ধন্যবাদ দিতে হয় এখানকার পোশাক কারখানায় কাজ করা নারী শ্রমিকদের।