নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছািব্বর

ছািব্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার এক বিখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী লেখকের ব্লগে নামাজ নিয়ে যত কথা।

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

আমেরিকার এক বিখ্যাত ইসলাম

বিদ্বেষী লেখকের ব্লগ পড়ছিলাম।

গৎবাঁধা লেখা, কিন্ত একটা লেখায় চোখ

আটকে গেলো। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং।

সে মুসলিমদের তুলনা করছেন একটা বিশাল

আর্মির সাথে, এবং তার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছে।

তার লেখাটার সারমর্ম হল মুসলিমদের শুধুই

একটা আলাদা ধর্মের

অনুসারী হিসেবে দেখলে আমেরিকানরা ভুল

করবে। মুসলিমদের দেখতে হবে একটা সুসংহত

আর্মির মত। আর

তা না করলে মুসলিমরা অচিরেই

পুরো অ্যামেরিকা দখলে নিয়ে নেবে।

সুবহানাল্লাহ । পুরোই আমার মনের কথা।

মুসলিমেরা যে একটা মিলিটারি তা প্রমাণ

করতে সে বলেছে -

"মুসলিমরা রাত শেষ হবার আগেই ,

বিছানা থেকে উঠে মসজিদের

দিকে চলে যায়, এবং তারা মিলিটারির মত

রুটিন মাফিক স্ট্রেচিং আর ড্রিল করে।

( সে ফজরের সালাতের কথা বলছে)। কোন

কিছুই তাদের এ থেকে বিরত রাখতে পারেনা।

কঠিন ঠাণ্ডা, অসুখ, বৃষ্টি , ছুটি কোন অজুহাতই

নয়। বিশ্বের কোন মিলিটারিতেও বোধহয়

এতো কড়াকড়ি নেই। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হল

তারা এটা প্রতিদিন পাঁচবার করে।

মিলিটারিও ফেইল।

আর্মিরা যেমন একত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে মার্চ

করে, মুসলিমরাও অণুরূপ জামাতে সমন্বিত

(synchronized) ভাবে একতাবদ্ধ

হয়ে নামাজ পড়ে। তাদের লাইন ঠিক করা,

একত্রে সকল স্টেপ ফলো করা আর্মিকেও হার

মানায়।"

এরপর সে আর্মিরা কেন মার্চ

করে সে বিষয় একটু আলোকপাত করে।

"আমরা তো সবাই আর্মির মার্চ দেখেছি। কোন

সময় চিন্তা করে দেখেছেন কেন

তারা এটা করে? এটা করে কি লাভ হয়?

আধুনিক যুদ্ধখেত্রে একত্রে মার্চ করার কোন

ব্যবহার নেই, বরং এটা করা বোকামি।

তাহলে কেন?

কারণ একদল মানুষ যদি কোন কাজ

একইভাবে বারবার করে তাদের

মাঝে একটা মানসিক (emotional)

এবং ভৌত (physical) বন্ধন সৃষ্টি হয়।

তারা নিজেদের ব্যক্তিসত্ত্বার

পরিবর্তে গ্রুপকে বেশি প্রাধান্য

দিতে শিখে। শুধু মার্চ অথবা ড্রিল নয়,

যেকোন সমন্বিত কর্মকাণ্ড (যেমন

একত্রে খেলা, গান গাওয়া, জামাতে সালাত

ইত্যাদি ) মানুষের মাঝে সংবদ্ধতা (group

coherence) তৈরি করে।

সে আরও লিখেছে, নামাজের ওয়াক্ত হবার

সাথে সাথেই মুসলিমরা যেখানেই

যে অবস্থাই থাকুক না কেন, তারা সবাই

একদিকে মুখ ফেরায় আর নামাজ পড়ে।

ফলে বিশ্বব্যাপী তাদের মাঝে এক

একাত্মতা তৈরি হয়েছে, যা অন্য কোন ধর্ম/

জাতি অথবা বিশ্বাসের মানুষের

মাঝে দেখা যায়না। আর এই কারণেই

মুসলিমরা মাত্র ১৪০০০ বছরের মাঝেই

বিশ্বের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে,

এবং তাদের কখনোই পরাজিত করা যায়না।

একটা লোহার খণ্ড কখন চুম্বকে রূপান্তরিত

হয়? যখন তার মাঝে যত ইলেক্ট্রন আছে, সব

একদিকে মুখ করে।"

আলহামদুলিল্লাহ, এভাবে কোন সময়

চিন্তা করিনি, আল্লাহ সুবহানু

ওয়া তায়ালা মুসলিমদের দৈনিক

কর্মকাণ্ডে কি এক অনুপম শিক্ষা রেখেছেন।

এই জন্যই বোধহয় সে সুদুর আফ্রিকা, সেখানেও

যদি একজন মুসলিমের কষ্টের কথা শুনি, এই

বাংলাদেশে বসে আমাদের ঘুম হারাম

হয়ে যায়।

সবশেষে, সত্যিকারের অজুহাত ব্যতীত আর

জামাতের সালাহ ছাড়বেন না।

( সংগৃহীত )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: আল্লাহু আকবার! ইসলাম এমন একটা ধর্ম যা সবচেয়ে বেশী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিকশিত হচ্ছে।
ইহুদী-নাসারা মুসলিমদের ঈমানী শক্তিকেই সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। ওদের মিশনারীরা দারিদ্র্য ও বঞ্চনার সুযোগে ধর্মান্তরিত করে। পক্ষান্তরে ইসলামের মর্মবাণী অনূধাবন করে জেনেশুনেই জ্ঞানীগুনীরা এর ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। সুবহানআল্লাহ!

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: আল্লাহু আকবার! ইসলাম এমন একটা ধর্ম যা সবচেয়ে বেশী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিকশিত হচ্ছে।
ইহুদী-নাসারা মুসলিমদের ঈমানী শক্তিকেই সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। ওদের মিশনারীরা দারিদ্র্য ও বঞ্চনার সুযোগে ধর্মান্তরিত করে। পক্ষান্তরে ইসলামের মর্মবাণী অনূধাবন করে জেনেশুনেই জ্ঞানীগুনীরা এর ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। সুবহানআল্লাহ!

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: আল্লাহু আকবার! ইসলাম এমন একটা ধর্ম যা সবচেয়ে বেশী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিকশিত হচ্ছে।
ইহুদী-নাসারা মুসলিমদের ঈমানী শক্তিকেই সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। ওদের মিশনারীরা দারিদ্র্য ও বঞ্চনার সুযোগে ধর্মান্তরিত করে। পক্ষান্তরে ইসলামের মর্মবাণী অনূধাবন করে জেনেশুনেই জ্ঞানীগুনীরা এর ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। সুবহানআল্লাহ!

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২

খাটাস বলেছেন: ভাল পোস্ট শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ সহ প্লাস।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.