![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই প্রকারঃ
১· জাগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
যে সকল প্রতিষ্ঠান দুনিয়ার কল্যানের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেয়।
২· ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
যে সকল প্রতিষ্ঠান আখেরাত অর্থাৎ পরকালের কল্যানের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেয়।
বাংলাদেশ ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই প্রকারঃ
১· আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
যা সরকারীভাবে খরচ ও নিয়ন্ত্রণে চলে। যাতে পুরাপুরি দ্বীনি ইলম শিক্ষার ব্যবস্থা নাই।
২· কওমী মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
যা জনগণের সাহায্য সহযোগিতায়, হক্কানী ওলামায়েকেরাম দ্বারা, দারুল উলুম দেওবন্দ (ভারত)-এর শিক্ষা কারিকুলাম অনুসরণ ও অনুকরণ করে পরিপূর্ণ দ্বীনি ইলম শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।
উপরোক্ত প্রসঙ্গে নিম্নে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা হলো-
01
কওমী মাদ্রাসা অর্থ কি?
কওম অর্থ জাতি, আর কওমী অর্থ জাতীয়। মাদ্রাসা আরবী শব্দের অর্থ বিদ্যালয়। সুতরাং কওমী মাদ্রাসা অর্থ জাতীয় বিদ্যালয়।
02
কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার উৎসঃ
হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পবিত্র মক্কা নগরীস্থ নূর পর্বতের গুহায় মানবজাতির কল্যাণে প্রভুর সান্নিধ্যে ধ্যানমগ্ন ছিলেন, তখন আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতা জিবরাইল (আ·) এর মাধ্যমে “ইকরা” পড়ুন, আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, আপনার প্রতিপালক অতি মহান" (সূরা আলাক ১-৪) এ জ্ঞানের সূচনা করেন।
অতপর মক্কা মুকার্রমার দারুল আরকামে, পরে মদীনা মুনাওয়ারায় দারুস সুফ্ফায়।
03
কওমী মাদ্রাসার মৌলিক উদ্দেশ্যঃ
কওমী মাদ্রাসার মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন-হাদীসের প্রচার-প্রসার এবং দ্বীন ইসলামকে বিশুদ্ধরূপে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখা এবং দ্বীনের শাশ্বত শিক্ষাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া।
এবং ইসলামী শিক্ষার সুরক্ষার সাথে সাথে নিত্যনতুন সৃষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, ফেতনা ইত্যাদি সম্পর্কে মুসলিমজাতিকে সতর্ক করা, তাদের হিংস্র থাবা হতে মুসলিম জাতিকে রক্ষা করা।
04
কওমী মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্যঃ
কওমী মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে কুরআন-হাদীসের আলোকে জ্ঞান দান করে, ত্যাগী, পরোপকারী, সমাজসেবক, অধিক ভোগ-বিলাসে নিরুৎসাহী এবং স্বল্প উপার্জনে সন্তুষ্ট থেকে জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তোলে।
এখানে দুনিয়া বিমুখতা, কষ্ট, সবর, শোকর, আত্মীয়তার বন্ধন, ন্যায়পরায়ণতা, মমত্ববোধ, উত্তম আখলাক-চরিত্রের বিষয়গুলোই শিক্ষা দেওয়া হয়।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা জড়িত তারা চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ভূমি দখল, হল দখল, দুর্নীতি, মিথ্যা, প্রতারণা, ব্যাভিচার, অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা, ইবটিজিং, ধর্ষন, নারী নির্যাতন, প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের উপর নগ্ন হামলা, শিক্ষক লান্চনা, অপকর্ম, চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাবী ইত্যাদির সাথে কোন রকমের সম্পর্ক রাখে না।
এমনকি দেশের থানাগুলোতেও সন্ত্রাসীদের তালিকায় কোন কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক বা ছাত্রদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলে না।
খাঁটি আদর্শ মানুষ তৈরির কারখানাই হল কওমী মাদ্রাসা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৬
থিওরি বলেছেন: পোস্টের উদ্দেশ্য কি? ঠিক যেন ব্লগীয় হল না।