নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সাধারণ নাগরিক।

এম. সাইফ

নৈতিক অবক্ষয় সমাজ দূষণের অন্যতম কারণ

এম. সাইফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্দ বলার পূর্বে আরেকবার ভেবে দেখবেন প্লিজ

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯



ঘটনা-১ঃ
সিনথিয়া। ছোট মানুষ। মাত্র সাড়ে তিন বছর। কিন্তু সে একটা বাজে শব্দ শিখেছে যা উঠতে বসতে খুব বেশি উচ্চারণ করে আর তা হচ্ছে “কুত্তার বাচ্চা”!! হ্যা তার বাবা-মায়ের মেহনতের ফসল। তার বাবা প্রায়ই তার মাকে উঠতে বসতে গালি দেয় কিরে কুত্তার বাচ্চা এটা করিস নাই ক্যান, ওটা করিস নাই ক্যান??

ঘটনা-২ঃ
সামির। বয়স প্রায় ৪ বছর। সিনথিয়ার প্রতিবেশী। খেলার সময় প্রায়ই সিনথিয়ার মুখ থেকে ওই শব্দটি শুনে শুনে সেও এখন মুখস্থ করে ফেলেছে। তারও এখন কোন কিছু অপছন্দ হলেই বলে ফেলে “কুত্তার বাচ্চা......”। অথচ সামিরের বাবা-মা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যদ্দরুন বাচ্চা বোঝে শব্দটি মন্দ কিন্তু শক্তিতে না কুলালেই ওই শব্দটি ব্যবহার করে ফেলে।

ঘটনা-৩ঃ
সাকিব। ভার্সিটি পড়ুয়া এক চঞ্চল ছেলে। সামিরকে সে খুবই পছন্দ করে। মাঝে সাঝে আদর করে কোলে নিয়ে চুমু খায়, একটু জোড় করে বুকেও জড়িয়ে ধরে। সামির বাচ্চা মানুষ কখনও কখনও তার বিষয়টি পছন্দ হয় না, ছাড়তে বললে আরও বেশি করে ধরে তাই রাগের বসে বলে ফেলে “কুত্তার বাচ্চা ছাড় আমাকে”!!

সাকিবের আম্মা রাগান্বিত স্বরে বলে তুইতো (সামির) অনেক খারাপ। এই কি তোর বাবা-মা শিখিয়েছে? !!

১. আপনার সন্তান কার সাথে উঠা-বসা করছে এখনই সচেতন হউন।
২. বাচ্চা অপছন্দ করে এমন কাজ করা কি আমাদের জন্যও শোভনীয়??
৩. সদাচরণ শিক্ষা দানে সকলকেই সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন। বাচ্চা মায়ের পেট থেকে শিখে আসে না বরং আপনাকে আমাকে দেখেই শিক্ষা অর্জন করে অতএব আমাদেরও আরেকটু হিসেব করে চলা উচিত।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

মানবী বলেছেন: শিশুদের মুখে অশ্লীল বা খারাপ শব্দ নিঃসন্দেহে শংকাজনক। তবে উপরে বর্ণিত সব ঘটনার মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সিনথিয়ার বাবার তার মাকে গালাগাল করা। সিনথিয়ার মতো সন্তানরা বড় হবে বাবার প্রতি দীব্র ঘৃনা আর বিদ্বেষ নিয়ে। মেয়ে শিশুরা পুরুষ জাতির প্রতিও ঘৃনাবোধ নিয়ে বড় হতে পারে এমন পরিবেশের কারনে।

সামিরকে বকা না দিয়ে সাকিবের আম্মার উচিৎ ছিলো নিজের ছেলে সাকিবকে বকা দেয়া। কোন শিশুকে জোড় করে জড়িয়ে ধরা বা তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আদর করার চর্চাটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অবশ্যই বর্জনীয় হওয়া উচিৎ!


অবশ্যই পোস্টের মূল বক্তব্য সমর্থন করি, শিশুদের সামনে কথা বলার সময় সতর্ক হওয়া উচিৎ!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এম. সাইফ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

এম. সাইফ বলেছেন: মূল বিষয়টি বুঝতে পারা এবং খুবই চমৎকারভাবে বর্ণনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মূলত এটি বাস্তব ঘটনার আলোকে লিখা।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

এম. সাইফ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আমার বাচ্চার প্রতি ও আমি খেয়াল রাখছি কিন্তু তাদের যদি মানা করা হয় তাহলে তারা ওটা বেশী বেশী বলে
খুবই চিন্তিত।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

এম. সাইফ বলেছেন: তারা বলপ্রয়োগ একদম পছন্দ করে না। আমাদেরকে আদর-স্নেহের পাশাপাশি কৌশলীও হতে হবে। যেমন আমার বাচ্চা যদি স্কুলে যেতে না চায় আমি প্রথমেই তার কাছ থেকে তার বন্ধুদের খোঁজ খবর নেই এবং প্রশংসা করে বলি অমুকতো খুব নিয়মিত স্কুলে যায় সবার আগে। বাচ্চারা এগুলো খুব কমই পছন্দ করে যে, তার আগে ভাল কাজটি কেউ করুক ব্যাস শুরু হয়ে গেল সেই বন্ধুর আগে স্কুলে পৌছার তাড়াহুড়া। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। খুব কড়াকড়ি যেমন ঠিক নয় আবার খুব ছাড়াছাড়িও ঠিক নয়। মধ্যম পন্থায় আদর-শাসন দুটোই ব্যালান্সড রেখে চলতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। মন্দগুলোকে মন্দ হিসেবেই উপস্থাপন করতে হবে এবং ভাল'কে ভালভাবে, তবেই না তারা শিখবে। ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন আপনি। প্রয়োজনীয় কথা। ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

এম. সাইফ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের চারপাশের পরিবেশটা আজ ভাল নেই ।আপনি ইচ্ছে করলেও বাচ্চাদের সহজে এ সব থেকে দূরে রাখতে পারবেন না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

এম. সাইফ বলেছেন: সহমত। এসব থেকে দূরে রাখতে পারবো না তবে চেষ্টাতো করতে পারবো। :) ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: ভালো লিখা

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

এম. সাইফ বলেছেন: আপনার নেক দোয়ায় :) ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

আমি ইহতিব বলেছেন: বাচ্চাদের মুখে তুই শুনলেও আমার খারাপ লাগে। তাই বাসায় কড়া নিষেধ আছে যেন তুই করেও কেউ কাউকে কথা না বলে। তারপরও কত কি শিখে ওরা। সচেতনতা প্রয়োজন সবার।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

এম. সাইফ বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১০

জুন বলেছেন: ভদ্রতা আদব কায়দা একটি শিশু পরিবার থেকেই শেখে, তারপর ও বাইরের প্রবল প্রভাব যে আছে তা অনস্বীকার্য্য যার উদাহরন সামির। আমাদের মত পিতামাতাদের জ্ঞ্যান বুদ্ধি হোক এটাই কামনা ।
আর সিন্থিয়ার মায়ের প্রতি তার বাবার আচরণ অমার্যনীয় ।
সচেতনতামুলক লেখাটিতে প্লাস এম সাইফ ।
+

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

এম. সাইফ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.