নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখির ভুবনে আমি এক ক্ষুদ্র লেখক।

সাইফ আরেফিন বিপুল

সাইফ আরেফিন বিপুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনখেলা (দ্য গেইম অফ লাইফ)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

৫ম ও শেষ পর্ব....

প্রিয়ন্তির বাবা-মা পিয়াসের বাবার সাথে প্রিয়ন্তি ও পিয়াসের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছিলেন।
- বেয়াই সাহেব, শুনেছিলাম আরো দু'বছর আগে নাকি আপনার বাউন্ডুলে ছেলেটাকে মানুষ করার দায়িত্ব টা আমার মেয়ের উপর দিয়েছিলেন। এবার নাহয় আপনার পাগল ছেলেটার সারাজীবনের দায়িত্বটাই ওর হাতে তুলে দিন।
- বেয়াই সাহেব,,!!!
- হ্যা, বেয়াই সাহেবই তো।
- কিন্তু সবকিছু জেনেও আপনারা........
- হ্যা, সবকিছু জেনেই। কারন আমরা চাই, আমাদের মেয়ে সুখে থাকুক। ওর সুখই আমাদের সুখ। এই পাগল ছেলেটির মাঝেই ওর সব সুখ লুকিয়ে আছে। এবং আমাদের বিশ্বাস, আমার মেয়ে পারবে তার সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে স্বামীকে সুস্থ্য করে তুলতে। প্লিজ, আর কোনো আপত্তি করবেন না বেয়াই সাহেব।
- কি যে বলেন,? আপত্তি করবো কেন,? এ তো আমার পরম সৌভাগ্য,! ভেবেছিলাম মা মরা পাগল ছেলেটার জীবন টা বুঝি একেবারে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনাদের মেয়ে আমার ছেলেটার জীবনটাকে সাজানোর দায়িত্ব টা নিবে। এর থেকে বড় সৌভাগ্য আমার আর কি হতে পারে,? আপনাদের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনাদের এ ঋণ আমি কোনোদিনও শোধ করতে পারবো না।
- পারবেন, পারবেন। এবার বিয়ের সকল আয়োজনটা সেরে ফেলুন। তাহলেই সব ঋণ শোধ হয়ে যাবে।

প্রিয়ন্তির জীবনের সবচাইতে খুশির দিন ছিলো যেদিন ও ঢাকা বোর্ড থেকে এস. এস. সি. পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলো। কিন্তু আজ সেই খুশিকেও ছাপিয়ে গেলো। হ্যা, জীবনের সবচাইতে খুশির সংবাদটি এইমাত্র ওর কানে আসলো। পিয়াস কে নিয়ে দেখা ওর স্বপ্নগুলো আজ থেকে সত্যি হতে শুরু করছে। এতো খুশি ও এর আগে কখনো হয়নি। খুশিতে ওর নাচতে ইচ্ছে করছিলো। দৌড়ে চলে গেলো পিয়াসের বন্ধ রুমে। গিয়েই জড়িয়ে ধরলো পিয়াসকে। পিয়াস কোনো শব্দও করলো না। চুপটি করে রইলো। প্রিয়ন্তি এই প্রথম পিয়াসকে এতোটা কাছে থেকে স্পর্শ করলো। ওর সুখের যেন আজ অন্ত নেই। পিয়াসের কপালে ছোট্ট করে একটা চুমো খেলো।
- আমার অনেক স্বপ্নের স্বামীটা। বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায়। আজ থেকে তোমাকে আর তুই করে ডাকবো না। আমি আমার স্বামীটাকে আর সব স্ত্রীর মতো তুমি করেই ডাকবো।

আজ পিয়াস ও প্রিয়ন্তির গায়ে হলুদ। অনেক পাগলামী করছিলো এদিন পিয়াস। দুই দুইবার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলো। আবার খুজেও নিয়া আসা হয়েছে। প্রিয়ন্তি ওকে আচ্ছা করে বকে দিলো।
- এই, তোমার মনে কি এখনো আমার জন্য একটুও ভালোবাসা জন্ম হয় নি? কেন এমন করো আমার সাথে,? একটু বুঝার চেষ্টা করো।

দুই পাগলের বিয়েতে খায়রুল, রিহান, গৌতম ও সায়মাও চলে এসেছে এরই মধ্যে। ওরাই বিয়ের গায়ে হলুদের সকল আয়োজন করেছে। বিয়ের স্টেজটাও ওরা নিজের হাতেই সাজিয়েছে। স্টেজের মধ্যে ওরা "আজ দুই পাগলের হলুদ সন্ধ্যা" লেখা একটা ককসিট লাগিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে সবাই জানতে চাইলে ওরা বললো, ঠিকই তো আছে। ওরা দুজনই তো পাগল। একজন মানসিক পাগল আরেকজন প্রেম পাগল। হা হা হা।

প্রিয়ন্তি ও পিয়াস হলুদসাজে স্টেজে বসে আছে। একে একে সবাই ওদের হলুদ দিয়ে যাচ্ছে। আজকে দিনের বেলা পিয়াস যতটাই পাগলামী করেছে এখন ঠিক ততটাই শান্ত হয়ে বসে আছে। দেখলে বুঝার উপায়ই নেই যে ছেলেটা পাগল। ছেলেটাকে প্রিয়ন্তি নিজ হাতে খুব যত্ন করে পরিপাটি করেছে আজ।

রাত শেষ হয়ে ভোর হলো। চোখ কচলাতে কচলাতে ঘুম ভাঙলো প্রিয়ন্তির। বাইরে বেরিয়ে আসলো। পিয়াসের অই রুমটার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো। রুমের দরজা খুলে ও ভিতরে ঢুকলো। দেখলো, ছেলেটা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। ঘুমন্ত ছেলেটার কপালে একটা চুমো এঁকে দিলো ও। রুম থেকে বের হয়ে আসার সময় ওর আঁচলটা আটকে যায়। পিছন ফিরে দেখে পিয়াস ওর আঁচলটা মুখে নিয়ে কামড়ে ধরে রেখেছে। প্রিয়ন্তি একটু হাসলো। আবার একটি চুমো এঁকে দিয়ে আঁচলটা ছাড়িয়ে নিলো। কিন্তু এ-কি এবার প্রিয়ন্তি খুব অবাক হয়ে যায়। কারন এবার যখন ও রুম থেকে বের হয়ে আসছিলো তখন পিয়াস ওর হাত ধরে ওকে আটকে ফেলে। এ কয়দিনে পিয়াস এমন টা কখনো করেনি। প্রিয়ন্তি পিছন ফিরে আবার তাকালো। দেখলো পিয়াসের চোখে জল।
- কি ব্যাপার,? তুমি কাঁদছো কেন,?
কথাটা বলতে বলতে ওর চোখ দুটো নিজের আঁচল দিয়ে মুছে দিলো।
পিয়াস কোনো জবাব দেয় না। দিবেই বা কি করে,? মা মারা যাবার পর ছেলেটার মুখ দিয়ে এ পর্যন্ত একটি শব্দও বের হয়নি। কিন্তু ছেলেটা মাঝে মাঝেই কিছু বলতে চাইতো। ওর চোখে-মুখে তা ঠিকই ভেসে উঠতো। একমাত্র প্রিয়ন্তিই ওর চোখের ভাষা পড়তে পারতো। আজও তেমনই করছে। প্রিয়ন্তি ওর চোখে-মুখে আনন্দের রূপরেখা দেখতে পেলো। শেষবারের মতো আরো একবার ওর কপালে চুমো একে প্রিয়ন্তি রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।

সারাটা সকাল প্রিয়ন্তি ও পিয়াস কে নিয়ে ওরা চার বন্ধু রঙ ও কাঁদা ছুড়াছুড়ি করলো। প্রিয়ন্তি ও পিয়াসের বিয়েতে যেন ওদের কাজই দুষ্টুমি করে করে সবাইকে মাতিয়ে রাখা।

অবশেষে বিয়ের পর্ব শেষ হলো।
বাসর ঘরে পিয়াস বসে আছে। খায়রুল, রিহান, গৌতম ও সায়মা খুব সুন্দর করে ঘরটাকে সাজিয়েছে। পিয়াস দুপুরে কিছু খায় নি। কারন প্রিয়ন্তি যে ওকে আজ খাইয়ে দেওয়ার সুযোগ পায়নি। তাই প্রিয়ন্তি পিয়াসের জন্য খাবার নিয়ে গুটি গুটি পায়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করলো। খুব আশ্চর্যের ব্যাপার,!! তাই না,? সবসময় তো বাসর ঘরে আগে থেকে কনে বসে থাকে আর বর পরে প্রবেশ করে। কিন্তু ওদের ক্ষেত্রে হলো উল্টো। এটা স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসায় কে কাকে কোথায় রাখবে সেটা ফ্যাক্ট না। ফ্যাক্ট টা হচ্ছে কার কোথায় থাকাটা উচিত ও মঙ্গলজনক।

প্রিয়ন্তি পিয়াসের পাশে এসে বসলো। ওকে খাইয়ে দিতে চাইলো। কিন্তু পিয়াস খেতে চাচ্ছিলো না। ইশারা করে কি যেন বলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু প্রিয়ন্তি কিচ্ছু বুঝছিলো না। এরকম কয়েকবার ইশারা করার পর প্রিয়ন্তি বুঝতে পারলো যে, পিয়াস ওকে আগে খেতে বলতাছে। প্রিয়ন্তি তখন এক লোকমা খাবার নিজের মুখে নিলো। এরপর পিয়াস কে খাইয়ে দিলো। পিয়াসও খেলো। প্রিয়ন্তি বুঝতে পারলো, পিয়াস ধীরে ধীরে সবকিছু হয়তো বুঝতে শুরু করছে। পিয়াসকে সুস্থ্য করে তোলার আত্মবিশ্বাসটা ওর আরো বেড়ে গেলো। খাওয়া শেষে পিয়াসের উদ্দেশ্যে প্রিয়ন্তি শুধু এটুকুই বললো,
- আজ আমাদের জীবনের সবচাইতে মধুর দিন, মধুর রাত। প্রত্যেকটা মানুষের এ রাতটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। তেমনি আমারো ছিলো। হয়তো তোমারো ছিলো। যদিও আজ আমার সব স্বপ্নগুলো পূরন হবে না হয়তো, তবুও এই রাতটাতে তুমি আমার পাশে আছো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।

প্রিয়ন্তি পিয়াসকে নিয়ে শুয়ে পড়লো। পিয়াসের মাথা টা ওর বুকে নিয়ে ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছিলো। আর শপথ করলো, এমনি করে সারাটিজীবন তুমি আমার বুকে ঘুমাবে। আর তুমি যেদিন সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়ে উঠবে সেদিন থেকে আমি তোমার বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমাবো। এটা আমার একটা স্বপ্ন। প্লিজ, তারাতারি সুস্থ্য হয়ে আমার এ স্বপ্নটা পূরন করো। অতঃপর দুজনে ঘুমিয়ে পড়লো।

এভাবে ওদের জীবনে কেটে গেলো দু'মাস। খুব সুখেই কাটছিলো প্রিয়ন্তির জীবন।

হঠাৎ একদিন সকালে প্রিয়ন্তি ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে পিয়াস নেই। তারাতারি বাইরে বের হলো। পিয়াস কে ডাকলো, খুজলো। পিয়াসের বাবাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু এ-কি,? পিয়াস তো কোথাও নেই। অনেক খুজাখুজি করে পিয়াস কে কোথাও খুজে পাওয়া যায় নি সেদিন। সেদিনের পর থেকে ছেলেটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। প্রিয়ন্তিরও তখন পাগলপ্রায় অবস্থা। দিন যায়, প্রিয়ন্তি অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু পিয়াস ফিরে আসে না। ও শুধু ভাবে, সুখগুলো এমন কেন,? ক্ষনিকের জন্য এসে কষ্টের যন্ত্রনাগুলোকে দ্বিগুন করে দিয়ে আবার চলে যায়। এদিকে প্রিয়ন্তিও পাগল পিয়াসের বাচ্চার মা হতে হতে চলেছে।

দেখতে দেখতে আরো কয়েকমাস চলে গেলো। আজ প্রিয়ন্তির একটা ছোট্ট ফুটফুটে ছেলে সন্তান হলো। প্রিয়ন্তি আজ কিছুটা খুশি। ভাবলো, আজ থেকে নিজের একাকীত্বটা কিছুটা হলেও দূর হয়ে যাবে। ওর ছেলেকে নিয়ে এবং পিয়াসের ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকেই বাকিটা জীবন পার করে দেবে। কারন ওর বিশ্বাস, ওর পিয়াস একদিন না একদিন ফিরে আসবেই।

হ্যা, অবশেষে তা-ই হলো। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর একদিন পিয়াস ঠিকই ফিরে আসলো। ওর সাথে দুজন লোক। একজন বিরাট ব্যবসায়ী আরেকজন মানসিক ডাক্তার। তবে আজ যে পিয়াস এসেছে সে আর সেই পাগল পিয়াস না। একদম সম্পূর্ন সুস্থ্য পিয়াস। ও এতদিন একটা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলো। যেদিন পিয়াস বাসা থেকে পালিয়ে যায় তার কিছুদিনের মধ্যে একদিন নাকি ও ঢাকার একটা ব্যস্ত পথের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলো। সবাই বুঝেছিলো, সে পাগল। কিন্তু দেখতে ভদ্র ঘরের সন্তান মনে হয়েছিলো। অই পথেই যাচ্ছিলেন দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী রফিক সাহেব। তিনি ওকে ওনার গাড়িতে তুলে নেন। এবং একটা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। এইতো দু'দিন আগে ওকে অই হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ন সুস্থ্য ঘোষনা করে রিলিজ দেওয়া হয়। তারপর পিয়াসই তার ঠিকানা বলে রফিক সাহেব ও যে ডাক্তারের সহযোগিতায় সুস্থ্য হয়েছে তাঁকে নিয়ে আজ বাসায় ফিরে এসেছে।

ওর বাবা ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলেন।
- আপনাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। আপনাদের এ ঋণ আমি কোনোদিনও শোধ করতে পারবো না।

খুশিতে আত্মহারা হয়ে তিনি প্রিয়ন্তিকে ডাকছিলেন।
- বউমা, বউমা,,!! দেখো কে এসেছে।
- বাবা, বউমা বলে ডাকছো কাকে,?
- আরে তোর বউ, প্রিয়ন্তি,,!! তুই অসুস্থ্য থাকায় অবস্থায় তোকে সুস্থ্য করার জন্য ও-ই তো তোকে বিয়ে করেছিলো।
- কিসব বলছো, বাবা,? প্রিয়ন্তি জাস্ট আমার ফ্রেন্ড ছিলো। আমি কেন ওকে বিয়ে করতে যাবো,?
- তুই হয়তো সব ভুলে গেছিস। মেয়েটা তোকে খুব ভালোবাসে রে। তুই এত বছরেও ফিরে আসিস নি বলে আমি তোকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিলেও প্রিয়ন্তি আজও আশা ছাড়েনি। তোর ছেলেকে নিয়ে আজও তোর অপেক্ষায় বসে থাকে।
- আমার ছেলে,,!!!
- হ্যা, তোর ছেলে,,!!
- কোথায় আমার ছেলে,? কোথায় আমার প্রিয়ন্তি,?

প্রিয়ন্তি বাবার ডাক শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো। পিয়াস কে দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলো না ও। পিয়াস দু'হাত প্রসারিত করে দিলো। প্রিয়ন্তি দৌড়ে ওর বুকে জড়িয়ে পড়লো। আজও প্রিয়ন্তির চোখে জল। কিন্তু এ জল কষ্টের নয়, এ জল আনন্দের, পরম সুখের।
- খুব ভালোবাসিস আমায়। তাই না,?
- একদম তুই করে বলবা না। আমি তোমার স্ত্রী। আমাকে তুমি করে বলবা।
- আচ্ছা ঠিক আছে তোকে তুমি করেই বলবো।
- আবারো,,!! ঠিক হচ্ছে না কিন্তু।
- ওকে, পাগলিটা আমার। তুমি, তুমি, তুমি। হয়েছে তো এবার,?
- না হয়নি।
- তাহলে কি করবো এখন,?
- যেটা আজও বলো নি, সেটা বলো।
- কত কথাই তো বলিনি। কোন টা শুনতে চাও,?
- খুজে নাও।
- পাচ্ছি না তো।
- একবার বলো, তুমিও আমায় ভালোবাসো,!
- বড্ড বেশি ভালোবাসি রে পাগলি। বড্ড বেশি।
অতঃপর কপালে চুম্বন। আবারো জড়িয়ে ধরা।

পিয়াস হঠাৎ দেখতে পেলো চার-পাঁচ বছর বয়সী একটা বাচ্চা ছেলে ওর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। পিয়াসের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে, এটাই তার ছেলে। দৌড়ে ওর সামনে গিয়ে হাটু গেড়ে বসলো।
- এই, বাবু, তুমি আমার দিকে ওরকম বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছো কেন,?
- তুমি আমার আম্মু কে জড়িয়ে ধরছো কেন,? তুমি কে,?
- আমি তোমার আব্বু।
- আম্মু বলেছে আমার আব্বু নাকি আম্মুর কলিজার ভিতরে থাকে। তুমি কি তাহলে আমার আম্মুর কলিজার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছো,?

এক গাল হেসে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরলো পিয়াস। পিছন থেকে প্রিয়ন্তি পিয়াসের মাথায় হাত রাখলো।
- পিয়াস, কথা দাও। আর কক্ষনো আমাকে ছেড়ে যাবে না।
- কথা দিলাম। জীবনের অন্তিমক্ষণ পর্যন্ত তোমার পাশে থাকবো।

এতদিন জীবন ওদের সাথে খেলেছে। সে খেলায় আজ ওরা জয়ী। হ্যা, ওরা জয়ী। কিন্তু সবাই এই জীবনখেলায় জয়ী হয় না। এ খেলায় জয়ী হতে হলে প্রয়োজন নিরলস প্রচেষ্টা, সাধনা ও ধৈর্য।

(সমাপ্ত)....

#সাইফ_আরেফিন_বিপুল (ক্ষুদ্র লেখক)....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.