![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক টুকরো কাগজে পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম হাতে বসে আছি
আকাশ সম স্বপ্ন বুকে, পরিবার ছেড়ে পড়াশুনা করতে যারা ভার্সিটিতে এসেছে, তাদের জীবনটা একটু অন্য রকম। হঠাৎ-ই বদলে যাওয়া এক জীবন।
একটা সময় যে ছেলেটা গিটারের তারে সুর খুঁজতো, সে এখন সিজিপিএ ভালো পাওয়ার আশায় রাতভর এসাইনমেন্ট লিখে। যে মেয়েটা একট্রেসদের একটিং নকল করে একটিং প্রাকটিস করতো, সে এখন অধিকাংশ সময় লাইব্রেরিতে কাটিয়ে দেয়।
২০০ / ৫০০ টাকা হাতে না থাকলে যে ছেলেটা বাসা থেকে বের-ই হতো না, সে এখন শূন্য পকেটে সারাটা দিন কাটিয়ে দিতে শিখে গেছে। ফুসকা না খেলে যে মেয়েটার একটা দিনও কাটতো না, সে এখন ফুসকা না খেয়ে প্রতিটা দিন কাটিয়ে দিতে শিখে গেছে।
যে ছেলেটা অল্প সময়ের পথেও রিকশা করে বাসায় ফিরতো, সে এখন টিউশনি শেষে দীর্ঘ পথও হেটে চলে আসা শিখে গেছে। কোথাও যেতে হলে যে মেয়েটা বাবা / ভাইয়ের বাইক রেডি পেতো, সে এখন লোকাল বাসে চড়ে সব জায়গায় যাওয়া শিখে গেছে।
মায়ের ডাক ছাড়া একটা দিনও যে ছেলেটার ঘুম ভাঙ্গতো না, তার ঘুম এখন এলার্ম ক্লোক ছাড়াই ভেঙ্গে যায়। মায়ের হাতের সুগন্ধময় ভূনা খিচুরি খেয়ে যে মেয়েটার দিন শুরু হতো, তার দিন এখন শুরু হয় হলের ক্যন্টিনে মোটা চালের খিচুরি খেয়ে।
হাত খরচের টাকা জমিয়ে যে ছেলেটা ভালো ব্রান্ডের দামি ফোন কিনতো, সে এখন সেই টাকা দিয়ে বিসিএস এর বই কিনে পড়ে। অল্প অল্প টাকা জমিয়ে যে মেয়েটা বান্ধবীদের সাথে ভি আই পি রেস্টুরেন্টে খেতে যেতো, সে এখন সেই টাকা দিয়ে স্যারের দেয়া শীট কালেক্ট করে পড়ে।
বিকেলবেলা খেলার মাঠে চার ছক্কা পিটিয়ে যে ছেলেটা নিজেকে সাকিব মাশরাফি ভাবতো, সে এখন গ্রুপ স্টাডি করে পুরাটা বিকেল পার করে দেয়। যে মেয়েটা সুযোগ পেলেই ফটোশুট করে নিজেকে মডেল ভাবতো, সে এখন ভবিষ্যতের চিন্তায় সারাটা সময় পড়ার টেবিলে কাটিয়ে দেয়।
একেকটা জীবন এখানে এসে পাল্টে যায়। বদলে যায় চলার গতি। হতাশ ছেলেটা আর ডিপ্রেসড মেয়েটা এখানে এসে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। শত সহস্র কষ্ট থাকা সত্ত্বেও দাঁতে দাঁত চেপে বলতে শিখে ‘ভালো আছি।’
ভার্সিটি, ভালো থেকো তুমি । তোমার কোলে আসা জীবনগুলো খুব যত্নে বদলে দিও।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৬
সাইফ নাদির বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
সনেট কবি বলেছেন: বেশ।