![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক টুকরো কাগজে পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম হাতে বসে আছি
মনে করুন, মেয়েটি এক গরিব ছেলেকে ভালোবাসে; যার পকেটে কখনো টাকা থাকে না। মাস শেষে বাসা থেকে যে টাকা পাঠায়, তা দিয়ে ভালো কিছু খাবে তো দূরের কথা, মেসের সিট ভাড়াটাও ঠিকমতো দিতে পারে না! ভার্সিটির ক্লাস আর স্যারদের দেয়া রেগুলার এসাইনমেন্ট সাবমিট করে ক্লান্ত হয়ে যায়। তবুও থামে না, ছুটে চলে টিউশনিতে।
এই ছেলের জন্য মেয়েটির মনের মধ্যে দু’টি প্রতিক্রিয়া থাকবে। এক, ছেলেটির জন্য মেয়েটির মায়া হবে; অর্থাৎ দুঃখী প্রিয়জনের পাশে থেকে মায়ার পরশ বুলিয়ে দেয়ার সদিচ্ছা মনের মাঝে উদিত হবে। দুই, মেয়েটি ভয় পাবে; অর্থাৎ দারিদ্র্যে পতিত হয়ে জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয় পাবে।
আবার, মেয়েটি যদি কোনো ধনী, তবে বেপরোয়া ছেলেকে ভালোবাসে তাহলেও তার মনের মধ্যে দু’টি চিন্তা কাজ করবে। এক, মেয়েটির মায়া হবে; অর্থাৎ শাসন করে ছেলেটির বেপরোয়া ভাব দূর করে, তাকে একজন দায়িত্ববান মানুষে পরিণত করার চেষ্টা করবে। এটাও এক প্রকারের মায়া, যা শাসনের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়ে থাকে। দুই, মেয়েটি ভয় পাবে; অর্থাৎ বেপরোয়া ছেলের অন্ধকার ভবিষ্যতের ভয় পাবে।
সত্যিকারের প্রেমী হতে হলে আসলেই নিঃস্বার্থ হওয়া লাগে। নতুবা প্রেমী-ই হওয়া যায় না। তবুও কত মানুষ প্রেমী সেজে অভিনয় করে!
নিঃস্বার্থ সেজেও কত মেয়ে বিদেশ ফেরত টাকা ওয়ালা ছেলের কাছে নিজের ভালোবাসাকে বিকিয়ে দেয়! কিংবা সরকারি চাকরিজীবীর হাত ধরে স্বপ্নে ভরা ও কমিটমেন্টে গড়া ভালোবাসাকে গলা টিপে হত্যা করে!
সত্যিই, ভালোবাসা সীমাহীন শক্তির নাম। যদি মাথার উপরে ছাদ না থাকে, চুলার উপরে পাতিল না থাকে, কিংবা গায়ে জড়ানোর মত কাপড়ও না থাকে তবুও চলবে, কিন্তু ভালোবাসা ছাড়া চলবে না।
শত কষ্টে থেকেও যদি প্রিয় মানুষটি পিঠে হাত রেখে বলে, ‘‘ভেবো না, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’’ তাহলে আর কী লাগে! স্বর্গীয় সুখ কী এরচে’ও বেশি হবে!
.......................................................
মায়া ও ভয় / সাইফ
পি টি আই রোড, কুষ্টিয়া
২৮-১০-১৮ ইং
©somewhere in net ltd.