| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্তে আস্তে মাথার সিস্টেম এইরকম ভাবে সময়ের সাথে এডাপ্তেড হচ্ছে যে, এখন যদি শুনি অমুক ভদ্রলোক ৮ মাসের প্রেগন্যান্ট আমি মোটেও টাশকি খাব না। কারণ এখন এই রকম আসাধারন খবর হরহামেশাই শুনি। তাছাড়া এখন আমি আপনাদের সাথে যেই ঘটনাটি শেয়ার করব তা শুনলে আপনিও পুরুষ মানুষের প্রেগন্যান্ট হওয়ার খবর শুনে টাশকি খাবেন না।
আমি হলে থাকি। ঘটনাটা আমার রুমমেটের ছোট ভাইকে নিয়ে। ঘটনাটা গতকালের। ছেলেটা সব সময় পাঞ্জাবী ও টুপি পড়ে। টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায়। সে যেহেতু কুমিল্লায় থাকে তাই ঢাকায় আসলে মাঝেমাঝে আমাদের রুমে আসত। ত গতকাল ভোঁরে সে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য বের হয়। চিটাগাং রোডের পাশে যাওয়ার সময় হঠাত করে দুই জন পুলিশ তাকে দাড় করায়,এবং পরে পুলিশ চৌকীতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে বিভিন্ন কথাবার্তা জিজ্ঞাস করার পর এক পর্যায়ে বলে যে, আমরা আপনার ব্যাগ সহ সব কিছু তল্লাশি করব। সবকিছু তল্লাশি করার পর ব্যগের মধ্যে পনের হাজার টাকা পায়। এরপর পুলিশের একজন আগে থেকেই টেবিলের পাশে থাকা দুইটি ককটেল ব্যাগের পাশে রেখে বলে, “এই শালা তুই জঙ্গি। তর ব্যাগে আমরা এই ককটেল পেয়েছি। এখন তোর বিরদ্ধে মামলা হবে। এখন সাংবাদিক ডেকে তোর ছবি তোলা হবে। তবে তুই বাচতে চাইলে তোর কোন আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে বল এই মুহূর্তে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে”। এইসব শোনে ত ও পুরা হতবম্ব হয়ে রইল। পরে বলল যে আমার এই মুহূর্তে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার মত কেউ নাই। আমি টিউশনি করে চলি। ভর্তির ফরম ফিলাপের জন্য এই টাকা টা জোগাড় করেছি। আমারে মাফ করেন। অনেক কান্নাকাটির পরও কোন লাভ হয়নি। ওরা ওই ১৫ হাজার টাকা রেখে দিয়ে ওকে ছেড়ে দেয়। এমনকি বাড়ি যাওয়ার জন্য পকেটে থাকা খুচরা টাকা গুলোও ওরা রেখে দেয়।
সরি... আসলে কয়েকটা লাভ হইসে। যেমন, দীর্ঘমেয়াদী রিমান্ডের হাত থেকে বাছা গেল। জঙ্গিবাদী তকমা থেকেও বাচা গেল। আর কত ভয়ঙ্কর ঘটনাও ত ঘটতে পারত সে গুলো না হয় নাই বললাম। তবে সবচেয়ে বড় যেই দয়া টা পাওয়া গেল তা হল, বাড়িতে যাওয়ার খুচরা টাকা পর্যন্ত রেখে দিলেও পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাকে একটা কুমিল্লার বাসে তুলে দিয়ে ড্রাইভারকে বলে দিয়েছে যে, লোকটার সব টাকা ছিনতাই হয়ে গেসে একে কুমিল্লা নামিয়ে দিস।
বাড়িতে যাওয়ার পরও ছেলেটার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাড়ির সবাই শুনলাম খুবই কান্নাকাটি করসে। যাই হউক ওরা মনে হয় বুজতে পারছে না কত বড় ধরণের বিপদের হাত থেকে বেছে গেছে। আর কত খারাপ কিছু ঘটতে পারত। এই সব চিন্তা করলে মনে হয় ওদের অনেক খুশি হওয়া উচিত।
আমার মাথায় একটা প্রশ্ন, আচ্ছা এই ঘটনা টাকি শুধুমাত্র ওর পাঞ্জাবী টুপি কারণেই হয়েছে? নাকি আমাদের মত অন্যদেরও হতে পারত!!!!
(টপিকটা আসলে হওয়া উচিত ছিল ছিনতাইকারী ভয়ংকর। কারণ এই দুই জনকে পুলিশ না বলে ছিনতাইকারী বলাই শ্রেয়। কিন্তু ওইভাবে টপিক দিলে নামকরণতা ঠিক মনের সাথে মিলত না বলে দেই নি।)
২|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১
অন্য পুরুষ বলেছেন: পুলিস ভাইদেরও মাঝে মাঝে ভিলেনের বেশ ধরতে হয়, যাতে করে ছিনতাইকারীদের মানসিকতা বুঝতে পারে। এইটা হইলো উন্নত প্রশিক্ষণে অংশ। আসলে তারা তো অনেক ভালো মানুষ।
আমরা খালি খালি তাদের দোষ দেই।
লল!! কি আর করা। সবসময় পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরতে হবে দেখছি।
৩|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১০
শিশু বিড়াল বলেছেন: এ কি ভয়াবহ কথা!!
৪|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১০
নতুন বলেছেন: পুলিশের এইরকমের নৈতিক অধোপতনের জন্যই তো মানুষ পুলিশ এখন গালি হিসেবে ব্যবহার করে...
ঘুষ আর ক্ষমতার অপব্যবহারে পুলিশ এখন দানবে পরিনত হয়েছে...
৫|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: এই দেশে ঠোলারা অইল কুত্তার জাত
৬|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২২
গিটারম্যান বলেছেন: এমন পরিস্থিতে আমিও পড়েছি একবার । কিছু বলার নাই !
৭|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
সালমান ফার্সী বলেছেন: একটা মামলা আদালতে যাওয়ার আগেই ফিনিশ করে দেয়া ক্ষমতা পুলিশের আছে, এবং এই টাকার জন্য বা টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে এই ক্ষমতা টা পুলিশ ভাইয়েরা সবসময় চর্চাও করে থাকেন। আবার একটা ছোটখাটও অপরাধকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে অনেক বিশাল অপরাধেও পরিণত করতে পারেন তারা। আর সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যপারটা হল প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে না পেরে বা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করতে তারা প্রায়ই নিরপরাধ লোককে অপরাধী বানিয়ে ছাড়েন। নচিকেতার একটা গান আছে......
“পারে না ধরতে পুলিশ সত্যি অপরাধী যারা
নিরীহ প্রেমিক প্রেমিকাদের ধরে নিচ্ছে টাকা, লেকের ধারে, পূজার মুখে”।
উনি বলেছিলেন এইটা আসলে উল্টো দেশের কাহিনী। আমাদের দেশটা মনে হয় সেই উল্টো দেশেরই প্রতিচ্ছবি। সুতরাং এই খানে পুরুষ মানুষ ও প্রেগন্যান্ট হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৮|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
দি সুফি বলেছেন: :-& :-& :-&
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৭
কালোপরী বলেছেন: