![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন আর জীবনের যুদ্ধ-সন্ধি নিয়ে বেচে আছি।প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি এবং ঘুম ভেঙ্গে হুবহু মনে রাখতে পারি। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে সময় কাটাতে ভালই লাগে। জীবনটা বড্ড বেশী সুন্দর।এর অনুভুতি অনেকটা সৌন্দর্যের মুগ্ধতার মত; অনেক খানি দেখে নিতে ইচ্ছে করে..........
একটা শব্দ।
বহু দুর থেকে একটা ক্ষীণ শব্দ ভেসে আসে।
খুব চেনা লাগছে।
হ্যা,জীবনের শব্দ।
আবার।
থেমে থেমে....
আবার...
এতক্ষণে নিশ্বাসের শব্দ টের পাই।
আধবোজা চোখে তাকাই..দু'টা তেলাপোকা আমার পা থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত চাটছে।আবার চোখ বুঁজি।
আআআহহহহহহহ্!!!
লোকটা আমার গলা পা দিয়ে মাটিতে চেপে ধরেছিল।
-বল?তুই খুন করিসনি?
-না না!আমি খুন করিনি।
অতি কষ্টে মুখ দিয়ে বেরুনো কথাগুলো লোকটা বুঝে কি না জানিনা।
ফের আমাকে টেনে হিঁচড়ে চেয়ারে বসানো হয়।জামাটা এত ভেজা....শীত শীত লাগছে।লোকটা এবার আমার মুখের সামনে আলো নিয়ে আসে।আহহ্....কত আলো!!অথচ আমার চোখ ঝলসে গেল!!ব্যথায় কাতরে উঠি আমি।
লোকটা আমার গলায় ফাঁস লাগায়।
-বল শালা,শুয়োরের বাচ্চা?তুই খুন করিসনি?বল!তোর সাথে আর কে কে ছিল?
আ আমি জানি না!কার খুন?আমি খুন করিনি!আমাকে মারবেন না.....আআমি আআমি নির্দোষ।আআআআহহহহ্!
তারপর সব কালো।লোকটা আমার মুখে কষে লাথি মেরেছিল বোধ হয়।
আমি আবার তাকাই।কে যেন কথা বলছে।সিলিং এর উপর সেই তেলাপোকা দুটো বসে আছে।আশ্চর্য!
আমি ওদের কথা শুনতে পাচ্ছি।অনেক পুরনো হাড়মজ্জাগত অভ্যাসবশত কান পেতে তাদের কথা শুনার চেষ্টা করি।
-আসছে ভালবাসা দিবসে আমরা কি করব বল তো?
-এই যে লোকটা দেখছ,ভালবাসা দিবসে এই লোকটাই হবে আমাদের ডিনার।
-ওহ্! তুমি এত ভালো I LOVE YOU!
আরে এটা তো কিছুই না তোমার জন্য আমি সব করতে পারি!
আরেকটা তেলাপোকা উড়ে আসে।আমার মতই লুকিয়ে শুনছিল।
-হাহাহা।এই একটা মাত্র মানুষ!?সুন্দরী,আমার সাথে যাবে?এমন অনেক সুস্বাদু খাবার খাওয়াব তোমায়!
-তাই কে তুমি?
-আমি দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের মর্গের Director..এই ফালতু তেলাপোকাকে ছেড়ে আমার সাথে এস।
তেলাপোকা দুটো উড়ে গেল। একটা তেলাপোকা রয়ে গেল।
আমরা দুজন দুজনকে দেখছি | কিন্তু এ কী!ও যে আমার আয়নায় দেখা প্রতিচ্ছবি মাত্র।কোথায় যেন আমরা একাকার হয়ে গেছি!
তার নাম কী?
একাকিত্ব?
কিংবা নিস্বংগতা?
তেলাপোকাটা আমার মুখের উপর উরে এসে রক্ত চাটতে থাকে |
দরজা খুলে যায়আবার সেই লোকটা আসেকে সে?মনে হয় একে যেন কোথায় দেখেছিঝাপসা চোখে তাকিয়ে তার চেহারা ভাল দেখা যায় না| কিন্তু আমি ওকে চিনিওর সাথে আমার বহুদিনের পরিচয়|
-"মরে গেছে নাকি?"
মুখের উপর এক বালতি পানি এসে পড়ে| তেলাপোকাটা দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় পালায়| আবার শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।আবার নির্মমতার সাগরে আমাকে ফেলে দেয়া হয়| আমি যে সাঁতার জানিনা! নিজেরই রক্তে ডুবে যেতে থাকি।
দূর থেকে....
বহু দূর থেকে....ভেসে আসে হাসির শব্দ...
সাগরের ঢেউয়ের দেয়ালে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে সেই হাসি...
প্রতিদিন একটু একটু করে খুন হওয়া আমাকে সে হাসি উপহাস করে...
নিজের লাশের দিকে তাকিয়ে এবার আমি আমার খুনিকে চিনতে পারি..
সেই লোকটাকে ও চিনতে পারি-আমার খুনিকে;বাস্তবতাকে....
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
সানজিদা রওশন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: সেই লোকটাকে ও চিনতে পারি-আমার খুনিকে;বাস্তবতাকে....
বাস্তবতা আসলেই খুনি! ভালো লাগলো।
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সানজিদা রওশন বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি কিছু হলেও আমার লেখা বুঝতে পেরেছেন...তাই আমারও ভালো লাগলো।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
নৈকষ্য বলেছেন: বাস্তবতাকে খুনি বলা কি ঠিক না সব কিছু খুনিদের দখলে।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
সানজিদা রওশন বলেছেন: যে বিপুল প্রাণের জোয়ার নিয়ে মানুষের জন্ম,বাস্তবতা প্রতিদিন তার একটু একটু কুরে খায়......প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আমরা একটু একটু করে বদলে যাই;মরে যাই......বাস্তবতা সিরিয়াল কিলারের মতই নিঃশব্দ খুন পিপাসু............
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
শাহজাহান মুনির বলেছেন: বেশ ভালো। চালিয়ে যান।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
সানজিদা রওশন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
মায়াবী ছায়া বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম ।
ভালো থাকুন ।।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
সানজিদা রওশন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৫
ইউক্লিড রনি বলেছেন: বেশ ভালো। চালিয়ে যান।