![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পঃ
গত কিছুদিন আগে আব্দুল্লাহ তার মাকে নিজের ভালোবাসার মানুষটির কথা বলে।।।সাথে সাথে তার মায়ের চোখ দুটি লাল হয়ে গিয়েছিল।।।মনে হয়ত কষ্ট পেয়েছিলেন খুব।।।কষ্ট পাওয়ারই কথা।।কারন আব্দুল্লাহ দশম শ্রেনীর ছাত্র।।এই বয়সে প্রেমে পডা অবাস্তব কিছু না।।কিন্তু এত অল্প বয়সে প্রেম ভালোবাসা সম্পর্কিত কোন বিষয়কে আমাদের দেশ,সমাজ এমনকি পরিবারের মানুষ মেনে নেয় না।।
কিন্তু আব্দুল্লাহর মায়ের কাছে পরিবার,সমাজ থেকে তার ছেলের গ্রহন যোগ্যতা বেশি।।।তিনি জানতেন যে এত অল্প বয়সের ভালবাসা গুলি বেশি দিন স্থায়ী হয় না।।।তিনি এটাও জানতেন যে অস্থায়ী এই ভালবাসা হারানোর কষ্ট অনেক।।।যা সহ্য করার শক্তি বিধাতা তার ছেলেকে দেননি।।।
আর তাই তিনি তার ছেলেকে বলেন "যদি কখনো কাউকে ভালবাসতে ইচ্ছে হয় তবে মা বাবা আর বিয়ের পর তোর বউকে ভালবাসিস।।।কারনতোর সুখ দুঃখ সব কিছুর সঙ্গী কেবল এ তিনজন মানুষই হতে পারে।। আর তারাই তোর সব ধরনের ভুল গুলো সবসময় মাফ করে দিয়ে তোকে বুকে টেনে নিবে।।।কিন্তু অন্য কাউকে তুই যতই ভালবাসিস না কেন সে কখনো তর ছোট ভুল গুলিও মাফ করবে না বরং ভুলগুলির জন্য তোকে ছেডে চলে যাবে এমন কি যাওয়ার সময় তোর জন্য রেখে যাবে সীমাহীন কষ্ট।।।আর তখন তোর সেই কষ্টের অংশীদার কেউ হবে না।।।।।
"মাকে তখন মুখ বড় করে আব্দুল্লাহ বলেছিল ফারিহা মানে তার ভালবাসার মানুষ এমন না।।সে জানে তার ভালবাসার মানুষ তাকে কখনো ছেডে যাবে না এমন কি তাকে কখনো কষ্টও দিবে না।।"
কিন্তু মা কখনো ভুল বলেন না।।।কিছুদিন পর আব্দুল্লাহর ভালবাসার মানুষটি তাকে ছোট্ট একটি ভুলের কারনে ছেডে চলে যায়।।।সত্যি এখন আব্দুল্লাহকে অনেক কষ্ট সহ্য করছে।।।তার মা তার হাব ভাব দেখে বুঝে পেলেছে তার ছেলের সাথে কি হয়েছে।।।
তাই রাতে আব্দুল্লাহর মা আব্দুল্লাহকে ডাকলেন আর বুকে নিয়ে বললেন কি আমার কথা সত্যি হয়নি।।।উত্তর দেওয়ার কোন ভাষা ছিল না আব্দুল্লার কাছে।।।মায়ের কাছে শুধু নিজের চোখের জল দিয়ে উত্তর টা জানিয়ে দেয় আব্দুল্লাহ।।।আব্দুল্লাহর মা তার ছেলেকে কি বলে শান্তনা দিবেন তা বুঝতে পারছিলেন না।।শুধু শান্তনা সরুপ আব্দুল্লাহকে বল্লেন "যা হওয়ার হয়েছে।।।নিজেকে বদলে ফেল।।।পরালেখায় মন দে।।।আমি তোর জন্য অনেক সুন্দরী বউ নিয়ে আসব।।
আর এই বলে আব্দুল্লাহর মা আব্দুল্লাহর মাথায় চুমু দিলেন।।।মায়ের শান্তনা আর আদরে মাখা চুমু যেন আব্দুল্লাহর কষ্টগুলিকে কেমন কমিয়ে দিলেন।।আব্দুল্লাহর মনে পডে গেল তার মায়ের সেই কথাটি যে "তর কষ্টের ভাগ নেয়ার মত কেউ থাকবে না"কথাটা আব্দুল্লাহর মিথ্যা মনে হল।।কারন মায়ের শান্তনা আর মমতা যখন তার কষ্ট কমিয়ে দিয়েছে তাই আব্দুল্লাহ মনে করল তার কষ্টের অর্ধেক ভাগ হয়ত তার মা নিয়ে নিয়েছিলেন।।।আর তাই নিজেকে হালকা মনে হল।।।। আব্দুল্লাহ সাথে সাথে তার মাকে জডিয়ে ধরে বলে উঠল "মা তোকে অনেক ভালবাসি।।তোর মত আপন এই পৃথিবীতে কেউ হতে পারে না"
"সত্যি এই পৃথিবিতে মায়ের মত কেউ নাই"
©somewhere in net ltd.