নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘূরে জীবন;

মাসুদ সরদার

ছন্নছারা

মাসুদ সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জীবনটা কি?

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫২



স্মৃতি ছাড়া কিছুই নয়।

কৈশোর কালের কথা মনে হচ্ছে ক্যান জানি।তখন একটা পেন্টিয়াম থ্রি কম্পিউটার ছিলো। প্রতিমাসে ভাইরাস এট্যাকে উইন্ডোজ নষ্ট হয়া যাইতো।আর প্রতিমাসে সিপিইউ নিয়ে গিয়ে কম্পিউটার সেটাপ দিয়া নিয়া আসতাম।প্রতি সেটাপে নিতো ৩০০ করে টাকা।ব্যাটারা ডাকাইত ছিলো।

যখন বাসা থেকে সিপিইউ নিয়ে যাইতে হইতো - জিতু নাহলে সৌরভ বড়সড় সাইকেল নিয়া চলে আসতো বাসায়।আমি সাইকেল এর পিসে ক্যারিয়ারে বসে কোলের মধ্যে সিপিইউ নিয়া থাকতাম।

কি যে দিনকালগুলো ছিলো না?ক্লাস এইট নাইন টেনে?

মারাত্মক রকমের সুন্দর দিনকাল ছিলো সেসব।যখন আমার অনেক টাকা হবে - অনেক অনেক টাকা - বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিককে গিয়ে বলবো - আমাকে টাইম মেশিন বানায় দ্যান।সদূর অতীত যাওয়ার ক্যাপাসিটি ওয়ালা টাইম মেশিন লাগবে না - জাস্ট আমার স্কুল লাইফটায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দ্যান। আপনি যয়টাকা চাইবেন - তয় টাকাই দিবো।আমার তো অনেক টাকা

সেই সময়টা। আহা!কলেজ মাঠে সেই ক্রিকেট খেলার দিনগুলো!আহা!সারাদিন ক্লাস করে - বাসায় ঢুকে নাকে মুখে ভাত গিলে - দে ছুট।ব্যাট রাজুর বাসায়।বল আরেক জনের বাসায়। স্ট্যাম্প আরেক জনের বাসায়।সবাই মিলে একত্রিত হয়ে - মিছিল করতে করতে মাঠে যাওয়া।যাওয়ার পথে সবাই বুঝতো - কেউ যাচ্ছে।

তখনো অনেক রোদ - রোদের মাঝেই খেলা আরম্ভ - আগে আরম্ভ করলে - বেশী ম্যাচ খেলা যাবে।রোদ গায়ে লাগলে কালো হয়ে যাবো - এসব কথা মাথাতেই আসতো না।আর কালো হইলে হইলাম - সমস্যা কি?খেলাতে হলো আসল মজা।সন্ধ্যা হতো। যতক্ষন পর্যন্ত দেখা যায় আলোতে - পুরোটা সময় খেলতাম।লাস্টে অল্প সময়?দুই ওভারের ম্যাচ খেলি চল!

খেলা শেষে কলেজ পুকুরের পাড়ে বসে আড্ডা।মেয়ে দেখলে টিজ করা।আহা!কি দিন ছিলো সেগুলো!

বাসায় ফিরে খেয়ে দেয়ে ঘুম।পড়াশুনা মানুষ পরীক্ষার আগে ছাড়া করে?

ঘুম থেকে উঠে আবার স্কুল।আমার আর সৌরভের এক সাথে বসা চাই।ক্লাসে ঢুকে আগে দেখি - সৌরভের ব্যাগ কই?ব্যাগ কোন বেঞ্চে থাক - নিয়ে এসে লাস্ট বেঞ্চে রাখতাম - আমার পাশে।অথবা সৌরভ যদি তখনো না আসে - আমি লাস্ট বেঞ্চে রেখে যেতাম আমার ব্যাগ। জানি - সৌরভ এসে পাশে বসবে।আমরা গোটা স্কুল টাইমটাই ফুসুর ফুসুর করে গল্প করবো।

এক সময় স্কুল ছুটি হবে - গল্প ছুটি হবে না।বেড়িয়ে দুইজন দুই সাইকেলে করে গোটা শহর দুই তিন বার ঘুরপাক দেই - আর সাথে গল্প। কি গল্প করতাম এতো?কিছুই মনে নাই! তবে গল্প করতাম - এটা মনে আছে।

তারপর কিছুক্ষণ এর জন্য - ভাত খেতে বাসায় ঢুকা - তারপর আবার কলেজ মাঠে খেলা।ঋতু পাল্টাতো - গ্রীষ্ম গিয়ে শীত আসতো - কিংবা বর্ষা।আমাদের রুটিন পাল্টাতো না।কখনো ক্লান্ত হতাম না।

ক্লান্তি কি জিনিস? চিনতাম না তখন।কখনো বলি নাই - আজ ক্লান্ত রে!খেলবো না!কিংবা গল্প করবো না!আড্ডা দিবো না!ইভটিজিং করবো না!কখনোই বলি নাই। কাউকে কখনো বলতেও শুনি নাই।

আজ আমি ক্লান্ত। জানি না কেনো।হয়তোবা বসে থাকতে থাকতে। বা শুয়ে থাকতে থাকতে।বা বুড়ো হয়ে যাওয়াতে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.