![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাট হাতে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, বুক চিতিয়ে দাঁড়ালেন নাসির হোসেন। আবার বল হাতে যখন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের বোলারদের, আবার সেই নাসির হোসেনই শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ।
আর নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ওয়ানডে ৬৫ রানে জিতে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো বাংলাদেশ। তাকে যোগ্য সহায়তা করেছেন রুবেল হোসেন। টসে হেরে ব্যাটিং এ নেমে ১৯ তম ওভারে মাত্র ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ‘এ’। এরপর হাল ধরেন নাসির। লিটন দাসকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন ৭০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৯৬ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫০ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৫২ রানে নিয়ে যান নাসির।
এরপর ভারতের ইনিংসে ৩১ রানে রুবেলের সৌজন্যে প্রথম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ ‘এ’। এরপর উন্মুক্ত চাঁদ ও মানিশ পান্ডে মিলে ১১৯ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভারতের হাতে। তখনি আবার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নাসির, সাথে যোগ দেন রুবেল হোসেন।
দুজনে মিলে পাল্লা দিয়ে তুলে নিতে থাকেন উইকেট। ১১৯/২, ১৩৭/৩, ১৪৫/৪, ১৪৬/৫, ১৫১/৬, ১৫৪/৭ ও ১৫৭/৮ এ পরিণত হয় ভারত ‘এ’। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মান ও কালারিয়া। কিন্তু নিজের দশম ওভারের শেষ বলে আবারো আঘাত হানেন নাসির, কালারিয়াকে স্ট্যাম্পিং এর ফাঁদে ফেলে তুলে নিলেন নিজের পঞ্চম উইকেট। ৪২ তম ওভারে ১৮৩ রানে নবম উইকেট হারায় ভারত ‘এ’। ১৮৭ রানে মানকে বোল্ড করে দেন পেসার আলআমিন হোসেন। ৬৫ রানের জয় দিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা আনে বাংলাদেশ।
এদিকে নাসিরের বলে স্ট্যাম্পিয়ের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১৭ রানে আউট হয়ে ফিরে যান সুরেশ রায়না। এরপর মেজাজ হারিয়ে নাসিরকে গালি দিয়েছেন বলে ম্যাচ রেফারি এস সারথের কাছে জানিয়েছে আম্পায়ারা।
নাসির ছাড়াও রুবেল হোসেন পেয়েছেন ৪টি উইকেট, যার মধ্যে ৩টিই বোল্ড আউট। এছাড়া উইকেট রক্ষক লিটন দাস ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্ট্যাম্পিং করেন। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ হবে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর।
©somewhere in net ltd.