নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘূরে জীবন;

মাসুদ সরদার

ছন্নছারা

মাসুদ সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এই বর্বরতা?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

কালিহাতির পৈচাশিক ঘটনার প্রতিবাদে তিনজন মানুষকে হত্যা করা হলো, আমি সেই “বর্বর” ঘটনাটি উল্লেখ ভাবতেই যে গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে। এ কোন দেশে বাস করি আমরা।


শুধু এ টুকুই বলবো, আমি মুক্তিযুদ্ধকালীন অসংখ্য অনুরূপ ঘটনাকে কোনো অংশে খাটো করে দেখিনা, তবে কালিহাতির এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনার চেয়ে কোনো অংশে খাটো নয়, আমি সেটাই বলছি। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কী করে এই “বর্বর” কান্ড একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংঘঠিত হতে পারে, সেটা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে কুলোয় না!


আমার মনে হয়, স্বাধীন বাংলাদেশে পাঞ্জাবি পশুদের রয়ে যাওয়া উত্তরসুরীরা তাদের পূর্বপুরুষদের মতই চারিত্রিক দোষাবলী এখনও বহন করে। ওরা পাকিস্তানিদের ধর্ষণকামী বির্যৌত্থিত উত্তরপুরুষ। গত পয়তাল্লিশ বছর ধরে এ সুজলা-সুফলা বাংলার জল-হাওয়া ওদের পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে প্রাপ্ত চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে নি। পারেনি মা আর মায়ের সম্ভ্রম রক্ষায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এ দেশের সন্তানেরা কতবড় ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত, তার ধারণা ওদের অবর্জনাপুর্ন মস্তিস্কে ঢুকিয়ে দিতে।

এর কঠিন থেকে কঠিনতর বিচার হতে হবে। এটা পুরো বাঙালি জাতির দাবি। এই বর্বরতা এই স্বাধীন বাংলাদেশে কেন? কেন এই দেশে মায়ের সম্মান রক্ষার জন্য জীবন দিতে হবে? এই কী আমাদের স্বপনের বাংলাদেশ। এই কী আমাদের স্বাধীনতা? কবে জাগবে আমাদের বিবেক? নাকি জাগবে না কেন দিনই?

কাজেই ওদের বিচারও হতে হবে বিশেষ ট্রাইবুনালে, নিয়মিত আদালতে নয়, এটাই সময়ের দাবি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

শামীম আরেফীন বলেছেন: সত্যিই দুঃখজনক

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

মানবী বলেছেন: এই ঘটনার বেশ কিছু ভার্সন নিয়ে অণেকে উপস্থিত, কেউ কেউ মেয়েটির স্বামী পক্ষকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রমান করতে চাইছে। এমনকি তাদের বক্তব্যও গ্রহন করলেও ঘটনার মূল খলনায়ক মেয়েটির স্বামী এবং তার পরিবারকেই মনে হচ্ছে।

পরকীয়া একটি অনৈতিক এবং বর্জনীয় একথা যেমন সত্য তেমনি এই কথাও সত্য কোন নারী বা পুরুষকে কেউ জোড় করে সংসার করতে বাধ্য করতে পারেনা। কোন ধরনের বলপ্রয়োগ বা ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন নারী বা পুরুষকে সংসার করতে বাধ্য করা অন্যায়, এমনকি ইসলাম ধর্মের মতো রক্ষনশীল ধর্মও নারী পুরুষ উভয়কে তালাকের অধিকার দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, স্বামী স্ত্রীর সমস্যা, নিজেদের বনিবনা না হওয়ায় প্রেমিক পুরুষ বা তৃতীয় পক্ষকে নিয়ে এসে হুমকী দেয়া বা প্রহার করা পুরোপুরি অযৌক্তিক! আর, এরা তো শুধু সেই ছেলেটিকেই নয় তার মা বোনদের বস্ত্রহীন করে নির্যাতন করেছে।

আর এধরনের সমস্যায় সত্যিকারের ভিকটিম হলো ঘটনার সাথে সম্পর্কহীন নিরীহ মানুষ!

আমাদের বর্তমান প্রশাসন যে কি ভীষণ দুর্বল ও অযোগ্য তা এই দুঃখজনক ঘটনাটি থেকে আবারও প্রমান হলো।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মাসুদ সরদার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.