নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘূরে জীবন;

মাসুদ সরদার

ছন্নছারা

মাসুদ সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র ভালবাসা

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

যেই ছেলেটার প্রতিটা রাতে ঘুমের টেবলেট না খেলে ঘুম হতো না,সেই ছেলেটাও এখন সারাটা রাত ফোনে কথা বলে বা এসএমএস এ চ্যাট করে কোন এক অজানা মেয়ের সাথে।
-
যেই মেয়েটা সারাটা দিন বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে থাকত,পৃথিবী বলতে তার কাছে এই বই আর পড়াশুনা, আর বন্ধু বলতে বাবা মা,সেই মেয়েটাও এখন চায় ওই ছেলেটার সাথে কথা বলে রাত পার করতে।
-
যেই ছেলেটা এলাকার বন্ধুদের কাছে আমাবশ্যার চাঁদ ছিলো,সেই ছেলেটা এখন বেলা ৩টায় যখন সূর্যটা মাথার উপর দিয়ে অনেকটা কিরণ ছড়াচ্ছে তখন,মাঠের এক কোনের গাছের নিচে বসে অপেক্ষা করে কখন তার বন্ধুরা আসবে ক্রিকেট খেলতে।এখন সে সবার আগে আসে মাঠে ওই মেয়েটির কথায়।কোন দিন মাঠের ঘাস গুলিও চিন্তা করেনি এই ছেলেটার পায়ের স্পর্শ তাদের গায়ে লাগবে।
-
যেই মেয়েটা বিকেল বেলায় একটু অবসরে বেলকনিতে কিংবা ছাদে গিয়ে দেখতো গোধূলীর আকাশ,সেই মেয়েটাও নীড়ে ফেরা পাখিদের মত চিন্তা করে ওই ছেলেটা কখন নীড়ে ফিরে তাকে একটা এসএমএস দিবে।
-
যেই ছেলেটা সন্ধ্যা হলে চিন্তা করতো কি করে মায়ের বকবকানি আর বাবার শাসন থেকে দূরে থাকবে পড়ালেখা না করে,সেই ছেলেটা এখন ওই মেয়েটার কথায় চুপটি করে পড়তে বসে,নইলে যে তার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ওই মেয়েটা।
-
যেই মেয়েটা বাবা-মায়ের কাছে কখনো কিচ্ছু চাইতো না নিজের সাজুগুজু করার জন্য সেই মেয়েটা এখন কিছু জিনিষের বেশিই আবদার করে,যাতে কিছু টাকা বাঁচিয়ে ওই ছেলেটার জন্মদিনে কিছু একটা কিনে দিতে পাড়ে।
-
যেই ছেলেটা আগে কোন মেয়েকে শাড়ি পড়া দেখলে ভাবতো এরা বুঝি বুড়ি হয়ে গেছে,একটুও ভালো লাগতো না তার কাছে,সেই ছেলেটাও এখন কোথাও একটা মেয়েকে শাড়ি পড়া দেখলে ভাবে ওই মেয়েটাকে এই শাড়িটা পড়লে কতই না ভালো লাগবে।তাই মেয়েটার কাছে আবদার করে বসে শাড়ি পড়ার জন্য।
-
যেই মেয়েটা কখনো শাড়ি পড়তে চাইতো না, হাঁটতে গিয়ে প্যাঁচিয়ে পড়ে যাবার ভয়ে,সেই মেয়েটাও মায়ের কাছ থেকে শাড়ি পড়া শিখে নিছে শুধু মাত্র সেই ছেলেটার আবদারের জন্য।
-
যেই ছেলেটা চিন্তা করতো পাঞ্জাবী তো শুধু নামাজ পড়তে গেলেই পড়ে,কিন্তু সেই ছেলেটাও এখন পাঞ্জাবী পড়ে শুধু মাত্র ওই মেয়েটার চোখে ভালো লাগার জন্য।
-
যেই মেয়েটা ছবি তুলতে চাইতো না,সেই মেয়েটাও এখন অনেক ছবি তুলে ভাইবারিং করে শুধু ওই ছেলেটির একাউন্টে।
-
যেই ছেলেটা কখনো ছবি তুলতে দিত না ফ্রেন্ডদের,তাকে দেখেতে খারাপ দেখায় বলে।সেই ছেলেটাও এখন হাজার ছবি তুলে রাখে সেখান থেকে একটা ভালো ছবি ওই মেয়েকে দিবে বলে।
-
যেই মেয়েটা পড়াশুনা করার জন্য ঠিক সময় খেতো না,সেই মেয়েটা এখন ঠিক সময় মত খায়,শুধু ওই ছেলেটাকে সময়মত খাওয়ানোর জন্য।
-
যেই ছেলেটার প্রিয় খাবার ছিলো,এনার্জি ড্রিংক আর ফাস্টফুড,সেই ছেলেটাও এখন এই গুলি ছেড়ে দিয়েছে শুধু ওই মেয়েটার ভয়ে।
-
যেই মেয়েটা জীবনে ভাবতো মানুষ কেন ভালোবাসে,সেই মেয়েটাও আজকে নিজের ভালোবাসার কথা চিন্তা করে করে মুচকি মুচকি হাঁসে।আর ভাবে সত্যি ভালোবাসায় অন্য রকম অনুভূতি,যা শুধু ভালোবাসায়ই মাঝেই পাওয়া যায়।
-
যেই ছেলেটা জীবন মানে ভাবতো ঘুম,খাওয়া আর গেম খেলা,চার দেয়ালের মাঝে আটকা একটা জীবন,সেই ছেলেটাও এখন চায় মুক্ত আকাশে উড়ে যেতে সংজ্ঞে করে ওই মেয়েটিকে নিয়ে যেতে।
-
-
সত্যিকারের ভালোবাসা কাঁদায় হাঁসায়,আর শুধুই ভালোবাসায়।যেই ভালোবাসায় থাকে না কোন প্রতারণা নামের চিন্তা,শুধুই থাকে একে অপরকে চিরজীবনের জন্য কাছে পাবার এক অদম্য চেষ্টা।সত্যিকারের ভালোবাসা জীববে সবকিছুই করতে শেখায়।
-
এই ভালোবাসায় লাগে না কাউকে দেখা বা ছোঁয়া,তাদের এই ভালোবাসাটাই সব থেকে পবিত্র ভালোবাসা।সেই ভালোবাসাই বেসে যাচ্ছে ওই মেয়েটা আর সেই ছেলেটা।এই ভালোবাসার যে কোন শেষ নেই,সুধুই ভালোবাসার ভালোবাসা।
.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.