নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাওর

আমার চুল আেছ

সাওর

আিম আম খাই

সাওর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের প্রতারণা

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৫

আমাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সংজ্ঞা দুই রকমের, যেমন-



(ক) সত্যিকার অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের চর্চা কতিপয় লোকজন করে থাকে বুঝে-শুনে। এই যেমন- ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার যা শুধুম মসজিদ, মন্দির, গীর্জায়, প্যাগোডায় চর্চার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরের সমাজে বা রাষ্ট্রে তা একেবারেই অচল। আসলে বিষয়টা হলো মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে চার্চের বিরুদ্ধে যে রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছিল। সেখান থেকেই মূলতঃ এই ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব। খ্রিষ্টান পাদ্রীগণ আল্লাহ্'র নাম ভাঙ্গিয়ে এবং ওয়াহীর জ্ঞান ছাড়াই তারা যে জুলুমের রাজত্ব ক্বায়েম করেছিল, বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরকে তারা যে নির্যাতন চালিয়েছিল তারই প্রেক্ষিতে ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব। আসলে খ্রীষ্টান পাদ্রীগণ বেশী বুঝে আল্লাহ্'র আয়াতকে বিকৃত করে তারা যে ভুল করেছিল, তারই মাসুল দিতে হচ্ছে আমাদের মুসলিমদেরকেও। মূলতঃ ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই। আর ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় বা খিলাফাতে কখনো এমন ঘটেনি যে, বিজ্ঞানের আবিস্কারের কারণে কুরআন ও হাদিসের সাথে কোন সাংঘর্ষিকতা হয়েছে যার কারণে খলীফাহ্ (ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান) কোনো গবেষক বা বিজ্ঞানীকে শাস্তি দিয়েছে, এমনটি কখনো হয়নি। আসলে ইসলাম আর বিজ্ঞান কোনো আলাদা বিষয় নয়। একটি আরেকটি পরিপূরক।



(খ) আমাদের এই দেশে আরও একটি থিওরী চলে তা হলো, ধর্মে ধর্মে সম্প্রিতি। এই ধর্ম-ধর্মে সম্প্রিতির বিষয়টাকেও তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের আদলে রূপদান করার বৃথা চেষ্টা করে। আসলে ধর্মে-ধর্মে সম্প্রিতি এটাকে তারা যেভাবে ব্যাখ্যা করে যে, কারো ধর্ম কারোর উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না, সংখ্যা লঘু এবং সংখ্যা গুরু বলে কিছু নেই আমরা সবাই বাঙ্গালী অর্থাৎ ধর্ম যার-যার রাষ্ট্র সবার, একধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোকের উপর চড়াও হতে পারবে না ইত্যাদি।



আমি বলি কুরআন ও হাদিসে কোথাও কেউ দেখাতে পারবে না ইনশা-আল্লাহ্ যে, জোর করে কাউকে ইসলাম চাপিয়ে দেয়া যাবে। আর সংখ্যা লঘু এবং সংখ্যগুরু মুলতঃ রাজনৈতি ফায়দা লুটার জন্য এসব শব্দ ব্যবহার করা হয়। ইসলামের সাথে এর কোনো দূরতম সম্পর্কও নেই। তাই সংখ্যা লঘু এবং সংখ্যগুরু বলে লাভ নেই যে, বাঙ্গালী নামের কোনো নতুন ধর্মের প্ররর্তন করা যাবে। আর এটা কোনো জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হলো না আর হতেও পারে না যে, আমরা বাঙ্গালী পরিচয়ে একটি প্লাটফর্মে এসে যাবো আর আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব তৈরী হবে। বরং এটা আরও বিজ্ঞান সম্মত হবে যে, আমরা সবাই এক আল্লাহ্'র সৃষ্টি এবং তিনিই আমাদের মালিক এই ভিত্তির উপরই কেবল জাতীয় ঐক্য বা ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে। আর এটাই হলো জাতীয় ঐক্যের মূল সূত্র।



আজকে যারা সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তুলছে তারা আসলে কোনো না কোনো ধর্মের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে এই কথা বলছে। এই যেমন আওয়ামীলীগ ধর্ম, বিএনপি র্ধম, কমিউনিষ্ট ধর্ম ইত্যাদি। আজকে তারা ধর্মে ধর্মে সাংঘর্ষিকতার কথা বলে মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার খৈ ফুটাচ্ছে তারাও মূলত ঐসকল ধর্মের কোনো কোন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে এইসব কথা বলছে। বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের ছেলেরা অথচ দোষ চাপানো হচ্ছে ইসলামের উপর। আমি বলি ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা কি বিশ্বজিতকে আল্লাহ'র দুশমন মনে করে হত্যা করেছিল না'কি বিএনপি জামায়াতে কর্মি মনে করে হত্যা করেছিল? নোয়াখলীতে যে হিন্দু পরিবারের উপর আক্রমণ চালিয়েছে তা'কি আল্লাহ'র উদ্দেশ্যে না'কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত? এটা জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল? আসলে সত্যে বিপরীতে অবস্থান নিয়ে কেউ কোনোদিন জয়ী হতে পারেনি, পারবেওনা ইনশা-আল্লাহ্। এসব রাজনৈতিক খেলা আমি বুঝনিা তবে বুঝতেও চাই না। আমি মনে করি পৃথিবীতে আমরা আল্লাহ'র বান্দা তার জমীনে বান্দা হয়েই থাকতে চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.