কমরেড, নিলয় তৌহিদুল ইসলাম-এর কবিতার পর্যালোচনা

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

হে বীর বঙ্গজ সন্তান ,এসো মোর সাথে!

সমাজতন্ত্রের নবরূপ সূচনা হোক আমাদের বাঙলায়

চল ,শ্রেণীগত ভেদাভেদ বন্ধ করে সাম্যের গান গাই

ভেঙ্গে দেই ধনী-দরিদ্রের মাঝখানের দেয়াল

চল ,কমাই রাজা-প্রজার মাঝের ফাঁকের বিস্তার



সোওর বলছে ঃ সমাজতন্ত্র একটি সুদ ভিত্তিক অর্থনৈতিক সমাজ ব্যবস্থা। সুদ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা দিয়ে শ্রেণিগত ভেদােভদ দূর করা কি সম্ভব? সাম্যতো অনেক দূরের কথা! আরো একটি ভুল কথা বলেছে কমরেড নিলয়, তা হল- ‍"ভেঙ্গে দেই ধনী-দরিদ্রের মাঝখানের দেয়াল" আমি বলি ধনী-দরিদ্রের মাঝে কোনো দেয়াল নেই। ধনী-দরিদ্র এটা আসলে একই সূত্রে গাঁথা। ধনী-দরিদ্র কোনো বৈষম্যের নাম নয়। এটা একটা সিষ্টেম মাত্র, অন্য কিছু নয়। এটাকে কেউ বা কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাও কোনোদিন এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এই সব বাজে বলে আমাদেরকে আর প্রলোভন দেখানো যাবে না। আসলে যে কোন ধরণের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে সবাই যেমন ধনী হলে চলবে না ঠিক তেনিভাবে সবাই দরিদ্র হলেও চলবে না। কারণ ধনী-দরিদ্রের কারণেই কিন্তু রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা মাথায় আসে। দরকার হলো মূলত আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। আর এর জন্য দরকার ইসলামী শিক্ষার, মূলত এই শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।)





রইবেনা কোন অপশাসন ,বাঁচবে মানুষ মৃত্যু হতে ।

সেথায় কৃষক-শ্রমিক-মজুরেরা থাকবে দেশের রাজা

প্রজার রক্তে রঞ্জিত টাকায় রাজপ্রাসাদ উঠবেনা ।



(সাওর বলছে ঃ ) এই বাক্যগুলো সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে ঘু-ঘু শিকারের মত ফাঁদ। আপনাকে আমি অনুরোধ করবো না আপনি এরকম ফাঁদে পা দিবেন না অন্যকে উদ্ভুদ্দ্ব করবেন। এইগুলো শুধুই প্রলোভন দেখানোর জন্যই প্রয়োজন সমাজতন্ত্রের বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই।



মৌলবাদ উগ্রতাবাদ সব কলঙ্ক নিপাত যাক

শেষ হোক শাসনরূপী শোষণের কালো অধ্যায় ।

চল ,শাভেজ হয়ে নবরূপে সজ্জিত করি বঙ্গদেশেকে ।

সুখ দিয়ে ,সমৃদ্ধি দিয়ে ,প্রাপ্তির পাহাড় গড়ি ।

চল ,ফিদেল ক্যাস্ত্রো হয়ে দেশকে রক্ষা করি

সম্রাজ্যবাদীর খড়্গ থেকে ,ছাগুর থাবা থেকে

চল ,চে এর মত করে প্রাণ দেই ,অকাতরে

চল ,পোষা বিপ্লবী না হয় তাদের মত বিপ্লবী হই ।



(সাওর বলছে ঃ) মৌলবাদ আর উগ্রবাদ আপনি মনে হয় বুঝেন না। সত্যকে একনিষ্ঠতার সাথে আঁকড়ে ধরলে এটাকে মৌলবাদ বা উগ্রতাবাদ বলেনা। বরং মিথ্যাকে গোঁড়ামী করে আঁকড়ে ধলর থাকলেই কেবল এটাকে মৌলবাদ বা উগ্রতাবাদ বলে। শ্যাভেজ, ফিদের ক্যাস্ত্রো, চে-গুযেভারা তারা কিন্তু পারেনি মৌলবাদ আর উগ্রতাবাদ থেকে বের হয়ে আসতে। তাদের দেশে তারা মদ পান, নারী-পুরুষের অবাধ যৌনতা, অজাচার, পারিবারিক কোন্দল, অর্থনৈতিক মুক্তি ইত্যাদি থেকে মুক্ত হতে। আমরা কি শুধু এই পৃথিবীটাকে ভোগের জায়গা মনে করবো না'কি এই পৃথিবী আসার কারণ এবং উদ্দেশ্যকে সত্যিকার অর্থে আমরা বুঝবো?)





কমরেড ,ঐ শুন মৃদু আলোর আগমনী গান ,

মশাল হাতে এসো ,আমরা তীব্র আলো আনবই ।



(সাওর বলছে ঃ) হ্যাঁ কমরেড, ঐ আমরা আলোর আগমণী গান আর্তচিৎকার শুনছি। মশাল হাতে আলো ভেবেছিলাম আসলে বাস্তবে তা আমাদের জীবনের আলোই কেড়ে নিয়েছে। আমাদের বাঁচার আকাঙ্খা ধুলিস্মাৎ করে দিয়েছে। সুদ ভিত্তিক মন্দা অর্থনীতি, ক্ষুধা-দারিদ্রতা, মানবিক গুণাবলীগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আমরা আর প্রলোভনে বিশ্বাসী নই।

০ টি +০/-০